পথে-প্রান্তরে, আনাচে-কানাচে, গিরি-নদী-সমতল, সবুজে সবুজে ঘুরছি তো ঘুরছিই...তারপরও বাকী রয়ে গেছে অনেক!
আমার প্রিয় শ্যামলিমায় ভরা এই বাংলাদেশ দু'চোখ ভরে দেখেও মেটেনা মনের আশ । যারা আমার ব্লগে বা ফেসবুকে আমার খোঁজ রাখেন তারা জানেন বেশ কয়েকমাস ধরেই অসুস্থতা, চরম ব্যস্ততায় আমি ডুবে আছি ।
কিন্তু এই অসুস্থতা বা ব্যস্ততা, ছানা-পোনাদের স্কুল, নিজের-সঙ্গীর কর্মক্ষেত্রও আমার যাযাবর জীবনে কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি ।
নয়ন ভরে যতটা দেখেছি সেভাবে ছবি তুলে (ডিএসএলআর নামক হামান দিস্তা ক্যামেরা সামলাবো নাকি অসুস্থ এই আমাকেই সামলাবো !) স্মৃতি ধরে রাখতে পারিনি...তারপরও কিছু ছবি কখনো ক্যামেরায় কখনো হ্যাং হয়ে যাওয়া মোবাইলে তোলার চেষ্টা করেছি নিজের জন্যেই ।
১ম পর্ব : খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ির এই ঝর্ণা দেখতে চাইলে অবশ্যই হাঁটার উপযুক্ত কোন জুতা বা সেন্ডেল পরে নিতে হবে । আর ঢালু পথে নামতে কোনভাবেই হাঁটার গতি বাড়ানো যাবেনা...গতি বাড়ালেই আর নিজেকে সামাল দেয়া যাবে না। আমার কন্যা তার ভাইকে ধরার জন্যে যেই না হাঁটার গতি বাড়য়েছে অমনিতেই সে তার গতি এমন বেড়ে গেছে যে সে তার দৌড় থামাতে না পেরে ভাইয়ের গায়ে হুরমুর করে পড়ে হাটু ছিলে ফেলেছে ।
নিজেকে সামলে আগে ছবি তুলেছি ।
এই জায়গায় নিজেকে সামলানো সত্যিই খুব কষ্টকর ব্যাপার । ইচ্ছে করে ঝর্ণার পানিতে ঝাপ দেই !
পোজ দিতে সন্ন্যাসীরাও বাদ যাবে কেন ?
আলুটিলার রহস্যময় গুহায় বেল্টওয়ালা সেন্ডেল পরে যাওয়াই উত্তম । আর অবশ্যই পা মাটিতে মানে পাথরে আটকে আটকে আগাতে হবে । গুহায় প্রবেশের আগে এক মুরুব্বী বাচ্চাদের নিতে নিষেধ করছিলেন । কিন্তু উনিতো জানেননা যে আমাদের বাচ্চারাও কম যায় না ! যদিও কন্যার সেন্ডেল স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল-পেছনের একজন সেই সেন্ডেল উদ্ধার করে দিয়েছেন ।
ওহ বলে রাখা ভালো যে, এই গুহায় ঢুকতে অবশ্যই মশাল নিয়ে ঢুকতে হয়তো বটেই, মশালের ব্যাকাপ নিয়েও যেতে হয়...
অবশেষে সফলভাবে গুহা পারি দিতে পেরে বিজয়ীর বেশে পুত্র আমার ।
২য় পর্ব : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিজয়-৭১
ব্রহ্মপুত্রের পারে, কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
নিঃস্ব
ব্যাঙের ছাতাতো বটেই, মাশরুম নয় অবশ্যই ।-কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ।
নাম ভুলে গেছি, তবে ফুলগুলো খুব মন টানছিল
মাঝিকে ভাড়া দিতে গিয়ে বরকে জোর করেই বেশি ভাড়া দিতে বাধ্য করেছি।স্বজনপ্রীতি বলে কথা
কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিভবনের ভেতরে
কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ইন্সটিটিউটএর গেস্ট হাউসে রাত্রি যাপন...
সকালের নাস্তার দাওয়াত পেয়েছিলাম ময়মনসিংহ শহরে রোম ।। তে ।
৩য় পর্ব: হালুয়াঘাট
মাটি আপন পর বোঝেনা-আমরাই আপন-পর করি
পাহারা না বসালেতো উপায় নেই
সাবধান করার পর কথা না শুনে মরলে দোষ দিতে পারবেন না ।
ওই সময়টাতে তুমুল বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের পানি কারো কারো সর্বনাশ করলেও বাড়িয়েছিল প্রকৃতির সৌন্দর্য !
চলছিল বেশ মাছ ধরার উৎসব...
মাছের সাথে ব্যাঙ ফ্রি...
১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের নামের তালিকা ।
৪র্থ পর্ব : গজনী
১.
২.
৩.
৪.
৫.
৬.
৭.
৮.
আর এই গুহায় একবার ঢুকে ভয় পেয়ে ফিরে এসে আবার আলো নিয়ে ঢুকেছি ।
৯.
এই ট্রেনটা শেষ পর্যন্ত চলেনি...ইলেকট্রিসিটি না থাকলে যে জেনারেটরের ব্যাকাপ থাকার কথা ছিল, তা ওদের ছিল না।
শেষের ছবিগুলোর ক্যাপশন দেয়ার আগেই আমি শ্যাষ ! আপনারা নিজ দায়িত্বে ক্যাপশন দিয়ে নিন ।
আরো কয়েক পর্ব দেয়া যেত, কিন্তু পোস্ট বড় হয়ে যাচ্ছে বেশি...পরে কখনো সময়, সুযোগ পেলে এবং অবশ্যই বেঁচে থাকলে...
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬