আমাদের সৃষ্ঠি কর্তা আল্লাহ তালার কোন আকৃতি নাই সুতরাং তাকে দেখা যায় না এবং কেউ তার শরিক হতে পারে না --- এই বিশ্বাস অনেক মুসলমানের খুব দুর্বল বা নিম্ন মানের । যা চোখে দেখা যায় বা স্পর্শ করে অনুভব করা যায় এবং আকার আকৃতি বিশিষ্ঠ তার কোন প্রান না থাকলে সেটা জড় পদার্থ যেমন চেয়ার টেবিল টিভি আলমারি বই কম্পিয়ুটার গাড়ী বাড়ী সব কিছুই জড় পদার্থ । একটা বা বহু মূর্তি যাকে দেখা যায় বা অনুভব করা যায় সেটা কি আল্লাহর বৈশিষ্টের মধ্যে পরে সুতরাং এটা মুসলিম বিশ্বাস অনুযায়ি কখনো স্রষ্টা হতে পারে না কারন তিনি নিরাকার এবং চোখে দেখা যায় না । অনেক মুসলমানের এই প্রাথমিক বিশ্বাসের জোর খুব কম ।
আমরা যখন নামাজ পড়ি তখন অনেকে ঘরে কোন স্টাচু বা রিপলিকা বা ছবি ইমেজ থাকলে মনে করে নামাজ হবে না এবং এই গুলোকে ঘরের ভিতর থেকে সরিয়ে দেয় এবং এটা যারা করে তারা পরোক্ষভাবে শরিক করে এবং ঈমানের প্রাথমিক পরীক্ষায় ফেলিয়ুর তারা। নামাজের সময়ে ঘরে চেয়ার টেবিল বিছানা ইত্যাদি নামক জড় পদার্থ থাকলে কি কোন অসুবিধা আছে ??? নাই নামাজের সময় আসে পাশে জড় পদার্থ থাকলে কোন অসুবিধা নাই । চেয়ার টেবিল যেমন জড় পদার্থ তেমনি মূর্তি বা ছবি সবই জড় পদার্থ --- যাকে দেখা যায় এবং আকার আকৃতি আছে সেটা কখনো স্রষ্টা হতে পারে না সেটা মুসলমানের বিশ্বাসে জড় পদার্থ ছাড়া কিছুই না । তাহোলে মূর্তি নামক জড় পদার্থ ঘরে থাকলে ছবি ঘরে থাকলে নামাজ হবে না --- যারা এই বিশ্বাস করে তারা ঐ গুলোকে পরোক্ষভাবে আল্লাহর শরিক মনে করে এই পরোক্ষভাবে কোন মূর্তি বা ছবিকে আল্লাহর শরিক মনে করা ইসলাম কি এলা্উ করে ?? চেয়ার টেবিল যেমন জড় পদার্থ তেমনি ঐ সব রিপলিকা গুলোও জড় পদার্থ যার আকৃতি আছে দেখা যায় সুতরাং এগুলো সৃষ্টিকর্তা হতে পারে না এবং যার কোন শরিক নাই তাহোলে ঐ গুলো শুধু জড় পদার্থ মোটেও শরিক নয় ।
যারা ঐ গুলোকে জড় পদার্থ মনে না করে শরিক মনে করে এবং এই শিরকের উপস্থিতিতে নামাজ হবে না মনে করে ঘর থেকে ঐ গুলো বের করে দেয় তারা পরোক্ষ ভাবে ঐ গুলোকে শরিক বলে স্বীকৃতি দেয়। একজন প্রকৃত ঈমানদারের কাছে মূর্তি ছবি ইত্যাদি চেয়ার টেবিলের মত জড় পদার্থ ছাড়া কিছুই না কারন ওগুলো দেখা যায় অনুভব কার যায় । যারা ঐ গুলো থাকলে নামাজ হবে না মনে করে তারা ঐ জিনিস গুলোকে জড় পদার্থ মনে করে না এবং ঘর থেকে বাহির করে দেয়। এইটা প্রতক্ষভাবে না হোলেও পরোক্ষভাবে ঐ গুলোকে শরিক মনে করা হোল।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬