হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়
হিজাবের পক্ষে সুরা আল নুরের ৩১ তম (২৪--৩১) আয়াতের এই অংশটুকে হিজাব পরার আল্লাহর নির্দেশ হিসাবে দবি করা হয় --- ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে ---এখানে বলা হয়েছে -- তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে - মাথার ওড়না বক্ষে ফেলে রাখলে তা হবে হিজাব ।। অনেক বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদে মাথার ওড়না বা ভেইল হিসাবে উল্লেখ আছে। কিন্তু এটা যে কত বড় মিথ্যাচার তার নমুনা দেখুন। এই আয়াতে আরবিতে খিমার শব্দটি ব্যবহার হয়েছে যার অর্থ আচ্ছাদন বা কভার যেমন পর্দা একটা কভার বা টেবিল ক্লথ যা টেবিলকে ডেকে আরাখে , জামা পরিধেয় বস্ত্র যা শরীর ডেকে রাখে তাই খিমার । শাল মাথার ওড়না শাড়ীর আচল ব্লাঊজ এই সবই খিমারের আওতায় পরে কারন এগুলো কভার বা আচ্ছাদন করতে পারে । সুতরাং খিমার শব্দের অর্থ শুধু মাথার ওড়না বা ভেইলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু কিছু হাদিসের বিকৃত ব্যাখার মাধ্যমে খিমারের অর্থ মাথার ওড়না হিসাবে বহু কোরানের অনুবাদে উল্লেখ করা হয়েছে ।
খিমার মানে মাথার ওড়না এর পিছনের যুক্তি কি ??? নবীর স্ত্রী বা কণ্যারা বা মুসলিম মহিলারা হিজাব পরতো তাই খিমার শব্দের অর্থ মাথার ওড়না -- এই ভাবে খিমার শব্দের অর্থকে মাথার ওড়নার মধ্যে সিমিত করে ফেলা হোল। ইসলাম আসার আগে আরবের মানুষ হিজাব পরতো এবং শরীর সম্পূর্ন ডেকে রাখতো বা এখনো রাখে যার মূল কারন মাত্রারিক্ত গরম হতে শরীরকে রক্ষা করা । মরুভূমির সাভাবিক তাপ মাত্রা যেখানে ৪৫ ডিগ্রী হতে ৫৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ভেরি করে সেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে মাথা সহ দেহ ডেকে রাখে জীবন রখা করার জন্য। ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ যেমন শীত বস্ত্র পরে তেমনি মরুভূমির অত্যাধিক গরম হতে রক্ষা পেতে মানুষকে ডোলা কাপড় পরতে হয় এবং মাথা ডেকে রাখতে হয়। ডোলা কাপড় শরীর থেকে নির্গত ঘাম হতে সৃষ্ঠ ময়েসচারকে ধরে রাখে যা শরীরের ত্বককে বার্ন হতে রক্ষা করে । হিজাব মরুভূমির আবহাওয়ার প্রটেকশন ক্লদিং হিসাবে ইসলাম আগমনের বহু আগে থেকেই ব্যবহার হচ্ছে এবং অমুসলিমরা তা ব্যবহার করে ।
হিজাব একটা ট্রেডিশন এবং এটা মোটেও ধর্মীয় বাদ্ধকতা নয়