অাসুন, ধূমপান পরিহার করি
নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচায়।
অনিকেত কামাল
তিলোত্তমা পৃথিবীর অাঠার হাজার মাখলুকাতের মধ্যে মানুষকে সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে অাখ্যায়িত করেছেন। মানুষের বিবেক, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা - জ্ঞান, অাচার - অাচরন অন্যান্য সকল প্রাণীর চেয়ে অালাদা বা স্বতন্ত্র বলে মহান অাল্লাহ পাক রাব্বুল অালামিন মহাপবিত্র ধর্মগ্রন্থ অাল কোরঅানে সুস্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেন। তিনি শুধু মানুষকে সৃষ্টিই করেননি বরং তার জন্য সুন্দর জীবন যাপনের যাবতীয় উপায়, উপকরণ এবং দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। মানুষের জন্য যা কল্যাণকর, পবিত্র, উত্তম উপাদেয় তা তিনি হালাল করে দিয়েছেন। অার যা অপবিত্র, অনুপাদেয়, অকল্যাণকর তা হারাম করে দিয়েছেন। অাল্লাহ পাক বলেন, "পবিত্র বস্তু থেকে তোমাদের যা জীবিকা হিসেবে দিয়েছি তা তোমরা অাহার কর। মানুষের জন্য যা কল্যাণকর তা গ্রহনীয় অার যা অকল্যাণকর তা বর্জনীয়।"
গ্রহণ ও বর্জন সম্বন্ধে অাল্লাহ পাক রাব্বুল অালামিন ও তার প্রেরিত সর্বশেষ সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সুস্পষ্ট বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও কিছু লোক সর্বনাশা বর্জনীয় জিনিসের ফাঁদে পড়ে নিজেদের, পরিবারের ও সমাজের সর্বনাশ ডেকে অানে। সেই বর্জনীয় সর্বনাশা ক্ষতিকর জিনিসের মধ্যে ধূমপান অন্যতম। ধূমপান একটি মারাত্নক বদভ্যাস ও অনর্থক অপব্যয়। অপচয়কারী শয়তানের ভাই এই উক্তি শুধু ইসলাম ধর্মেই সীমাবদ্ধ নয়, সকল ধর্মেই স্বীকৃত।
নীতি ও বিবেকের সংমিশ্রণে জীবন খুঁজে পেতে চায় শান্তির ঠিকানা। মানুষ শান্তিকামী। কিন্তু কখনো কখনো শান্তির ঠিকানায় নোঙর ফেলার পূর্বেই নেমে অাসে জীবনে অনাকাঙ্খিত অশুভ হতাশার অশনি সংকেত। ঠিক তখনই মানুষ একটু শান্তি, সান্ত্বনা ও স্বস্তি খুঁজতে থাকে বিকল্প পথে। প্রথমেই বেছে নেয় সহজ প্রাপ্য ও সহজ লভ্য উপকরণ ধূমপান। ধূমপানের মূল উপকরণ তামাক ও গাঁজা পাতা। স্টককৃত তামাক পাতা শুকিয়ে কুটি কুটি বা কুচি কুচি করে কেটে এর সাথে রাব বা ঝোলাগুড় মিশিয়ে মন্ড তৈরি করা হয়। এসব মন্ড কল্কেতে পুরে অাগুন লাগিয়ে পান করা হয়।
তামাক পাতার গুড়া অন্যান্য উপাদানের সংমিশ্রণে কাগজে মুড়িয়ে বিড়ি বা সিগারেট তৈরি করা হয়।
সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, চুরুট ইত্যাদির পোড়া তামাকের উগ্রগন্ধ যে কত অস্বস্থি ও বিরক্তিকর তা শুধু অধূমপায়ীরাই অনুধাবন করতে পারে। ধূমপান বিষপানের চেয়েও মারাত্নক। কারণ বিষপানে জীবনের মৃত্যু ঘটে কিন্তু ধূমপানে মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মরে। ধূসপান করলে ধোঁয়ার সঙ্গে এই বিষ মানুষের শ্বাসনালী দিয়ে প্রথমে ফুসফুসে প্রবেশ করে, পরে তা রক্তের সাথে মিশে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। অার কিছু অংশ ছেড়ে দেওয়া ধোঁয়ার সাথে বাহিরে বেরিয়ে অাসে যা পরিবেশের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। নিত্য ও নিয়মিত ধূমপায়ীদের ফুসফুসের অভ্যন্তরে ধীরে ধীরে মৌচাকের মতো নিকোটিন জমতে থাকে। এই নিকোটিনের বিষ ক্রিয়াই ফুসফুস ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে থাকে। বিজ্ঞানীগণ বক্ষভ্যন্তরের ছবি তুলে দেখেছেন ধূমপানের প্রত্যেকটি টানের সংগে ফুসফুস কয়েক সেকেন্ডের জন্য কার্যক্ষমতা হারিয়ে নিস্পন্দন থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানী মহলের পরীক্ষিত অভিমত, মানুষের দেহে যদি বিশটি সিগারেটের নিকোটিন একসাথে ইনজেকশনের মাধ্যমে কোন সুস্থ্য স্বাভাবিক ব্যক্তির শরীরের প্রবেশ করানো হয় তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য। মাদকা বিষয়ক গবেষক মহলের মতে, " একটি জ্বলন্ত
সিগারেট হতে প্রায় চার হাজার রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয় ।" ধূমপানে অাসক্ত অনেকে বলেন, ধূমপান অাভিজাত্যের প্রতীক। সত্যিকার অর্থে উক্তিটি নোংরা মন মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
ধূমপান মানুষকে কাল্পনিক বিলাসের দুর্নিবার অাকর্ষণ, মুক্ত পৃথিবীর নির্মল নির্দোশ অবস্থান থেকে টেনে নিয়ে যায় অন্ধকার নিষিদ্ধ জগতে। বিজ্ঞানীগণ মনে করেন, "একটি সিগারেট পাঁচ মিনিট অায়ু কমিয়ে দেয় ।" পরিসংখ্যান নিয়ে দেখা গেছে, ধূমপানের ফলে যক্ষা, ব্রঙ্কহটিস, দন্তক্ষয়, ক্ষুধামন্দা, গ্যাস্টিক - অালসার, ফুসফুসের ক্যান্সার, শ্বাস কষ্ট, দৃষ্টি শক্তি হ্রাস, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি, হৃদরোগ সহ অসংখ্য রোগের অন্যতম কারণ। যারা ধূমপানে অাসক্ত তাদের অাঙ্গুলের ফাঁকে, ঠোঁটের ডগায়, দাঁতের মাড়িতে এক ধরনের কালচে দাগ পড়ে, তার জন্য দায়ী নিকোটিন।
ধূমপানের ফলে কর্মশক্তি হ্রাস পেতে থাকে, সচেতন বিবেক বুদ্ধিগুলো হ্রাস পেতে থাকে। অাস্তে অাস্তে জীবনী শক্তি বিলোপ হতে থাকে। এ যেন স্ব-ইচ্ছায় মৃত্যুকে অামন্ত্রণ জানানো।
তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র পীড়িত অামাদের এই ক্ষুদ্র বাংলাদেশে প্রায় নয় কোটির ও বেশি লোক প্রত্যক্ষ ভাবে ধূমপানের সাথে জড়িত অার পরোক্ষভাবে ধরতে গেলে সবাই এর ছড়ানো দূষিত বাতাসের অাওতা ভু্ক্ত। এ দেশে সত্তর দশকে ধূমপান ও মাদকা সক্তের প্রতি তরুণ সমাজ ঝুঁকে পড়ে বেশি। পনের হতে বত্রিশ বছরের তরুণ তরুণী মাঝে ধূমপানের অাসক্তি বেশি। শুধু যে অশিক্ষিত ব্যক্তিরাই ধূমপানের সাথে জড়িত তা নয়। অর্ধ-শিক্ষিত, শিক্ষিত ব্যক্তিরাও ধূমপান করে । শিশু ও বৃদ্ধেরাও ধূমপান করে থাকে। এমন কি ধূমপান বিরোধী স্লোগান দিয়ে যারা পৃথিবী কাঁপিয়ে তোলে তারাও অাড়ালে-অাবডালে ধূমপান করে। অভিজ্ঞ ডাক্তার মহলও ধূমপানের সাথে জড়িত। বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ ধূমপান করে থাকে।
ধূমপানের ফলে বিরক্তিকর, বিশ্রী ও অসহ্য গন্ধযুক্ত ধোঁয়া অামাদের সুন্দর পৃথিবীর বেঁচে থাকার নির্মল বাতাস করছে দূষিত, জীবন রক্ষাকারী অনন্য উপাদান পানি হচ্ছে দূষিত। অবিবেচক ধূম্রাসক্ত জনগণ রাস্তাঘাট, অফিস অাদালত, সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হোটেল রেস্টুরেন্ট , দোকানে ইত্যাদি স্থানে অবাধে অবলীলায় ধূমপান করে থাকে। ধূমপান শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি করে না। এটা পরিবার, পরিবেশ, জাতীয় ও অান্তর্জাতিক সকল ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতি করে। বিড়ি সিগারেটের খালি প্যাকেট, পোড়া অবশিষ্ট অংশ, দিয়াশলায়ের কাঠি যত্রতত্র ফেলে পরিবেশের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য ম্লান করে। অসাবধানতা ও অসতর্কতা কারণে সিগারেট বিড়ির অাগুনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। এরা শুধু নিজেরাই জ্বলে না অন্যদেরও জ্বালায়।
ধূমপায়ীদের ঘরে অধূমপায়ী নারী, শিশু ও বৃদ্ধা থাকলে তারাও নিশ্বাসের সাথে ধুম্রবিষ গ্রহণ করে। তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা তিন গুন বেড়ে যায়।
ধূমপানের ক্রমাগত নেশায় মানুষকে মাদকা সক্তের দিকে নিয়ে যায়। অার মাদক দ্রব্যের মতো অভিশপ্ত ঘৃণ্য নেশায় অাসক্তি হলে শরীর ও জীবনের জন্য ধ্বংস অবধারিত।
দেশ ও জাতির কর্ণধার সম্ভাবনাময় যুব সমাজ বিভিন্ন কারণে ধূমপানে অাসক্ত হয়ে পড়ে। জীবন সংগ্রামে সাফল্যের চূড়ায় অারোহণ করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যর্থতার অাগুনে পুড়ে নিঃশেষ হতে হয়। ব্যর্থতা হতে সাময়িক সান্ত্বনার জন্য মানুষ ধূমপান করে। মানুষের অন্তরের চিরন্তন কামনা ভালোবাসায় ভরা স্বর্গীয় পৃথিবী। কিন্তু সত্যিকার ভালোবাসার ব্যর্থতা, ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ের যন্ত্রনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবেও মানুষ ধূমপান করে।
জীবন জীবিকার প্রয়োজন মানুষকে কর্মের যাঁতাকলে পিষ্ট করে। তবু মানুষ মিথ্যে অাশার হাত ছানিতে ছুটে চলে দূর হতে সুদূরে।এই ছুটে চলার ক্লান্তি নিবারণে অনেকে ধূমপান করে থাকে। কিন্তু তারা ভেবে দেখে না যে, এতে তারা কত বড় মারাত্নক ক্ষতিকর জীবন বিনাশী পথে পা বাড়ায়। সঙ্গ দোষও ধূমপানের অন্যতম কারণ। তদুপরি কৌতুহল, বেকারত্ব, সহজ লভ্যতা, অাদন্দ দায়ক অনুভূতি, পারিবারিক ভাঙ্গন, প্রতিশোধের নেশা, হিংসা-বিদ্বেষ প্রভৃতি নানাবিধ অবস্থার প্রেক্ষিতে মানুষ ধূমপান করে। তাছাড়া ঘৃণা, অবজ্ঞা, অবহেলা, চাওয়া না পাওয়ার বেদনা, পেয়ে হারানোর কষ্ট, সামাজিক বঞ্বনা, বেকারত্ব, দারিদ্র, সম্পর্কের শিথিলতা, সম্পর্কের ভাঙ্গন, অধিকারের অবমূল্যায়নও ধূমপানের জন্য অনেকাংশে দায়ী।
অামরা একটু সচেতন হলে, অামাদের সচেতন বিবেক জাগ্রত হলে, শুভ বুদ্ধির উন্মচন ঘটলে অনায়াসে ধূমপানের মতো নোংরা ঘৃণ্য জীবন নাশী বস্তুর অাসক্তি হতে বেরিয়ে অাসতে পারি, বেরিয়ে অাসতে পারি মানবিকতা বিবর্জিত ধূসর ক্ষতিকর ভুবন হতে। গড়তে পারি সুন্দর পৃথিবীর কাঙ্খিত পরিবেশ।
যে দেশে মানুষের দু'মুঠো অন্ন্যের জন্য হাহাকার, বসত বাড়ির অভাবে ফুটপাতে ঘুমায়, ইজ্জত ঢাকার জন্য ছেঁড়া বস্ত্রে চেষ্টা করে, উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মানুষ পথে ঘাটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে দেশে দৈনিক হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা ধূমপানের জন্য ব্যয় যেন সত্যিই বিষ্ময়কর ব্যাপার।
নীতিবাক্য পাঠ করা যত সহজ জীবনে তা প্রতিস্থাপন করা তত সহজ নয়। ঠিক তেমনি অাইন করাটা সহজ কিন্তু বাস্তবায়ন করা অত সহজ নয়। ধূমপানের এতোসব মারাত্নক ক্ষতিকর দিকের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বর্তমান সরকার তের মার্চ/২০০৫ প্রকাশ্যে ও লোকালয়ে ধূমপান নিষিদ্ধ করণ অাইন পাশ করেন। অাইনে বলা হয়েছে সচরাচর লোকালয়ে ধূমপান করলে পঞ্বাশ টাকা অার্থিক জরিমনা এবং অনাদায়ে জেল হাজতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেক দেরীতে হলেও সরকারের যুযোপযোগি ব্যবস্থা পদক্ষেপ প্রশংশা পাওয়ার যোগ্য। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রে ধূমপান করাকে হারাম ঘোষনা করেছেন। শুধু অাইন পাশ করাটাই বড় কথা নয়, তা প্রয়োগ করাটাই অাসল কথা। এই জন্য সর্ব মহলের সাহায্য সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। প্রথমে কোন ধূমপায়ীকে অাইনের হাতে তুলে দেয়া উচিত না। কারণ কোন মানুষই খারাপ হয়ে এই পৃথিবীতে অাগমন করেন না। সবাই নিষ্পাপ হয়ে পৃথিবীতে অাসেন। হয়ত পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে অথবা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে খারাপ পথে পা বাড়ায়। যারা ধূমপান করেন তাদেরকে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে অবগত করতে হবে।
কারণ কোন অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার মাঝে কোন স্বার্থকতা থাকে না বরং কোন উপায়ে যদি তাকে ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে অানা যায়, ফিরিয়ে অানা যায় অন্ধকার হতে অালোর পথে, তবেই তার মাঝে পরম স্বার্থকতা লুকিয়ে থাকে।
ধূমপান একটি মারাত্নক সামাজিক ব্যাধি। ব্যাধির মরণ ছোবল হতে নিস্কৃতির জন্য অামরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে ধূমপানের কুফল তুলে ধরতে পারি। ধূমপানের জন্য সহায়ক উপাদানের উপর কঠোরতা অারোপ করতে পারি। পরিবারের অভিভাবক ও দায়িত্বশীলদের সচেতন হতে হবে। ধর্মীয় প্রভাব স্থাপন করতে হবে। শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তির সচেতনতা বাড়াতে হবে। চিকিৎসক মহলের উচিত ধূমপানের ক্ষতিকর দিক রোগীর সামনে নিখুতভাবে তুলে ধরা। রেডিও টেলিভিশন ও দৈনিকের মাধ্যমে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে। টিভি সিনেমায় স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলোতে ধূমপানের দৃশ্য বর্জন করতে হবে। শারীরিক, নৈতিক ও সামাজিক ক্ষতির দিক তুলে ধরতে হবে। বিভিন্ন সভা সেমিনারে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করতে হবে। মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তবে সর্ব স্তরের মানুষের ধুমপানের কুফল সম্পর্কে অবগত করতে হবে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথা সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধূমপানের ক্ষতিকর বিষয় সম্পর্কে প্রবন্ধ পাঠ্যসূচি অন্তভুক্ত করতে হবে। এভাবে অনেক অনেক পদক্ষেপ গ্রহন করা য়ায়।
ধূমপান বিষয়ক সংক্ষিপ্ত অালোচনার সিঁড়ি বেয়ে প্রান্ত সীমায় এসে এ কথা দৃহতার সহিত প্রতীয়মান হয় যে, ধূমপান একটি সামাজিক অবক্ষয়। এই অবক্ষয় হতে বাঁচতে হলে সকলের সাহায্য সহযোগিতা একান্ত কাম্য। অাইন নয়, সামাজিক অান্দোলন নয়, ব্যক্তি সচেতনতাই ধূমপান পরিহারের জন্য যথেষ্ঠ। তাই অাসুন, অামরা ধূমপান ত্যাগ করি। নিজে বাঁচি অন্যদের বাঁচতে দেই। ধূমপান ছেড়ে দিই, ফুলের সুবাস নিই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৮