নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাস্টারদা’র শিষ্য সুরেশ দে ও তার ‘শ্রীলেদার্স’

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২২



তিনি পূর্ব বাংলায় জন্মেছিলেন ব্যাস এইটুকুনই জানা যায়। কোথায় জন্মেছিলেন কিংবা তার আদিবাস বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে তা ইন্টারনেট ঘেঁটে পেলাম না!! তাঁকে নিয়ে তার নাতির একটা লেখা ;দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে’- পড়লাম কিন্তু তিনিও শুধু পূর্ব বাংলা বলে চুপ। কেউ কেউ হয়তো জানেন কিন্তু বলতে চাননি- কেন সেটা তো বলতে পারিনা। যিনি প্রায় যৌবনের পুরোটা বাংলাদেশে(পূর্ব বাংলা) কাটিয়েছেন তিনি তার আদিবাস নিয়ে সন্তান আর নাতিদের কাছে গল্প করেননি এটা বিশ্বাস করা শক্ত।

ঋজুতা দে চেন্নাই: একজন ৩৬ বছর বয়সী স্কুলমাস্টার এবং তার শিষ্যরা, ব্রিটিশ রাজের অত্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং তারা স্বাধীনভাবে বাঁচতে চেয়েছিল এবং সাম্রাজ্যের দাসত্বের জোয়াল ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। তারা হয়তো এর চড়া মূল্য দিয়েছে। কিন্তু একটি ব্রিটিশের মুলে চরম এক আঘাত করেছিল। তরুণ বাঙালি পুরুষ ও মহিলাদের একটি ছোট্ট একটা দল নিয়ে চট্টগ্রাম অস্ত্রভাণ্ডার লুণ্ঠন ও দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। আমি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের চট্টগ্রাম শাখার প্রাক্তন সভাপতি 'মাস্টারদা' সূর্য কুমার সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রভাণ্ডারে অভিযান এবং পরবর্তী জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধের কাহিনী উল্লেখ করছি।


*তবে স্বরাজ লাভের পরে পশ্চিম বাংলায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ে সর্ব প্রথম যে চলচ্চিত্র হয়েছিল সেটা্ সুর্যসেন ও তার দলের সেই বীরত্বপূর্ন অসীম সাহসিকতার কাহিনী নিয়ে, ' চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন' নামে সেই চলচ্চিত্র মুক্তি পায় ১৯৪৯ সালে।*

মার দাদা সুরেশ চন্দ্র দে ছিলেন ভারতীয় কংগ্রেস সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম শাখার ৬৫জন সদস্যের একজন।
আমার দাদা একটি স্বাধীন ভারতের ধারণার জন্য তার জীবন উৎসর্গ করতে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এবং তার সহযোদ্ধারা যে মাটিতে রক্তপাত করেছিলেন তা দেশভাগের সময় প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে বাংলাদেশ হিসাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করা এবং অনেক বিস্মৃত বীরদের রক্তের বলিদানের উপর প্রতিষ্ঠিত দেশটিকে লালন করা আমাদের সবার উপর বর্তায়।
মার পিতামহ তার তরুণ জীবনকে একটি স্বাধীন ভারতের আদর্শের জন্য উৎসর্গ করতে বেছে নিয়েছিলেন, কিন্তু জীবনের পরিবর্তন এবং ভাগ্যের অস্থিরতা এমন যে, তিনি এবং তার কমরেডরা যে মাটিতে রক্তপাত করেছিলেন তার পকেটটি দেশভাগের সময় খোদাই করা হয়েছিল, প্রথমে পূর্ব পাকিস্তান হিসাবে। এবং তারপর বাংলাদেশ হিসাবে।
জাতি গঠনের ছায়া রেখা হয়তো আমার দাদা-দাদীকে তাদের মাতৃভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে, কিন্তু এটা আমাদের সকলের উপর বর্তায় যে আমাদের ত্যাগীদের স্মরণ করা এবং আমাদের স্বাধীন দেশের ফল ও স্বপ্নকে লালন করা যা অনেক বিস্মৃত বীরদের রক্তে ভেজা আত্মত্যাগের উপর প্রতিষ্ঠিত।

মনোজ বাজপেয়ী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী আর রাজকুমার রাও এর মত দক্ষ ও জনপ্রিয় অভিনেতাদের কাষ্টিং করে ২০১২ সালে বলিউডে মুক্তি পায় ফিল্ম' চিটাগাং'

স্ত্রাগারের চত্বরে ভারতীয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সময় অন্যদের মধ্যে দুটি বলিউড সিনেমা বিপ্লবীদের উত্সাহকে ধরার চেষ্টা করেছে। কিন্তু স্পন্দন ত্বরান্বিত হয় যখন সুরেশ দে-এর বড় ছেলে শেখর দে বর্ণনা করেন, ‘আমার বাবা জালালাবাদ পাহাড়ে একটি অসম বন্দুক যুদ্ধে তার প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই যুদ্ধে তিনি আহত হয়ে অন্য কমরেডদের সহায়তায় পালিয়ে বেঁচেছিলেন। এরপর তিনি আত্মগোপন করেছিলেন ও বছরের পর বছর ধরে কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পরেন। ভয়াবহ নির্যাতনের পর কারাবরণ করেছিলেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি নতুন আলোকবর্তিকা অনুসন্ধানের জন্য বের হয়েছিলেন। একটি নতুন শহরে একটি নতুন সূচনা, এবং অবশেষে, ছোট্ট 'নাগপুর মালভূমি'র একটি শিল্প শহরে ভিত্তি স্থাপন করা বিভিন্ন বীরত্বের গল্পের টুকরো যা আমরা, তার বংশধর হিসাবে, সর্বদা গর্বিত থাকব’।
চট্টগ্রাম অস্ত্রভান্ডার লুন্ঠনের একই প্লট নিয়ে ২০১০ সালে বলিউডে মুক্তি পায় অভিষেক বচ্চন ও দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ' খেলে হাম জী জান সে'

মাস্টারদা সূর্যসেন এবং প্রীতিলতাসহ তার শিষ্যরা, আয়ারল্যান্ডে ১৯১৬ সালের ইস্টার বিদ্রোহের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, ব্রিটিশ রাজের অত্যাচারকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সূর্য সেন একটি ভিন্ন পরিণতির মুখোমুখি হন: সেনকে ব্রিটিশদের কাছে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল ১৯৩৪ সালে তার বন্ধু তারকেশ্বর দস্তিদারের সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং উভয় ব্যক্তিকে তাদের মৃত্যুদণ্ডের আগে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
‘ভাতে মাছে বাঙ্গালী, এদের দ্বারা ব্যবসা হয় না’--বাঙালির নামে এমন অভিযোগ কান পাতলেই শোনা যায়। কিন্তু এহেন অভিযোগ যে কতটা ভিত্তিহীন তা ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলালেই বোঝা যায়। এই বাংলার ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্বদেশীয়কতার আদর্শে গড়ে তুলেছিল “বেঙ্গল কেমিক্যালস”, আর বাঙালি বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র দে গড়ে তুলছিলেন জুতা কোম্পানি ‘শ্রীলেদার্স’
সালটা ১৯৩০,১৮ই এপ্রিল,ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে একদল ছেলে মাস্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে হামলা চালালো চট্টগ্রামের ব্রিটিশদের অস্ত্রাগারে। চলল অস্ত্র লুট, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল অস্ত্রাগারে, উপড়ে ফেলা হলো রেললাইন। সেই ৬৫জনের তরুণ-যুবকদের দল অস্ত্র হাতে চলল শহরের দিকে, তাদের লক্ষ্য শহরের ব্রিটিশ বাহিনী। শহরে পৌঁছানোর আগেই রাত্রি শেষ হয়ে আসছে দেখে বিপ্লবীরা আশ্রয় নিল স্থানীয় জালালাবাদ পাহাড়ে। হঠাৎ-ই ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী ঘিরে ফেলল জালালাবাদ পাহাড়কে। উপায় না দেখে, বিপ্লবী লোকনাথ বলের নির্দেশে বিপ্লবীরা গুলি চালাতে শুরু করলো পুলিশের ওপর, শুরু হয়ে গেল খণ্ডযুদ্ধ। ওই ৬৫ জন যুবকের দলে একজন ছিলেন বিপ্লবী সুরেশ চন্দ্র দে। যুদ্ধ-চলাকালীন গুলির আঘাতে আহত হয়ে পাহাড় থেকে নীচে পড়ে যান সুরেশ দে। তাঁর সহ বিপ্লবী শান্তি নাগ তাঁকে কাঁধে নিয়ে পালিয়ে আসেন।
প্রায় এক বছর আত্মগোপন করে থাকার পর পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন সুরেশ দে। চলতে থাকলো তার ওপর অকথ্য অত্যাচার। এত আঘাত স্বত্বেও সতীর্থদের সম্পর্কে তাঁর মুখ থেকে একটা কথাও বার করতে পারেনি ব্রিটিশ পুলিশ। বাধ্য হয়ে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে গিয়ে ওকালতি পড়বার প্রস্তাব দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি তাও প্রত্যাখ্যান করেন। পরে, গৃহবন্দী হয়ে থাকার শর্তে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। এমনকি কিরণময়ী দেবীর সঙ্গে বিবাহ হবার সময় ব্রিটিশ প্রহরীর পাহারায় তা সম্পন্ন হয়।
স্বাধীনতা ও দেশভাগের সময় তিনি চলে আসেন এপার বাংলায়। বসতি গড়েন জামশেদপুরে। নিজের দমে কিছু করার লক্ষ্যে, ব্যবসা শুরু করতে চাইলেন। তিনি বুঝতে পারলেন সাধারণ ভারতবাসীর পক্ষে জুতো পরা কোন বিলাসিতার চেয়ে কম কিছু ছিল না, জুতো ছিল বড়লোকদের প্রসাধন সামগ্রী। সুরেশ দে ঠিক করলেন তিনি প্রত্যেকের সামর্থ্যের মধ্যে জুতো তৈরি করবেন।
ত্মদর্শন করার সময়, তিনি পাদুকার ধারণার উপর আঘাত করেছিলেন। তিনি লক্ষ্য করছিলেন যে কীভাবে বেশিরভাগ ভারতীয় খালি পায়ে হাঁটেন। জুতা বা স্যান্ডেল ইউরোপীয় এবং শুধু স্থানীয় ধনী ব্যক্তিদের পরিধানের জন্য এমনটা বোঝানো হয়েছিল এবং এটি জনসাধারণের জন্য বিলাসিতা হিসাবে বিবেচিত হত। তাদের জুতা কেনার কোনও উপায় ছিল না। বেশিরভাগই অসম নুড়িযুক্ত পৃষ্ঠ, ময়লা এবং নোংরা-ভরা রাস্তা এবং গলিপথে চরম আবহাওয়ায় হেঁটে এবং পায়ের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।
আর এই পরিকল্পনা থেকেই ১৯৫২ সালে জামশেদপুরে শুরু হল শ্রীলেদার্সের পথচলা। প্রথমে ছিল একটি জুতোর দোকান। তবে স্বল্প দামে চামড়ার জুতো জনপ্রিয় হতে বেশি সময় লাগেনি। ধীরে ধীরে ব্যবসাও বাড়তে থাকে। একটি দোকান থেকে ভারতের নানা প্রান্তে তৈরি হল আউটলেট। তবে এসবই মূলত সুরেশ দে-র ছেলেদের হাত ধরে।
১৯৯০ সালের ২১ মে প্রয়াত হলেন সুরেশ দে। তারপর ব্যবসার দায়িত্ব নিলেন তিন ছেলে শেখর, সত্যব্রত এবং আশিস। ভারতের বাইরে জার্মানি, গ্রিস এবং কুয়েতেও ব্যবসা শুরু করেছে শ্রীলেদার্স। শুধু ভারতবর্ষেই কোম্পানির শোরুম আছে অন্তত ৩০টি। সব মিলিয়ে বছরে টার্নওভার প্রায় ১০০ কোটির উপরে।
কোম্পানির ট্যাগলাইনে বলা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস, রাইট প্রাইস’। তবে সেই বিশ্বমানের নিচেই লুকিয়ে আছে খাঁটি স্বদেশি উদ্যোগের ইতিহাস। স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক রক্তও মিশে আছে তাতে। আর আছে অসংখ্য মানুষের আবেগ আর নস্টালজিয়া।

বানিজ্যিকভাবে শ্রীলেদার্সকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে গেলেও, এমন একটা ঐতিহ্যের জন্ম সব কোম্পানি দিতে পারবে না।

লেখাসুত্রঃ

দি এভিনিউ মেইল
গেট বেঙ্গল
দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
বং পাইওনিয়ার
ঐক্য বাংলা

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:


অস্ত্রাগার লুন্ঠনকারীদের মাঝে যাঁরা জীবিত ছিলেন, প্রায় সবাই পরে ওপারে চলে গিয়েছিলেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আপনি কি শ্রী লেদারস এর নাম শুনেছেন?

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



শ্রী-লেদার্সের নাম আগেও শুনেছি; তবে, মালিকানায় যে, বিপ্লবী পক্ষের লোক ছিলেন তা জানা ছিলো না।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: নাম শুনেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বিপ্লবীদের হাতে ব্যবসা পড়লে কি হয়, তার নমুনা সম্ভবত।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি সেটা কেমন?
এর মধ্যে খারাপ তো কিছু দেখছি না আমি

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ফ্রি স্কুল স্ট্রীটে একটা হোটেলে থাকার সময় দোতালার বিশাল জানালা দিয়ে পিছনের একতালার ছাদের মহাযজ্ঞ দেখতে পেলাম । সুটকেস তৈরি হচ্ছে । একতালা দোতালা মিলিয়ে প্রচুর লোক কাজ করছে । একটা ব্যানারের মধ্যে বিশাল আকারে শ্রী লেদারস দেখে বুঝলাম এটা নিউ মার্কেটের কাছে শ্রী লেদারসের শো রুমের পন্য এখানে তৈরি হচ্ছে । বিপ্লবীর জীবন কাহিনী আগেই পড়েছি এবং শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছি সুরেশ বাবুকে । বিশাল কারবার ওদের সারা ভারত জুড়ে ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: বিশাল অভিজ্ঞতায় পূর্ণ আপনার জীবন।
আপনার কাছ থেকে সবসময় নতুন কিছু জানার থাকে!
জেনে ভালো লাগলো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই -ভালো থাকবেন।

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রীলেদার্সের মালিক যে বিপ্লবী এটা একেবারেই জানতাম না। ভালো লাগলো এমন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগীর ইতিহাস জানতে পেরে। আমি বেশ কয়েকবার শ্রীলেদার্সের জুতো ব্যবহার করেছি। সস্তা একথা অস্বীকার করবো না কিন্তু জুতো পড়ে একটুও আরাম পাওয়া যায় না। শ্রীলেদার্স এত বছর ব্যবসা করেও এই সমস্যাটি আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
আশাকরি ভালো আছেন প্রিয় তপন ভাই। লাগাতার কর্মব্যস্ততায় ব্লগিংকে শিকে তুলে রেখে বাধ্য হয়েছি ফেবুতে শটকাট ছাদ বাগানে পোস্ট করতে।
যাইহোক পোস্টে লাইক।
নিরন্তর শুভকামনা আপনাকে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী-ভাই
অন্য কাজের ফাঁকে ইদানিং ছাদ কৃষি যে পরিমান ব্যাস্ত আপনি তাতে ব্লগে আসা বেশ কষ্ট বৈকি!
তবে আপনাকে মিস করি নিয়মিত। আপনার লিখা আর মন্তব্য ব্লগ আর ব্লগারদের সমৃদ্ধ করে দারুনভাবে।

আমি দু-জোড়া জুতা (লোফার- মুকাসিন ভাল নয়) ব্যবহার করি ওদের মোটামুটি কম্ফোর্টেবল! ওদের বেশীরভাগ ডিজাইন একটূ সেকেলে।
অনেক অনেক ধন্যবাদফ ও কৃতজ্ঞতা- মাঝে মধ্যে এসে চরন্ধুলি দিয়ে যাবেন।

অ।ট। আপনাকে উৎসর্গ করে একটা লেখা রেডি রেখেছিলাম। আপনি অনিয়মিত লেখাটা দেয়া হয়নি।


৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শ্রীলেদার্স নামটা চেনা চেনা!! এই টুকুই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: ওইটুকু থাকলেই চলবে। ভারতে যার আনিয়মিত ভ্রমন করেন তারা ভাল চেনেন। একসময় নাকি ভীষন সস্তায় চামড়াজান পণ্য পাওয়া যেত।

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০

আল ইফরান বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম, তপন ভাই।
আমি শ্রী লেদার্সের মির্জা গালিব স্ট্রীটের শোরুমে গিয়েছিলাম করোনার আগের বছর। ওদের প্রোডাক্ট কোয়ালিটি বেশ ভালো, কিন্তু দাম বেশি মনে হয়েছে আর ডিজাইনের ভ্যারিয়েশন কম (আমাদের যমুনা ফিউচার পার্ক/ বসুন্ধরা সিটির এপেক্স/বাটাতে বরং বৈচিত্র্য বেশী)।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২

শেরজা তপন বলেছেন: একসময় আমাদের সবসময় বকাঝকা শুনতে হোত কিংবা ব্যাখ্যা করতে হয় কেন ওদের প্রডাক্ট দামে এত সস্তা আর আমাদের আকাশ্চুম্বি! এখন শুনি উল্টোটা :)
আপনি মাঝে মধ্যে ভিনগ্রহের তারা হয়ে যান কেন ভায়া- অনেকদিন বাদে আপনাকে ফের পেলাম! খুব আনন্দিত হলাম দেখে।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই লিখা পড়ে আচমকা মনে হলো এটা অবশ্যই শেরজা তপনের লিখা তবে শেরজা তপন যেন লিখাতে নেই !!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: কেন আমি আবার কোথায় গেলাম??
লেখা পড়েই যখন আমার লেখা মনে হয়েছে তখন আড়ালে আবডালে আমি আছি নিশ্চিত! :)

৯| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা পড়তে পড়তে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় চলে গিয়েছিলাম। 'বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয়েছিল, আমিই সূর্যসেন'! (সুকান্তের লেনিনের স্থলে মাস্টারদা)।

চিটাগাং ছবিটা মিনিট কয়েক দেখলাম। এটা মুক্তি পাওয়ার পর এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল, যদিও তা খুব একটা আমি নিজে পড়ি নি।

শ্রীলেদার্সের নাম শুনলাম আজই প্রথম। বাংলাদেশে কি এই জুতা আছে?

সকল বিপ্লবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের কারণেই এ উপমহাদেশ ব্রিটিশমুক্ত হয়েছিল।

সুন্দর লেখা তপন ভাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: বাংলাদেশে সম্ভবত যমুনা ফিউচার পার্কে আছে।
চিটাগাং ছবিটা মিনিট কয়েক দেখলাম। এটা মুক্তি পাওয়ার পর এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল, যদিও তা খুব একটা আমি নিজে পড়ি নি।
~ হ্যা হিন্দিতে একটূ ড্রামাটিক আর ওলট পালট হবেই। তবে ভালই করেছে।
লেখাটা পড়তে পড়তে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ায় চলে গিয়েছিলাম। 'বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয়েছিল, আমিই সূর্যসেন'! (সুকান্তের লেনিনের স্থলে মাস্টারদা)।
~ আপনি আসলেই মন্তব্যা গুরুস্থানীয় :)
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা- চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

১০| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার লেখা জানার দরজা জানালা খুলে দেয়। আগ্রহী হয়ে পড়তে হয়।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে আমারও বেশ ভাল লাগল- ব্লগ ও ব্লগারদের সাথে থাকুন।
অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার সুস্থতা কামনা করছি।

১১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছু জানা ইতিহাসের সাথে বেশ নতুন কিছু তথ্য !
ধন্যবাদ শেয়ারের জন্যে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি গত পোস্টে আসতে চেয়েছিলেন ফের- আসলেন তবে পরেরটায় :)
যাক আমার সৌভাগ্য যে, আপনি এসেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শ্রী লেদর্সের সুনাম এখন কেমন? বাটা, এপেক্সের চেয়ে বেশি?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: বাটা এপেক্স সন্মন্ধে যতদুর জানি; এদের সুনাম পড়তির দিয়ে। বাজে প্রডাক্ট দিয়ে বাটার বিক্রি অনেক কমে গেছে!
এপেক্স ব্যাবসা এত বড় করে হিমশিম খাচ্ছে।
শ্রী লেদার্সের অবস্থা সে তুলনায় ভাল মনে হয়। ভারতে বিশাল ব্যাবসা ওদের যদিও সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বাটাও আছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।

১৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় অবতারণা করেছেন।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১০

শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন ব্রাদার

১৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৫২

কাছের-মানুষ বলেছেন: শ্রীলেদার্স নামটির সাথে আমি পরিচিত নই তবে এরকম ইতিহাস যে প্রতিষ্টানের পিছনে আছে তা নিশ্চয়ই বিরল ঘটনা।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল!
যাক আমার মাধ্যমে চিনতে পারলেন না হয়। জ্বী পেছনের ইতিহাসটা বেশ ইন্টারেস্টিং।
ভাল থাকবেন।

১৫| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন নিয়ে সিনেমার কথা শুনেছিলাম। একটা সিনেমা আংশিক দেখেছিলাম টিভিতে।

শ্রী লেদারের মূল মালিক বাংলাদেশের ছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই পূর্ববাংলার। ভারতবর্ষের মানুষ এক সময় খালি পায়ে হাটতো জুতা কেনার সামর্থ্য না থাকার জন্য এটা এখন বিশ্বাস হতে চায় না। ভালো পোস্ট, অনেক কিছু জানলাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই পূর্ববাংলার; হ্যা তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদেও অধিষ্ঠ হয়েছেন বা আছেন।
শ্রী লেদারের মূল মালিক বাংলাদেশের ছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো; জানাতে পেরে আমারও ভাল লাগল। :)

ভারতবর্ষের মানুষ এক সময় খালি পায়ে হাটতো জুতা কেনার সামর্থ্য না থাকার জন্য এটা এখন বিশ্বাস হতে চায় না; ভারতবর্ষের কিছু মানুষ সবসময়ই হতদরিদ্র ছিল। ত্রিশ চল্লিশের দশকে পরিস্থিতি বেশ নাজউক হয়ে পড়ে।

বরাবরের মত চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৬| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রতিমন্তব্যে আবার আসা। জ্বী তপন ভাই আমার মতো অর্বাচীনকে পোস্ট উৎসর্গ করে পোস্টটির সৌন্দর্য হানি না করতেই পারেন।আর নেহাতই যদি করেন তাহলে একটু পরে করিয়েন। এসময় বড্ড অনিয়মিত হয়ে গেছি। ভালো থাকবেন। শুভকামনা আপনাকে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে কোন সমস্যা নাই- আপনি অতি শীগ্রই ফের নিয়মিত হবেন বলে আশা!

* আপনি অর্বাচীন হলে আমি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ি সেইটে ভীষন ভাবনার বিষয়!

১৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৯

অপু তানভীর বলেছেন: বিপ্লবী থেকে ব্যবসায়ী !
একটা সময়ে সত্যিই জুতা ছিল অভিজাত শ্রেণীর চিহ্ন ।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২১

শেরজা তপন বলেছেন: অনেকদিন পরে আমার ব্লগবাড়িতে!
ঠিক বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ-ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.