নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফেসবুকে আমি - রিয়াদুল রিয়াদ (শেষ রাতের আঁধার)

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার )

কিছু মানুষ অন্য মানুষকে মুগ্ধ করার অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়। আর কিছু মানুষের ভিতর এই ক্ষমতা কখনই আসে না। আমি দ্বিতীয় দলের মানুষ। কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু কখনই করতে পারি না। কেউ অনেক সুন্দর গান গায়, আমি শুধু শুনে যাই। কেউ অনেক সুন্দর নাচে, আমি শুধু হাত তালি দিয়ে যাই। কেউ অনেক সুন্দর লেখে, আমি শুধু ভেবে যাই, কী করে এত ভালো লেখে কেউ? আমিও লিখি। তবে তা কাউকে মুগ্ধ করার মত কিছু না। আমার লেখায় আমার ভালোবাসা ছাড়া কিছুই নেই। পড়াশুনা শেষ, বুটেক্স থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বের হয়ে চাকরি, বিয়ে, পেশা পরিবর্তন সব হয়েছে। লেখালেখির ধারাবাহিকতায় চারখানা উপন্যাস অমর একুশে বইমেলায় বেরিয়েছে। টুকরো ছায়া টুকরো মায়া (২০১৫) – সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । একা আলো বাঁকা বিষাদ (২০১৬) – সামাজিক উপন্যাস । মধ্য বৃত্ত (২০১৮) – ডিটেকটিভ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার । অভিসন্ধি (২০২০) – ক্রাইম থ্রিলার । দেশটাকে ভালোবাসি অনেক। অনেক মায়া কাজ করে। মাঝে মাঝে ভাবি, সব বদলে দিতে পারতাম। স্বপ্নের মত না, বাস্তবের মত একটা দেশ গড়তে পারতাম …………………………

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) › বিস্তারিত পোস্টঃ

তেল ও সমালোচক

০৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯

বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে মেধার ছড়াছড়ি। অলিতে গলিতে, আশেপাশে, যেখানে চোখ বুলানো হয়, সেখানেই মেধা। তবে সেই মেধার মূল্যায়ন নেই। এখানে মূল্য তেল দেবার, তেলে তৈলাক্ত হবার। আপনার চেয়ে বড় আসনের বসকে তেল দিবেন মানে আপনি প্রমোশন পাবেন। ভাল পদ পাবেন। অনেক ভাল লেখার গুণ থাকার পরও যতদিন আপনার প্রকাশককে তেল দেবার, ভাল লেখকদের তেল দিয়ে সখ্যতা গড়ার অভ্যাস না হবে, ততদিন আপনার লেখার মূল্যায়ন পাবেন না। দ্রুত জনপ্রিয়তা চান, সাফল্য চান, টিকে থাকতে চান, স্বপ্ন পূরণ দেখতে চান, আজই তেল দেওয়ায় লেগে যান। মানুষ নয়, অমানুষ হয়ে বাঁচুন।

এখানে মেধার আলোচনার চেয়ে, সমালোচনা হয় বেশী। হুমায়ূন আহমেদের লেখা নিয়ে না যত আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশী সমালোচনা হয়, তিনি শাওনকে বিয়ে করেছেন এটা নিয়ে। তিনি এ দেশের সাহিত্যকে, মানুষকে কিছুই দিতে পারেন নি। দিতে পেরেছেন কিছু সস্তা লেখা, যা পড়ে আমার মত সস্তা মানুষরা আনন্দ পাই, ভাল লাগে। আর পেরেছেন শাওন নামের একটা মেয়েকে বিয়ে করতে। যেই বিয়ে দিয়ে তার সব সৃষ্টি নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি নাক ছিটকানোর ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। আমরা তাকে ঘৃণা করি।

সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে না যত আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশী সমালোচনা হয়, ও আধুনিক জীবন ধারার শিশিরকে বিয়ে করেছে এটা নিয়ে। সাকিব ইউকেট পেলে, রান করলে, ম্যাচ জেতালে যতটা না আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশী সমালোচনা হয়, সাকিব দেশদ্রোহী, দেশের জন্য কিছুই খেলে না, সাকিব উগ্র এটা নিয়ে।

সাকিব অবশ্যই দেশদ্রোহী, সাকিব দেশকে কিছুই দিতে পারে নি। সাকিব দেশের জন্য কিছু না দিয়েই আই সি সি অল রাউন্ডার র‍্যাঙ্কিং এ প্রথম হয়। সাকিব আই সি সি এর লোকদের তেল দিয়ে নিজের র‍্যাঙ্কিং ধরে রাখে। সাকিব দেশের হয়ে কোনদিন ইউকেট পায় নি, রান পায় নি, এতদিন তেল দিয়ে নির্বাচকদের দলে টিকে আছে। আই পি এল, কাউন্ট্রি, বিগ ব্যাশ, সি পি এল এর লোকদের তেল দিয়েই ওখানে খেলার সুযোগ পেয়েছে। হঠাৎ করে সাকিবের তেল দেয়া একটু কম হয়ে যাওয়াতে, দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছে। সাকিব মানুষ নয়, সাকিবের থাকতে হবে অমানুষ হয়ে। অমানুষ হয়ে রাগ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা যখন দিনের ভিতর, দেশকে ১০০ বার গালি দেই, তখন আমরা দেশদ্রোহী নই। কিন্তু সাকিব রাগের মাথায় একটা কথা বললেই, সাকিব দেশদ্রোহী, বেয়াদব, টাকার জন্য খেলা খেলোয়াড়, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবার মত, দল থেকে বিতাড়িত করার মত অপরাধী। আমরা সাকিবকে ঘৃণা করি।

হুমায়ূন আহমেদ আমাকে নিয়মিত তেল দিতেন বলেই, তার লেখা আমার ভাল লাগে। কাকে বিয়ে করলেন, সেসব নিয়ে আমার ভিতর চিন্তা আসে না। সাকিব আমাকে তেল দেয় বলেই, আমার সাকিবের জন্য আবেগ কাজ করে, সাকিবকে ভাল লাগে। সাকিবকে ভালবাসি। সাকিব রাগ দেখালো না কি করল, সেসব নিয়ে চিন্তা আসে না। হুমায়ূন আহমেদ খারাপ মানুষ, সাকিব আল হাসান খারাপ মানুষ, আমি নিজেও খারাপ মানুষ, তাই এদের ভালবাসি। তাই এদের পক্ষে আছি। এদের তেল দেবার কোন সুযোগ আমার নেই। এরা আমার আবেগের জায়গায় আছে। ভালবাসার জায়গায় আছে। হুমায়ূন আহমেদ যেদিন হারিয়ে গেলেন, সেদিন বুকের ভিতর খুব কষ্ট হচ্ছিল, শূন্যতা অনুভব করছিলাম। অনেক দিন পর সাকিবের জন্য এই শূন্যতাটা অনুভব করছি। সাকিব হারিয়ে যায় নি জানি, যাবেও না। আমার মত কারও আবেগের জায়গা জুড়ে থাকবে, আর কিছু মানুষের সমালোচনা জুড়ে থাকবে। সেটা ব্যাপার না। যে জিনিস যত জনপ্রিয়, সে জিনিসের সমালোচকও তত বেশী। মাঝে মাঝে সমালোচকদের বলতে ইচ্ছা করে, যাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন, তার চেয়ে আপনি কোন দিক থেকে এগিয়ে? ভাবুন, এরপর কাজ করুন। অবস্থা এমন, চালনি বলে সুঁইকে, তোর পাছা ফুঁটা।

নিজেরটা যে ঝাঁঝরা সেদিকে খেয়াল নাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৯

মামুন রশিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.