তুমি আসিয়াছ তাই
পাখির কন্ঠে আজ এ উল্লাসিত গান,
পাদব ভরিয়াছে সবুজ পাতায়
কুসুমে ভরিয়াছে উদ্যান।
নদীতে আজ জোয়ার আসিয়াছে
‘দু’ কুল ভাসাইয়াছে বান,
নব নব সাজে সাজিয়াছে প্রকৃতি
তোমার; সংবর্ধনার করিয়াছে আয়োজন।
ঝর্ণা ঐ অদ্রি হতে
নামিয়া আসিয়াছে দুর্দম গতিতে
সে যেন আজ শুনিয়া ফেলিয়াছে
তোমার আগমনি গান,
শান্ত হইয়াছে আগ্নেয়গিরি
তার নিভিয়াছে নির্বাণ।
তৃণকুল একাত্ন হইয়াছে
জমিনে তারা বিছাইয়া রাখিয়াছে
সবুজ মকমলের বিছান,
তরঙ্গ তালে - চরণ তলে, দেখ
যাইতেছে বহিয়া পুলকিত পুস্পবান,
সুবাসে ভরিয়াছে চর্তুদিক তার
নাকে লাগিতেছে ঘ্রাণ।
দক্ষিণ হইতে পবন বহিতেছে
বপন করিতেছে আলো বিকিরণ,
অন্য বনের সুপর্ণা-পক্ষি
শান্ত করিতে চঞ্চল অক্ষি
উড়িয়া আসিতেছে
তোমারে দেখিতে, নিপ্রানুপণ।
অজানারা হইয়া অনুসন্ধিৎসু
খুঁজিতেছে এসবের কি কারণ।