somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অরন্য

২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাস্তায় একায় দাড়িয়ে আছে রুদ্রাণী | আবছা কুয়াশায় ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না অরন্যকে |

# কখন থেকে দাড়ায় আছি আমি তোমার কেবল সময় হলো আসার |
= আমি তো এখানেই ছিলাম তোমায় দেখছিলাম |

# কি বলো একদম মিথ্যা বলবা না আমার সাথে |

= রুদ্রাণী তোমায় মিথ্যা বলতে আমার আশ্চর্যরকম ভালোলাগে |

# কি হয় বলো তো আমি তো তোমার সব মিথ্যা বুঝতে পারি ...

= হুম তুমি আমায় সহ্য কর তাই তোমায় ভালোবাসি এতো ....

# ঢং করবে না একদম ...



তারপর দুজনে হাটতে শুরু করলো | রুদ্রাণী রোজ ভোরে এখানে আসে অরন্যের সাথে শিউলী বনে যায় ...

এইসময় শিউলীবন শুভ্রফুলে ভরা থাকে | রুদ্রাণী ফুল কুড়িয়ে মালা গেথে অরন্যকে দেয় |

- রোজ একই মালা গাথো কেনো তুমি |

- তোমায় দিবো বলে |

- ভালোবাসো সেটা তো জানি কিন্তু এতো কেন?

- উওর নেই কখনো নিজে জানতে পেলে তোমায় বলবো ......



অন্তুনীল রোজ সকালে এই মেয়েটাকে শিউলীবনে দেখে | একা একা মেয়েটা কথা বলে মালা গাঁথে আর তারপর কি কারনে যেন মালাটা রেখে চলে যায় | অন্তুনীল ঠিক তারপর গিয়ে ফুলের মালাটা নিয়ে আসে |

মেয়েটাকে সে অনেক খুঁজেছেন কিন্তু পায় নি কারণ কুয়াশার মাঝে রোজ মেয়েটা কোথায় যেন উধাও হয়ে যায় ....


প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে | প্রকৃতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে তাই এখন কোনকিছুই ঠিক নেই তাই এই অবস্থা |

হাড়কাপানো শীতে হঠাৎ বৃষ্টি তাই রাস্তা পুরো ফাকা | অন্তুনীল তবু বের হয়েছে | প্রকৃতির বাধার জন্য তো আর জীবন থেমে থাকে না |



হঠাৎ দেখে লাল শাড়ি পরা একজন বৃষ্টিতে ভিজছে |

এতো ঠান্ডা আর উপর বৃষ্টি পানি এতো ঠান্ডা কিভাবে সম্ভব |

# রুদ্রাণী তোমার তো বৃষ্টি পছন্দ না আজ কেনো ভিজছো ?

= অরন্য শীতকালে বৃষ্টি আমায় ভালোলাগে |

# কখনো তো বলো নি ?

= কখনো শুনতে চেয়েছিলে |

অন্তুনীল দেখলো সেই শিউলি বনের মেয়েটা আজও একায় একায় কথা বলছে আর বৃষ্টিতে ভিজছে |

আজ কথা বলবোই বলবো অন্তুনীল মনে মনে ঠিক করে নিলো |

# এই যে ভিজছেন কেন এভাবে অসুস্থ হবেন তো |

= আপনার কোন সমস্যা তাতে |

বলে রুদ্রাণী হাটা শুরু করলো | অন্তুনীল আজ আর সহজে ওকে ছাড়লো না পিছু নিলো | মেয়েটা কথা বলেই যাচ্ছে অনর্গল কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই |

# ছেলেটা আমায় ওভাবে বললো তুমি কিছু বললা না কেনো?

= ঠিকই তো বলেছে |

# কি বললে অন্যকেউ আমায় কিছু বলবে আর তুমি তার হ্যা তে হ্যা মিলাবে | তোমার এই অভ্যাসের জন্য মাঝেমধ্য তোমায় খুন করতে ইচ্ছা করে |

= হা হা হা

# হাসবো না খবরদার | সবসময়ই একই কাহিনী | তুমি আর আমার সাথে আসবা না যাও ভাগো এখান থেকে |

= আচ্ছা

# আচ্ছা মানে কি?

= তুমি আমায় না রাখতে চাইলে আমি তো থাকতে পারবো না রুদ্রাণী |

# হু তা থাকবে কেনো | জানি তো সব |

= না তুমি কিচ্ছু জানো না আমি যে তোমার হেলুসিনেশন তা তুমি বিশ্বাস করতে চাও না |

# কি বলো এগুলো | হেলুসিনেশন কেন হবে এই তো তোমায় ছুঁতে পারছি তোমার সাথে কথা বলছি |

= সব তোমার কল্পনা রুদ্রাণী |

# কখনো না |

= সত্যি আমায় ভাবা বন্ধ করো দেখবে আমি আসবো না |

# না পারবো না |

= পারতে হবে তোমার নিজের জীবনের জন্য |


# দরকার না আমি ভাবতে চাই না |


মেয়েটা প্রচন্ড কাঁদছে | বৃষ্টি জলেও মেয়েটার চোখের জল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে |


অন্তুনীল কি করবে বুঝতে পারছে না | হঠাৎ কি এমন হলো মেয়েটার এতো কাঁদছে কেনো |

কিছুক্ষণ পর মেয়েটা অন্তুনীল দেখলো মেয়েটা তারদিকে আসছে |

# এই যে শুনুন আপনি আর আমার আশেপাশে কখনো আসবেন না |

- কেনো?

# কারণ আমি অরন্যকে ভালোবাসি | আর সেই আমার ভবিষ্যৎ আপনি নন |

- ভালোবাসার কথা আমি কখনো বলছি আপনাকে?

# শিউলীমালা গুলো আপনার কাছে আপনি রোজ আমায় দেখতে শিউলীবনে আসেন সবসময়ই আমায় খোজেন এগুলো কি তাহলে |

- আপনি সব জানেন?

# আমি না অরন্য সব জানে | ও আমাকে সব বলেছে কিন্তু আমি বিশ্বাস করি না ও ছাড়া কেউ আমায় ভালোবাসতে পারে না |

অন্তুনীল কি বলবে বুঝতে পারছে না |

# এবার তোমায় ভালোবাসতে কোন বাধা নাই তো অরন্য ....দেখো ওকে ফিরিয়ে দিয়েছি ...

= পুরো পাগলী তুমি রুদ্রাণী আমায় নিয়ে বৃথা মেতে আছো তুমি |

# জীবনের সবকিছুই স্বারথের জন্য করতে হয় না অরন্য .........




সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×