হিন্দু বনাম রোহিংগা নিপীড়ন
------------------------------------
যে কোন সংখ্যালঘূ সম্প্রদায়কে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের নিপীড়ন শুধূমাত্র অন্যায় নহে, গর্হিত অপরাধও বটে। পৃথিবীর কোন ধর্ম এমনকি যারা ধর্ম মানেন না কিন্তু কোন norms মেনে চলেন তারাও এই কুকর্মটি সমর্থন করার কোন যুক্তিসংগত কারন দেখাতে পারবেন না বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের মারছে। মায়ানমারে বৌদ্ধরা মুসলমানদের মারছে, বলে যারা বিষয় দুটিকে এক করেন কিম্বা কোন একটি পক্ষকে লেজিটেমিসি দেবার সুক্ষ্য চেষ্টা করেন, তাদের সঙ্গে আমার একটু দ্বিমত আছে। বাংলাদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের মারছে, ঠিক আছে। এটা সম্প্রদায়গত দ্বন্দ্ব। কিন্তু মায়ানমারে বৌদ্ধরা মুসলমানদের মারছে, এটা ঠিক নয়। তারা আসলে রোহিঙ্গাদের মারছে। রোহিঙ্গারা হিন্দু বা খৃষ্টান বা ইহুদি বা শিখ হলেও মারত। আর বৌদ্ধরা মারছে না, মারছে মগ-চাকমারা। এদের সম্প্রদায়গত পরিচয় বৌদ্ধ। কিন্তু রোহিঙ্গাদের প্রতি তাদের নিপীড়নটা ধর্মীয় কারণে নয়, জাতিগত কারণে। এটা তাদের জাতিগত দ্বন্দ্ব। একাত্তর সালে পাকিস্থানীরা বাংলাদেশে গনহত্যা চানালোর সময় হিন্দু/মুসলিম/বৌদ্ধ/খৃষ্টান সকলকেই টার্গেট করেছে। মুসলমানরা বেশী মরেছে কারন তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। ওটা কোন সাম্প্রদায়িক গনহত্যা ছিল না, জাতিগত গনহত্যা ছিল, বাংগালী জাতিকে টার্গেট করা হয়েছিল।
তাই বাংলাদেশের হিন্দু নির্যাতনের সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিপীড়নকে গুলিয়ে ফেলাটা বোধহয় ঠিক হবে না।
##### অনলাইন থেকে সংগ্রহিত । মূল লেখক আমি নই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩