somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ লাইলী মজনুর প্রেমকাহিনী

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লাইলী মজনুকে নিয়ে কাব্য রচনা করেন কবি দৌলত উজির বাহরাম খাঁ ।আমরা সকলে কম আর বেশি জানি লাইলী মজনু র প্রেমের ইতিহাস বা প্রেমের কাহিনী । লাইলী মজনুকে নিয়ে বিয়োগান্তক রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যন জাতীয় কাব্য রচনায় লাইলী মজনুর প্রেমকে অনুরাগী ভাবে ফুটিয়ে তুললেন এ কাব্যের কবি দৌলত উজির বাহরাম খাঁ । লাইলী মজনুর কাব্য ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত করা হয়।

লাইলী মজনুর কাব্যটি সম্পদনা করেন আহমদ শরীফ । বাংলা ভাষায় লাইলী মজনু গদ্য রচনা করেন কয়েক জন ......................

১।শেখ ফজলু করিম সাহিত্যবিশারদ ।

২। আবদুল গফুর সিদ্দকী অনুসন্ধান বিশারদ ।

৩। শাহাদাৎ হোসেন ।

৪। মীর্জা সুলতান আহমদ।


লাইলী মজনু কাব্য থেকে
লাইলী মজনু যখন পাঠশালায় লেখা পড়া করতেন তারা তখনই প্রতিজ্ঞা করেন প্রেমের আগুনে তাদের শরীর পুড়ে পতঙ্গের মত হয়ে যাবে তবু তারা সারাজীবন চির প্রেমের বন্ধনে থাকবেন ।
একে অপরকে সারা আর অন্য কোন মানব প্রেমে জরাবেন না।

পাঠশালা থেকে লাইলী সখীদের সাথে একবার বাড়ি ফেরার পথে ঠিক করল মজনুর সাথে দেখা করবে কিন্তু কি ভাবে হঠাৎ করে বুদ্ধি খাতিয়ে সখিদের বল্ল তোমরা আগে আগে যেতে থাক আমি পিছু আছি তোমাদের সাথে এক সংঙ্গে যাওয়া সম্ভব নয় আমার পায়ে কাঁটা ফুটেছে । পরে লাইলীর সংঙ্গের সখীরা আগে চলেগেলেন আর লাইলী পিছু নিলেন মজনুর সাথে দেখা করার জন্য ।


লাইলী আর মজনু প্রায় সময় পাঠশালা থেকে বাড়ি ফেরার পথে মজনু লাইলীকে বলতেন লাইলী নিশ্চয় আমি আমার জিবনে কোন পূর্ণ করেছি আর সে পূর্ণের ফল হিসেবে তোমাকে পেয়েছি।
অবশ্যই আমার কোননা কোন পূর্ণের ফল হলে তুমি ।

মজনু লাইলীকে বলতেন লাইলী ছাড়া মজনুর জীবন ব্যর্থ । আর লাইলী মজনুকে বলতেন আমার জীবন যৌবন বন্ধু সবই তোমার এবং তা শুধু তোমারই থাকবে তুমি বীনে অন্য পুরুষ নয় ।

লাইলী আর মজনু পাঠশালা থেকে ফেরার পরে দুজন দুজনার বাড়ি চলে যাবার পরে যখন রাত্রী বেলা দুই জন দুই জনের ঘরে শুয়ে থাকতেন তখন তাদের চোখে ঘুম আসত না আর তখন তারা
চিন্তা করতেন কখন সকাল হবে কখন সূর্য উঠবে আর তখন তারা
একে অপরকে দেখে মনের জ্বালা মেটাবে ।



পাঠশালায় সকল সংঙ্গীদের মন লেখা পড়ায় থাকলেও তাদের মন দুজন দুজনের দিকে থাকত । পাঠশালায় সকল সংঙ্গী সখীরা শাস্ত্র পাঠ করত । লাইলী আর মজনু তারা দুজন দুজনকে দেখত আর প্রেমপাঠে ব্যস্ত থাকত ।

এ ভাবে তাদের প্রেম চলতে থাকে । হঠাৎ করে একদিন লাইলী মা তাদের প্রেমের কথা জানতে পারেন ।

লাইলী মজনুর প্রেমের কথা লাইলী মাকে জানালেন লাইলীর সাঠে পাঠ শালায় থাকা তার সহপাঠীরা ।

পাঠশালায় গিয়ে লাইলী মজনুর সাথে প্রেম করে এ ঘটনা প্রথমে জানে লাইলীর মা অর্থাৎ লাইলী মজনু প্রেমের কথা যখন লাইলীর মা জানতে পরলেন তখন থেকেই লাইল পাঠশালা যাওয়া
বন্ধ করে দেন এবং লাইলীকে লাইলীর মা ঘরে বন্দী করে রাখেন।
এবং লাইলীর মা লাইলীর ঘরের আশে পাশে কঠড় পাহারার ব্যবস্থা করলেন ।

লাইলীর মা লাইলীকে গৃহ বন্দী করার পড়ে লাইলীর ঘরে থাকা লাইলীর যাবতীয় কাগজ খাতা কলম সব সরিয়ে নেন এবং কালির দোয়াত ভেঙে দেন।

লাইলীর মা লাইলীকে বোঝানোর চেষ্টা করতেন কিশোরী বয়সের প্রেমের কথা কেউ জানলে আর তাকে কেউ বিয়ে করবে না ।
কিন্তু তার মায়ের কোন কথায় মন দিতনা । তার মন শুধুই মজনুর পনে চেয়ে থাকত।

এদিকে মজনুও থেমে নাই তার প্রিয়তমা গৃহ বন্দী শুনে বা জানার পরেও মজনু লাইলীর সাথে দুইবার ছদ্মবেশে দেখা করলেন ।একবার অন্ধ ছদ্মবেশে আরেক বার ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে দেখা করলেন।

যখন মজনু অন্ধের ছদ্মবেশে গেছেন তখন লাইলী তার মাকে বললেন অন্ধ মানুষ যদি খাদে পড়ে তাই বলে মাকে লাইলী আসে
মজনুর দর্শন করতে শুধু দুজন দুজনকে দর্শন করলো কোন কথা
নয় কারন কথা বল্লে যদি দুষ্টলোকে দেখেফেলে তাই কথা বল্লো না।

লাইলীর বাবা জানতে পাড়লো মজনু তাদের বাড়ি ভিখারি বেশে লাইলীর সাথে দেখা করতে গেছে আর তখন লাইলীর বাবা পাড়ার
ছেলেদের বলেছিল মজনু যাতে আর কখন লাইলীর সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে না যেতে পারে তাই লাইলীর বাবা বলেছিল
মজনুকে মেরে ফেলতে ।

কিন্তু পাড়ার ছেলেরা মজনুকে পাগল পাগল বলে ঢিল মেরে মেরে তাকে ঐ নগর ছাড়া করে ।

মজনু তখন থেকে প্রেমোম্মাদ বনে জংঙ্গলে গুরে বেড়াতে থাকে তখন মজনুর বাবা অনেক খোজার পরে পেল কিন্তু মজনু তার বাবাকে না চিনতে পেরে জিজ্ঞাসা করল কি নাম তোমার মহাশয় ।
মজনুর বাবা কিছুতেই যখন ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছে না তখনই বাবা মিথ্যে কথা বললেন মজনুকে ।
মজনুর বাবা মজনুকে বললেন লাইলী মজনুকে ডাকছে এ কথা শুনে মজনু বাড়িতে আসলেন ।


মজনু যখন বাড়িতে ফিরে দেখেন লাইলী বাড়িতে নাই তখন মজনু আবার পাগলামী কান্না শুরু করেন ।
মজনু সে প্রতিবেশি গুরুজনদের সাথে পরামর্শ করে লাইলীর পায়ের ধুলো নিয়ে মজনুর চোখের পাশে দিয়ে মেখে দেন এবং মজনুকে জানান হয় ওতা লাইলীর পায়ের ধুলো আর সাথে সাথে মজনু কান্না বন্ধ করে দিল যাতে করে চোখের পানি দিয়ে ধুলো না ধুয়ে যায় ।

আজ অনেক রাত হয়েছে তাই বাকী তুক লেখতে পাড়লাম না ইনশাল্লা মহান সৃষ্টি কর্তা আমাকে বাচিয়ে কালকের আবেডেড পোষ্টে ২য় অংশ বা শেষ অংশ দেওয়া হবে সে পযন্ত সকলে ভাল থাকুন।






সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×