somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যাদের লোভ ও লালসার আগুনে পুড়ছে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল , তাদের প্রত্যাখান করার জন্য না ভোটের পূণঃ প্রচলন চাই

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ অপার সম্পদ এবং সম্ভাবনায় পূর্ণ একটি দেশ । কিন্তু তারপরও এই দেশ কাঙ্খিত ভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না । এর কি কারণ ? এর মুল কারন হলো সঠিক ও যোগ্য এবং দেশ প্রেমিক নেতৃত্বের অভাব।।আর রাস্ট্রীয় সর্বচ্চো পর্যায় হতে সর্ব নিম্নপর্যায় পর্যন্ত দূর্নীতি ।আমরা সকলেই জানি যে,আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য। সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক। এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাছ্ছে যে, বাংলাদেশের অভ্যণ্তরীণ রাজনৈতিক জটিলতার সুযোগে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি-পররাষ্ট্র মণ্ত্রী-রাষ্ট্রদুত ,জাতিসংঘের মহাসচিব -বিশেষ দুত ইত্যাদি সকলে আন্তর্জাতিক কূটণৈতিক শিষ্টাচার লং্ঘন করে বাংলাদেশের অভ্যণ্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে যাছ্ছে । আর আমাদেরদেশপ্রেমিক(???) নেতা-নেত্রীগণ সাদরে বরণ করছে । শু তাই নয় , আয়োজন করে একে অপরের বিরূদ্দে তাদের কাছে নালীশ দিছ্ছে । একজনতো আরো একধাপ এগিয়ে জিএসপি সুবিধা বািতলের আবেদন পর্যন্ত করেছে। হায়রে দেশপ্রেম ???

মূলতঃ এরা সকলেই এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। সেটা হলো দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি আওড়াও , জণগন নামক একদল গাধাঁর সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাও ।আর দূর্নীতির মাধ্যমে জনগনকে ন্যয্য অধিকার থেকে বন্চিত করে রাস্ট্রের কোটি কোটি টাকা চুরি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোল । তাদের সময় কোথায় দেশ ও জনগকে নিয়ে ভাবার ।আর তারই ফলে আজকে বাংলাদেশে কাঙ্খিত উন্নয়ন হছছে না । পদ্না সেতু হচছে না ্বার্ন ইউনিট সহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছূই হচছে না । হচছে আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার।

আর এ জন্য চাই না ভোটের পূণঃ প্রচলন ।একটি নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের অধিকার রয়েছে তাঁর এলাকার কোনো প্রার্থী পছন্দ না হলে ‘না ভোটের’ মাধ্যমে সবাইকে প্রত্যাখ্যান করার। ‘নেতিবাচক ভোট নির্বাচনে বিশুদ্ধতা এবং নতুন উদ্দীপনা জোগাবে।’ একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে ব্যালট পেপারে অথবা ইভিএমের শেষের অংশে ও বোতামে রাখতে হবে ‘ওপরের কাউকে নয়’ ভোটারদের জন্য বিকল্প। এ ধরনের ভোটের ব্যবস্থা প্রায় ১৩টি দেশে বিদ্যমান। এমনকি ভারতীয় পার্লামেন্টেও বিদ্যমান। পার্লামেন্টের সদস্যরা যেকোনো ভোটে অনুপস্থিত বোতামে টিপে ভোট দিতে পারলে ভোটাররা পারবেন না কেন।২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের ইতিহাসে ভোটাররা প্রথমবারের মতো ‘না ভোট’ প্রয়োগ করেছিলো। ওই সময় জারী করা অধ্যাদেশের ধারা ৩১(৫) (বিবি)-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাতে ব্যালট পেপারের সবশেষের প্রার্থীর স্থানে লেখা থাকবে ‘ওপরের কাউকে নয়’ এবং ভোটারদের সহজ পরিচিতির জন্য মার্কা রাখা হয় ‘ক্রস’ (X)। শুধু ওই ধারাতেই নয়, এ প্রক্রিয়ায় কোনো সংসদীয় এলাকায় ৫০ শতাংশের ওপরে ভোট প্রদান করা হলে পুনরায় নির্বাচন করার বিষয়টি নতুন ধারা ৪০এ-তে সংযুক্ত করা হয়েছিল।তখন সারা দেশে মোট প্রদত্ত ছয় কোটি ৯৭ লাখ ৫৯ হাজার ২১০ ভোটের মধ্যে তিন লাখ ৮২ হাজার ৪৩৭টি ‘না ভোট’ দেওয়া হয়েছিল। আরও উল্লেখ্য যে, ওই নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশগ্রহণ করলেও মাত্র ছয়টি দল ‘না ভোটের’ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। তার মানে এই যে, ‘না ভোট’ সপ্তম স্থানে ছিল।ওই সময়ে ‘না ভোট’ বা ‘ওপরের কাউকে নয়’ বিষয়টি সময়ের অভাবে যথেষ্টভাবে প্রচারিত হয়নি। তবু বহু তরুণ ভোটারের মধ্যে বিষয়টি যথেষ্ট চর্চিত হয়েছিল। ঢাকার একটি আসনে সবচেয়ে বেশি ‘না ভোট’ পড়েছিল, তবে তা পুনর্নির্বাচনের পর্যায়ে যায়নি। এই নতুনত্ব ভোটারদের মধ্যে ক্রমেই যথেষ্ট আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। অনেক ভোটার শুধু ‘না ভোট’ বা ‘ওপরের কাউকে নয়’ অধিকারের বিষয়টি যুক্ত করার কারণেই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এই ধারা নিয়ে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল এবং রাজনীতিবিদেরা মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না।তাই শেখ হাসিনা সরকার এ বিষয়ের সংযোজন আইনে রূপান্তরিত করার সময় বাদ দেয় এবং বিএনপি অন্তত এই বিষয়ে সরকারের সাথে দ্বিমত করননি।আজও অনেক ভোটার জানেন না, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের এই ধারাগুলো ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে সংসদ কর্তৃক পাসকৃত আইনের ধারা ৩১-এর সংশোধনী (খ) ও (গ) দ্বারা বিলুপ্ত করা হয়, কাজেই ৪০ (এ)-এর কার্যকারিতা আর থাকল না। সম্প্রতি আমাদের দেশে ‘না ভোট’ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য উচচ আদালতে রীট আবেদন করা হয়েছে ।
আমরা আশা করি, আমাদের বিচার বিভাগ জনগনের মৌলিক অধিকার রক্ষার্থে নির্বাচন কমিশনকে শক্তি জোগাবে।
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×