| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশ এক সন্ধিক্ষণে: অর্থনীতি নিস্তেজ, শিক্ষা বিভ্রান্ত, রাজনীতি অনিশ্চিত
বাংলাদেশ আজ যেন এক গভীর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। অর্থনীতির মঞ্চে উদ্বেগ, শিক্ষানীতিতে বিভ্রান্তি, আর রাজনীতির অঙ্গনে অনিশ্চয়তা—এই তিনটি ধারা একত্রে বর্তমান সময়ের বাস্তবতাকে চিহ্নিত করছে। আজকের পত্রিকাগুলোর খবর একসাথে পড়লে স্পষ্ট হয়, আমরা এক বহুমাত্রিক সংকটের ভেতর দিয়ে হাঁটছি।
অর্থনীতিতে সতর্ক সংকেত
বণিক বার্তা জানিয়েছে, টানা তিন মাস ধরে রফতানি প্রবৃদ্ধি কমছে—অক্টোবরে পতন ৭.৪৩ শতাংশ। পোশাকশিল্পনির্ভর অর্থনীতিতে এই প্রবণতা শুধু সংখ্যার খেলা নয়, বরং কর্মসংস্থান, ডলার রিজার্ভ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, রাজনৈতিক স্থিতি থাকা সত্ত্বেও যদি রফতানি আয় কমে, তবে তা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা ও উৎপাদন কাঠামোর দুর্বলতার ইঙ্গিত বহন করে।
যেখানে জুলাই মাসে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল, সেখান থেকে তিন মাসেই ধস নেমেছে—এ এক বিপজ্জনক গতি।
শিক্ষানীতিতে পশ্চাদপসরণ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষকের পদ বাতিল—এটি কেবল একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং সমাজের সংস্কৃতিগত গতিপথের প্রতিফলন।
শিক্ষাবিদরা একে “শিশুদের সৃজনশীল বিকাশের পথে আঘাত” বলে বর্ণনা করেছেন।
একদিকে সরকার বলছে আধুনিক পাঠ্যক্রম ও শিশুবান্ধব শিক্ষা চালু করছে, অন্যদিকে ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে—এ যেন দুই বিপরীত স্রোতের মিলন।
এতে শিক্ষাক্ষেত্রে নীতিগত অস্থিরতা আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
রাজনীতিতে টানাপোড়েন ও অনিশ্চয়তা
জুলাই জাতীয় সনদ, গণভোট এবং নির্বাচন—এই তিনটি শব্দই এখন রাজনৈতিক আলাপের কেন্দ্র।
অন্তর্বর্তী সরকার দলগুলোকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে ঐকমত্যে পৌঁছাতে।
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বিভাজন, সন্দেহ ও কৌশলগত নীরবতা—সব মিলিয়ে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এগোচ্ছে ধীরে ও দ্বিধাগ্রস্তভাবে।
সরকার বলছে, ঐকমত্য না এলে নিজস্ব সিদ্ধান্তে এগোবে—এর মানে দাঁড়ায়, রাজনৈতিক সংলাপের জায়গা সঙ্কুচিত হচ্ছে।
এর ফলে যে কোনো সিদ্ধান্তই পরবর্তীতে আরও বড় দ্বন্দ্বের জন্ম দিতে পারে।
নির্বাচন: আশার প্রতীক না উদ্বেগের ছায়া?
নির্বাচন কমিশনের প্রধান নাসির উদ্দিন আজ বলেছেন—দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর।
এটি সত্য, কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই নির্বাচন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক, কতটা বিশ্বাসযোগ্য?
যদি দলগুলো একমত হতে না পারে, গণভোট ও নির্বাচনের ফলাফলই নতুন বিভাজনের কারণ হতে পারে।
দেশের মানুষ আজ সেই উত্তর খুঁজছে—“এই ভোট কি সত্যিই পরিবর্তনের সুযোগ এনে দেবে?”
উপসংহার: দিশাহীনতার মধ্যে দায়বোধ
অর্থনীতি টালমাটাল, শিক্ষায় মূল্যবোধের সংকট, রাজনীতিতে ঐকমত্যহীনতা—এই তিনটি স্তম্ভের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ।
যদি এখনই স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত, আন্তরিক সংলাপ ও বাস্তবভিত্তিক নীতি গ্রহণ না করা যায়, তবে অগ্রগতি নয়, আমরা ফিরে যাব এক অচলাবস্থায়।
বাংলাদেশের উন্নয়ন কেবল সংখ্যার নয়—এটি মানসিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ভারসাম্যেরও প্রশ্ন।
এখন সময় সিদ্ধান্তের—আমরা কি এগোবো যুক্তির পথে, নাকি আবারও গোঁড়ামি ও কৌশলের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যাবো?
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২১
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন:
হ্যা ছোট বাবুরা গরুর রচনা পড়বে আপনার মত, আর যারা বড় তারা গরুর রচনা ভেবে পড়বে না, কেমন। আপনি বলেন পায়খানা, ইডিয়ট, গার্বেজ এগুলা দেখে পড়তে আসবে কেন? ভেবে দেখতে পারেন। যখনি পড়তে আসবে, তক্ষণি আপনার চেহাড়াটা ভেসে উঠবে, তক্ষণি স্থান ত্যাগ করবে এটাই স্বাভাবিক।
২|
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে শান্তি ফিরে আসুক।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৪
এস.এম. আজাদ রহমান বলেছেন: শুভেচ্ছা ও শুভকামনা আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনার গরুর রচনা পড়ার আগ্রহীর সংখ্যা কমছে?