সামহোয়্যারইন ব্লগের পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত সিইও সৈয়দা গুলশান ফেরদৌস জানা বলেছেন, “দুই মহল থেকে দুই ধরনের বক্তব্য দেয়া হচ্ছে আমার ও আমাদের প্লাটফর্মের বিরুদ্ধে। একপক্ষ বলছেন আমরা ধর্মবিরোধী আর অন্য পক্ষ বলছে আমরা জামায়াত-শিবিরের মদদদাতা, তাদের সমর্থন করি। এসব বক্তব্যই আমাদের জন্য দুঃখজনক। এগুলোর আমরা প্রতিবাদ জানাই। আমরা স্বাধীনতার পক্ষে এবং শুধু ইসলাম নয় সব ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।”
সোমবার ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
টক’শোতে বা অন্য কোথাও যারা সামহোয়্যারইন ব্লগকে জামায়াত-শিবিরের প্লাটফর্ম বলছেন তাদের প্রতিষ্ঠানটির আয়ের উৎস অনুসন্ধানের অনুরোধও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে উত্তরে জানা বলেন, “একটি বাগানে যেমন নানা সুগন্ধি ফুল থাকে তেমনি কিছু ক্ষতিকারক কীটও থাকে, তেমনি এক লাখ ৪১ হাজার ব্লগার প্রতিদিন এক হাজারের অধিক পোস্ট করছেন। এতো পোস্টের মধ্যে কিছু অপত্তিকর, প্রচলিত আইনবিরোধী, কিংবা ধর্মবিরোধী পোস্ট থাকতে পারে। তবে এই পোস্টগুলো ব্লক করা বা সরিয়ে ফেলার মতো জনবল এখন আমাদের নেই। তবুও আমরা যতটুকু পারছি সরিয়ে ফেলছি।”
জানা বলেন, “সবাইকে অনুরোধ করবো, খারাপ কিছুকে গণনা না করে যা মঙ্গলজনক সেগুলোকে প্রাধান্য দিই।”
জানা বলেন, “সম্প্রতি আমার নাম, মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একটি বিশেষ মহল ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে আপত্তিকর পোস্ট দিচ্ছে, যা আমার জন্য হুমকিস্বরূপ। আমি, আমার স্বামী এবং আমার একমাত্র সন্তান এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
দেশে সব ব্লগারই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে জানা বলেন, “শুধু সামহোয়্যারইন ব্লগ না দেশে সব বাংলা ভাষাভাষী ব্লগের ব্লগাররা একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একপক্ষ তাদের বলছেন নাস্তিক, অন্যপক্ষ তাদের বলছেন স্বাধীনতাবিরোধী।”
তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবার এবং অন্যান্য ব্লগারদের নিরাপত্তাহীনতার ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সর্বোচ্চ মহলে যোগযোগ করেছি। আজকের মধ্যেই আমি আমার স্থানীয় থানায় এ ব্যাপারে একটি জিডি করবো এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রশাসনের পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।”
আমার মন্তব্য ঃ
ধন্যবাদ জানা আপু সঠিক সময় সামু ব্লগের অবস্থান স্পর্শ করার জন্য । যারা মুক্ত চিন্তার মানুষ শুধু তারাই উপলব্ধি করতে পারবে যে, সত্যিই সামুর অবস্থান নিরপেক্ষ এবং মুক্ত মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে । এই যে আমি আমারোতো বেশ কয়েকটি পোষ্ট সরিয়ে নিয়েছে যদিও সেগুলো ধর্মনিয়ে ছিলনা তবুও কিছু মানুষ উক্ত পোষ্টগুলোতে অনেক বাজে মন্তব্য করেছিল । ব্লগে যারা লিখেন তারা কে কোন ধর্মের অনুসারী বা কোন রাজনীতিতে বিশ্বাসী বা সাধারন মানুষ সেটা কিন্তু সহজে জানা যাবে না ।
একশ্রেনীর উগ্রপন্থী ব্লগাররা ব্লগে আইডি খুলে এই ধরনের একটি ধর্মীয় উগ্রতা সৃষ্টি করার জন্য সদা সচেষ্ট আছে । (অব দ্যা রেকর্ড) জামায়াত-শিবির পন্থীরা আদের নিজস্ব কিছু ব্লগে যা ইচ্ছা তা কিন্তু লিখে যাচ্ছে যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার পর্যায় তথা স্বাধীনতার হুমকি তথা দেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবোধক তৈরী করছে যা খুবই দুঃখজনক । এ ব্যাপারে সাধারন মানুষ জানেন না তথা ব্লগে আমরা যারা সামান্য কিছু লিখি বা পড়ি তারা বিষয়গুলো নিয়ে অতটা মাথা ব্যাথ্যা দেখাই না । সত্য সত্যই । সত্যকে কেহ অস্বীকার করলেই সেটা মিথ্যা হবে না । সত্যের জয় চিরদিনই ছিল আছে এবং থাকবে । বর্তমানে ধর্মকে ব্যবহার করে যারা উগ্রতা তথা দেশের তাদের জঙ্গী অবস্থান আছে এটা তাদের প্রভুদের বোঝাতে চায় তাদের প্রতি ঘৃনা এবং সরকারের নিকট অনুরোধ এবং আহবান থাকবে ~ অতি শীঘ্রই এটা বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । একটি দেশের সরকার দেশের সকল জনগনের মন রক্ষা করতে পারেন না । তাই মুষ্টিমেয় কিছু উগ্রপন্থীর জন্য দেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিচিত করানোর যে অপচেষ্টা তা কঠোর থেকে কঠোরত হাতে দমন করতে হবেই হবে । রাষ্ট্রের কি ধর্ম থাকা উচিত নাকি রাষ্ট্রের জনগণ ধর্ম পালন করবে ????????
Click Here

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




