somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্যর্থতার দায়ভার!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ মনটা অ্যাতো উদাস ক্যানো ?স্মৃতির পাতা থেকে টুকরো টুকরো করে বন্ধুদের সব কথা মনে পড়ছে কেন আজ?/:)
বন্ধুদের সাথে রেললাইন ধরে হাটা,খুনসুটি,বাচ্চাদের মত ঝগড়া,ছেলেবন্ধুদের সিগারেট খেতে দেখে রাগ করে নিয়ে ফেলে দেয়া,আমতলা সব মনে পড়ছে।ঐদিন গুলো ফিরিয়ে আনার আর কোন ব্যবস্হা নেই কেনো?
স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছুর মাঝখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনটা অনেক বেশী মধুর,অন্তত আমার কাছে এমনটা মনে হয়েছে।আবার অনেক বেশী কষ্টেরও।পরিনত বয়সের সম্পর্ক,পরিবেশ অনেকাংশেই আমাদের মনে অনেক গভীর প্রভাব রাখে,যার বিশাল একটা অংশ জুড়ে আছে বিশ্ববিদ্যালয়।
যাইহোক,বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদায় জানানোর সময় অনেক কাছে চলে এসছে।
ঈদের আগে আগে এইসব মনে পড়ার একটা বড় কারন হচ্ছে হলে বসে মন খারাপ হলে সাথে সাথে বন্ধুদের কাছে ছুটে যেতাম,কিছুদিন পর এই উপায় আর থাকবেনা।
এইটা মনে পড়তেই মনের পর্দায় ভেসে উঠে বন্ধুদের চেহারা।যদিও অনেক সময়ই অনেক সিরিয়াস ঝগড়া আমরা করেছি কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ওদের ছেড়ে আসতে কেমন লাগবে।পহেলা বৈশাখ,পহেলা ফাগুন,ভ্যালেন্টাইনস ডে অথবা ফ্রেন্ডশিপ ডে অথবা কারো বার্থডে উফফফফ কতরকমই না লাল-নীল-সবুজ দিনগুলা গেছে!!
একটা রেসটুরেন্টে বসে একবার খাচ্ছি,বিভিন্ন কথার মাধ্যমে এ ওকে খোঁচা দিচ্ছি ও ওকে খোঁচা দিচ্ছি এমন সময় আমাদের এক বান্ধবী খোঁচা সইতে না পেরে দিলো একবন্ধুর গায়ে হঠাত করে মুখভর্তি পানি উগড়ে।
আমরা তো ভাবছি কি মাইন্ডই না করবে বেচারা!!হঠাত বন্ধুটি হাঃ হাঃ করে হেসে উঠে,আমরাও হাসতে শুরু করি।
আমাদের ঘোরার জন্য প্রিয় জায়গা ছিল চারুকলা এলাকা,রেললাইন ধরে হাঁটা।প্রথম যখন হাঁটতে যাই তখন হঠাত হাঁটতে হাঁটতে আবিস্কার করি যে রেললাইনের নিচে একটা খালের মত আর ঠিক সে জায়গাতেই কয়েকটা পাটাতন নেই:(
আমরা দুইটা মেয়ে চলে আসব বলে ঠিক করেছি,এইসময় আমাদের একবন্ধু এসে বলে আমার হাত ধরে চোখ বন্ধ করে আয় কিছু হবেনা।প্রথমে রাজি হইনা পরে রাজি হই।হাত ধরে চোখ বন্ধ করে হেটে এসে দেখি,খালটা পার করে এসেছি!!ওয়াও কি মজা!!
আমরা কোথায় খুশি প্রকাশ করব বন্ধুটি বলে কি মজা আমি আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ।:|

ক্লাসে বসে কত শয়তানী যে করেছি;)
যেসব টিচারদের ক্লাস ভালো লাগতোনা সেইক্লাসে বসে গান শোনা,আর খাতা চালাচালি করে চলত কমেন্ট লেখা।উফফফফফফফ! কি যে একেকটা ফাজলামো করতাম।
লিটারেচার ক্লাসে একে অপরের মতের অমিল হলে রীতিমত টিচারের সামনেই ঝগড়া।
আমতলায় ঝগড়া,পরীক্ষার ডেট নিয়ে ঝগড়া।কেউ আগে পরীক্ষা চাই কেউ পরে,আমাদের সিদ্ধান্তেই যেনো পরীক্ষা হবে এমন ভাব!!
পরীক্ষার হলে বসেও কম না কেউ।
এইবার রবিবারে একটা পরীক্ষা ছিল।পরীক্ষার খাতায় ডেট লিখতে হয়।আমার পাশে বসা রূপালীকে মারিয়া জিগ্গেস করে কিরে রুপালী আজ কি বার?
রবিবার।
আরে গাধী রবিবারের ইংরেজী বল
রবিবারের ইংরেজী?
জানিনা!!:-/
এরকম লক্ষ কোটি ঘটনা আছে মনে পড়ে,আর মনে পড়লেই চোখ পানিতে ভিজে আসে।
সেই প্রথম বছর থেকে এখন পর্যন্ত কখনো মনে আসেনি আমার শেষটা বিয়োগান্তক হতে পারে,আজ শেষটা বিয়োগান্তক সব দিক দিয়ে।
বন্ধুদের সাথে যোগাযোগটা অনেক কমেছে ইদানিং।এই মোবাইল,নেটের যুগেও,হয়তবা এটা আমারই ব্যর্থতা।
জীবন কোথায় যাচ্ছে,যাবে কিছু বুঝতে পারিনা।গত পনেরটা দিন যে জিনিসটা বেশী ভাবাচ্ছে সেটা হল হয়তবা জীবনে সফল হতে পারবনা।কোনদিক দিয়েইনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার মুল উদ্দেশ্য ছিল পড়ালেখা,আর পড়ালেখা করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো।আজ সে আশা আমার কাছে সুদূর পরাহত।আর এই ব্যর্থতার দায়ভারও আমার!!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:২১
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×