ভারত - পাকিস্থান ভাগ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতের সরকার প্রতি কর্মে প্রমান করেছে তারা পাকিস্থানিদের বেলায় অনেক দুর্বল। আন্তর্জাতিক পলিসি সিস্টেমে চিন্তা করলে দেখা যায় দুর্বল হওয়ার প্রধান কারণ পাকিস্থানের সাহস ও অস্ত্রের ক্ষমতা। ভারত একটি বিশাল দেশ যেখানে হিন্দি ও ইংরাজি ছাড়া প্রায় ২১ টি ভাষা ব্যবহার হয় এছাড়া আরো অনেক ভাষা রয়েছে যা বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে না। সম্ভবত ২০১২ সালে একজন ভারতের মহিলা মৃত্যুবরণ করেন যে কিনা প্রায় ১০০ টি আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারতেন। তার মানে ভারত একটি বিশাল বড় রাষ্ট। কাশ্মীর থেকে শুরু করে আসাম পর্যন্ত অনেক এলাকা তারা আলাদা রাষ্টের জন্য প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় পাকিস্থানের সাহস ও অস্ত্রের কাছে ভারত সরকার পঙ্গু বা একেবারেই দুর্বল।
ভারতের সবসময় একটি ভয় কাজ করে নিজদের মধ্যকার সমস্যাকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তান ভারতকে চুরমার করে দেবে। আমি জানিনা পাকিস্তান সেটা চায় কি না। তবে ভারত যে ইটা মনে করে তা বিশ্ববাসী জানে। ভারত সরকার তাদের সকল কৌশল ব্যবহার করে পাকিস্থানের কাছ থেকে রক্ষার চেষ্টা করে।
ভারত সরকার সরাসরি কৌশলীর বাহিরে ক্রিকেটের মাধ্যমে ও পাকিস্তানিদের তেল মারার কাজ করে। ভারতের সবচেয়ে বড় বানিজ্য ফিল্ম বানিজ্যের মাধ্যমে ও ভালো তেল মেরে যাচ্ছে। সম্প্রতি বজরঙ্গি ভাইজান নামের একটি সিনেমাতে আচ্ছা করে তেল মেরেছে পাকিস্তানকে।
বজরঙ্গি ভাইজান সিনেমায় সাহিদা নামের মূল চরিত্র একটা কাল্পনিক যা দেখে সবাই বুঝবে এটা সত্য হওয়ার নয়। কিন্তু আমাদের ফেলানি একটি সত্য চরিত্র। ফেলানি খুন হয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষীদের হাতে। ভারতের মানবাধিকার কিংবা ফিল্ম ডিপার্টমেন্টে যদি এত মানব প্রেম তাহলে সত্য কাহিনী নিয়ে কেন ফিল্ম তৈরী করে না ?কেন কাটাতারে ঝুলন্ত বাংলাদেশীদের একটি জীবন নিয়ে ফিল্ম তৈরী করে না ? বছরের পর বছর হাজারে হাজার লাশ করে দেওয়া হচ্ছে জীবন্ত বাংলাদেশীদের ভারতের সীমান্ত রক্ষী খুনিদের দিয়ে এসব ওদের চোখে পরে না।
আসল খবর বিশ্ববাসী জানে তেল মারার লক্ষেই এসব মায়াকান্না। পাকিস্থানের গোলাবারুদের ভয়ে তোমারা ফিল্ম তৈরী করতে পার। কিন্তু তোমাদের বাহিনী দ্বারা আমাদের দেশের জনগণকে খুন করা হচ্ছে এসব নিয়ে কিছু বল না। বিশ্ব জানে "শক্তের ভক্ত নরমের যম "হলো ভারত।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১০