আজকে আমাদের ভাবার সময় হয়েছে কে আমাদের আপন,কে পর। কে আমাদের শুভাকাঙ্খী , কে নয়। কে বন্ধু, কে বন্ধু বেশে শত্রু।
আমরা সকলেই জানি যে,আমাদের দেশের কোন রাজনৈতিক দলের কোন নেতাই দেশ বা জনগনের জন্য রাজনীতি করে না, আদর্শে জন্য করে না ।সবাই নিজের জন্যেই রাজনীতি করে । বড়জোর নিজ পরিবারের জন্য ,দলের জন্য করে । সে বর্তমান প্রধানমণ্ত্রীই হোক আর বিরোধীদলীয় নেত্রীই হোক,এরশাদ সাহেবই হোক আর সাবেক প্রেসিডেন্ট বদরূদ্দোজা চৌধূরীই হোক। সে ৭১'রণান্গনে বীর যোদ্বা আবদুল কাদের সিদ্দীকিই হোক আর দেলোয়ার হোসেন সাইদীই (দেইল্ল্যা রাজাকার) হোক। সাকাচৌই হোক আর তেতুঁল হুজুর(যদিও এদের নামের সাথে হুজুর শব্দটি লেখা ঠিক নয )শফি সাহেবই হোক।
এদের মধ্যে কেউ একত্তরের চেতনা ফেরী করে বন্ধু বেশে শত্রু প্রতিবেশী দাদাদের আশির্বাদের(!) জন্য দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়,কেউ বা জাতীয়তাবাদী চেতনা ফেরী করে বন্ধুবেশি শত্রু , বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের আস্থা অর্জনের জন্য সবকিছু করার অন্গীকার করে,কেউ ইসলাম রক্ষার দোহাই দিয়ে জণগনের জানমালের ক্ষতি করে বেড়ায় ইত্যাদি ইত্যাদি ।
এদের মধ্যে অনেক আদর্শগত দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেলেও এরা সকলেই মুলতঃ এক ও অভিন্ন আদর্শে (?) বিশ্বাসী। কি সেই আদর্শ ? সেটা হলো এরা সবাই নিজের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝতে অক্ষম।এই স্বার্থটা কি?সেটা ক্ষমতায় যাওয়া।দেশ ও জাতীর জন্য সর্ব্বোচ্চ ত্যাগের কিছু গৎবাধাঁ বুলি বলে জণগন নামক গাধাঁর দলের সামনে একগাদা মিথ্যা আশ্বাসের মুলা ঝুলিয়ে ছলে বলে কৌশলে ক্ষমতায় যাওয়া। একবার ক্ষমতা পেলে তা ছাড়তে না চাওয়া।
প্রয়োজনে বিদেশী প্রভুদের কাছে দেশের সকল সম্পদ-স্বার্থ বিকিয়ে দেবার খত দেয়ার অংগীকার করা।তবে এই পর্যায়ে এসে পরস্পরের মধ্যে কিছু ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
আর সেটা হলো তারা একেক জন ভিন্ন ভিন্ন জনকে প্রভু সাব্যস্ত করে নিয়েছে।কেউ প্রভু হিসাবে গ্রহন করেছে হিন্দু রাস্ট্র ভারতকে,কেউ বিশ্ব সন্ত্রাসী মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের,কেউ বা পাকিস্তানকে।আর স্ব স্ব প্রভুকে খুশি করার জন্যই আজকের এই জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি ।আর এই কথাগুলো কারো অজানা নয় ।সুতারাং এখন সময় এসেছে আমাদের সাবধান হওয়ার। নয়তো আরো কঠিন পরিণতি আমাদের দিকে ধেয়ে আসছে।
সেই পরিণতি হতে পারে জাতিসংঘ কর্তৃক অর্থনৈতিক অবরোধ।হতে পারে "শান্তির জন্য যুদ্ধ"নামক বিমান হামলা।হতে পারে জাতীয় সরকারের নামে পা চাটা দালালদের শাসনের আড়ালে উপনিবেশিক শাসন।হতে পারে সন্ত্রাস দমনের নামে অহরহ ড্রোন হামলা।হতে পারে গৃহযুদ্ধ,অতঃপর জাতিসংঘ হস্তক্ষেপের নামে মার্কিন শাসন।আরো কত কি হতে পারে যা আমাদের ধারনার বাইরে।
এখন এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র রহমত।আর আমাদের দায়িত্বসাইয়্যিদুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযুর পাক ছ্ল্লা্ল্লাহু আলাইহি ওা সাল্লাম উনার উসিলায় সেই রহমত পাওয়ার চেষ্টা করা।
এ প্রসংগে মুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি দশম হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত মাওলানা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘ওসায়িল ফী শরহি শামায়িল’ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন, “যখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, তখন সেই বাড়ির অধিবাসীগণের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কু-দৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে সিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ! (সুত্রঃআন নি’য়ামাতুল কুবরা আলাল আ'নাম)
মহান আল্লাহ্পাক আমাদের সেই তাওফিক দান করুন।
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





