লেখাটি সকালে লিখে বাইরে গেছিলাম। এসে দেখলাম অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। ভূলটা আমারই কারণ লেখণীতে অনেক ভূল আছে। তাই আগের কিছু বদল না করে আরো কিছু অংশ জুড়ে দিলাম। এবার হয়তো অনেকরই মন কিছুটা হলেও শান্ত হবে, আর বিশেষ করে আমার।
লেখাটি একটু প্রথম পেজে দিলে খুসি হতাম। তাতে যারা ভূল বুঝেছেন বা রাগ করেছিলেন তারা অনেকেই মত পাল্ঠাবেন বলে মনে করছি।
সংযোযিত অংশ বোল্ড করা হয়েছে।
গতো শনিবার গোলাম আযমের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মানবতা বিরোধী এই মহা-আসামীর মৃত্যুর পর থেকেই আমার একটি ভয় কাজ করছিল, আর তা হলো মানুষ কী প্রতক্রিয়া দেখাবে?
তবে শেষমেষ সব-কিছুই ভালভাবে শেষ হয়েছে। মাঝে গোলাম আযমের লাশবাহী গাড়িতে জুতা নিক্ষেপের ঘটনা শোনা গেলেও তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি। দেশের হাজার মিডিয়ার মাঝেও কেউ তার যথার্থ প্রমাণ দিতে পারেনি যদিও তাদের কয়েকটি একই সংবাদ প্রকাশ করেছে।
এমন একটি সংবাদ যা দেশ বিদেশের কোন বিশেষ মাধ্যমেই আসল না, তা একটি অনলাইন নিউজের সংবাদে বিস্বাস করতে হবে?
বিবিসি পর্যন্ত সংবাদের কোন কিনারা পায়নি, যেখানে লাশের গাড়ির দিকে দেশ বিদেশের দামী দামী প্রফেশোনাল লোকেরা ক্যমেরা নিয়ে ছিল, সেখানে লাশের গাড়িতে আমাদের বয়সী মানুষের জুতা কেন বাচ্চার পায়ের প্রথম জুতাটা লাগলেও দেখা যাবার কথা। ভাই সত্য সর্বদাই সত্য, কেন সবজায়গায় তিলকে তাল করার জন্য লেগে যান।
গোলাম আযম যে একাত্তরে কী করেছেন তা তিনিই ভাল জানেন, তার সাজা মহান আল্লাহ-তা-আলা দিবেন। কারণ দেশে আত্বীয়তা বা রাজনৈতিক কারণে তার সাজা যে মওকুফ করা হয়েছে তা সবাই মানবে। এখন তিনি মরার পর কতো দেশভক্তি চরের মতো মাথাচারা দিয়ে উঠছে।
পাপ অনুযায়ী গোলাম আযমের কোন শাস্তিই হয়নি, বরং তিনি আমাদের টাকায় দিনে ২১পদের খাবার এসি রূমে মহানন্দে খেয়েছেন। একজন নাগরিক হিসাবে আমাদের আদালত ও তার রায়কে সন্মান করা উচিত। কিন্তু তার সে পাপের শাস্তি শুধু ১০১৬ দিনের রাজবন্দী নয়। সরকার ব্যার্থ হয়েছে মানেই এই নন যে তিনি বেচে গেলেন। আল্লাহর দরবারে তার কোন পাপেররই ক্ষমা নেই, তার বিচার হবেই।
কেই বলছে লাশ পাকিস্থান পাঠানো হোক, আবার কেউ এই মৃত্যুতে আফসোস করছে। আসলে সবই নিউজের আশার জন্য, তা না হলে তার মরার পর তিনি ২১পদের খাবার খেতেন এটা কখনো সংবাদ হয়!
আর তখনই বা এসকল সমাজ সেবক কই ছিলেন?
একজন মানবতা বিরোধী আসামী, যার দোষ প্রমাণিত হয়েছে। সে যখন আরামে রাজভোগ খেল তখন আপনারা চুপ ছিলেন আর এখন লাশ পাকিস্থানে পাঠা হোক, মৃত্যু যথাযথ হয়নি বলে মন খারাপ বা চিৎকার করে কী স্বদেশ প্রেম প্রমাণ করতে চাইছেন।
আমি গোলাম আযম বা তার পরিবারের কাউকে চিনি না শুধু মাত্র চতুর্থ ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমিকে ছাড়া। তার সাথে আমার মেশার একটা সুযোগ হয়েছিল ২০০৮ সালে খোলাহাটি ক্যন্টনমেন্টে থাকা-কালীন। আর তাতে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। বাবার শেষ সময়ে তিনি আসলেই আবার দেখালেন, তিনি যথার্থই ব্রিডেগিয়ার ছিলেন।
জানাযা কোথায় হবে, কী করা যায়। বিশেষ করে যে ব্যাক্তি আদালতের রায়ে একজন মানবতাবিরোধী। শুধু তাই নয় সকল মানবতা বিরোধীর মাথা বলে গণ্য। তার জানাযা এভাবে সুন্দরভাবে শেষ করা আসলেই কল্পনাতিত। সে জন্য আযমি স্যার ধন্যবাদ পেতেই পারেন।
তিনি শুধু আমাদের কলেজের সভাপতি ছিলেন, যিনি সপ্তাহে একটি করে ইংরেজী ক্লাস নিয়েছেন। আর আমি মনে করি আমাদের কলেজের শিক্ষক বা ছাত্র কেউ তাকে খারাপ বলবে না। একজন শিক্ষক বাইরে কী তা কখনোই কোন ছাত্রের বিষয় না, তিনি আমাদের সাথে সর্বদা ভাল ব্যাবহার করেছেন তাই আমাদের কলেজের সবাই তাকে ভালবাসত। এতে তার সাথে যে সম্পর্ক থাকার তাই। প্রশ্নকারী নিজ দায়িত্বে উত্তর খুজে নিবেন।
আমার কথায় কেউ মন খারাপ করবেন না, শুধু যুগ্ধঅপরাধী নয় আমি চাই সব পাপের সাস্তি হোক। কিন্তু শুধু তা নিয়েই পরে থেকে কী লাভ? আজ দেশ সাাজা না দিলেই কী কেউ বেচে যাবে? আপনি কী উপর ওয়ালার বিচারের কথা ভুলে গেলেন?
আমি এখানেও কিয়ামতের কথা স্বরণ করেছি।
যা নিয়ে মানুষের কোন মাথাব্যাথা ছিল না সেই যুগ্ধঅপরাধী ইস্যু সামনে এনে কী লাফ হলো? তারাতো আরামেই আছে, শুধু সাধারণ মানুষের জীবনে ব্যাঘাত। বারবার হাঙ্গামা, জনজীবনের ক্ষতি। আসুন সাজা দিতে হলে সরাসরি ফাসি, আর রায় হবার এক সপ্তাহেই কার্যকর করে এই ইস্যু শেষ করি।
নিজের রাজনৈতইক ফায়দার জন্য ৪৩ বছর হতে ঝুলে থাকা এই ইস্যু শেষ হওয়া দরকার। দরকার এখন যারা দেশকে লুটছে তাদের সামনে এনে বিচার করা।
শুধু ৪৩বছরের বিচার ঝুৈয়ে না রেখে তা শেষ করা দরকার। আর মানবতাবিরোধীদের বিচার ফাসির নিচে হতে পারে না। তারা যদি এই অপরাধে অপরাধী হয়েই থাকে তবে দেরী কেন?
৪৩ বছরেও কী সাক্ষী খুজে পাওয়া যাচ্ছে না?
যারা এই অপরাধে অপরাধী তাদের একসাথে বিচার হবে, আর ফাসিও একসাথে। কেন একজনের একজনের রায় আর ফাসি নিয়ে আমরা সাধারণ জনগন মরব, কেউ তার আপনজন হারাবে।
৪৩বছর পরেও যদি সরকারে আরো সময় লাগে, তো গত ৪৩ বছরের কেসগুলো কখন শেষ করব। অনেকেই বলবেন সরকার তো এই কেসগুলো গত আমলে হতে নিয়েছে।
ভাই গত ৫বছর কী যথেষ্ট ছিল না রায় দেবার জন্য। সবাই নিজের জন্য এসব ঝুলিয়ে রাখছে। এখন যারা বিচার করছে তারাও জামায়াতের সাথে সকরার গঠন করেছে, আর যারা নিশ্চুপ তারাও।
অপরাধের জন্য যারা ঝুলে আছে তারাতো মহাআদরের সাথে আছে, আর আমরা সাধারণ জনগন?
রিক্সাওয়ালারা কাজশেষে যে বিড়িতে আগুন দেয় তার অংশও তাদের খাবারে আছে। এগুতো পদ্মার টাকা বা এসিরুমে আরামে আয় করা টাকার নয়, রক্ত পানি করা টাকা।
দেশকে এগিয়ে নিতে হলে ৪৩বছর আগে দেশকে কে বা কারা লুটেছিল তার চেয়ে বেশী দরকার এখন কারা লুটছে। শুধু ৪৩ বছর আগের বিষয়ে পড়ে না থেকে বর্তমানের কিছু কাজ করা উচিত, নতুবা দেশ আজীবনই নব্য স্বাধীন বঙ্গভূমি রয়ে যাবে। যেখানে একদল রাজা আর অন্যদল রাজদাসী।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




