somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য কারো মতো নন ।৩য়,৪র্থ ও ৫ম প্রমান। )

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এই যমীনে মানুষের সুরত মোবারকে আগমন করলেও প্রকৃত অর্থে উনার সমস্ত কিছুই ছিলো একক , সুমহান এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য মন্ডিত (সুবহানাল্লাহ্‌)।বর্তমান যামানায় এমন কিছু বাতিল ফিরক্বা বদ মাযহাব ভুক্ত লোক রয়েছে যারা বলে থাকে যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালিন,ইমামুল মুরসালিন,হাবীবুল্লাহ্‌ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের মতো(নাউযুবিল্লাহ্‌)।
এই কথাটি সম্পুর্ন ভুল।সম্পুর্ন কুফরী।
নিম্নে উনার অসংখ্য ও অগনিত একক এবং অনন্য বৈশিষ্ট্য , শ্রেস্ঠত্ব-বুযুর্গি সন্মান সমুহ হতে অল্প কয়েকটি আলোচনা করা হলো।
তিন. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক উনার মধ্যেই রয়েছে সর্বাধিক মর্যাদা-মর্তবা। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারক উনার মহান সৌভাগ্যশালী হওয়ার কারণেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা দুনিয়ায় থাকতেই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক উনার সুসংবাদ অর্জন করেন।
যেমন- খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
رضى الله عنهم ورضوا عنه
অর্থ : “মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম) উপর সন্তুষ্ট; উনারাও খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি সন্তুষ্ট।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ-১১৯, পবিত্র সূরা মুজাদালাহ শরীফ-২২, পবিত্র সূরা বাইয়্যিনাহ শরীফ-৮)
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা একদিকে যেমন হযরত ছাহাবীয়াগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইহকাল ও পরকালীন জীবনসঙ্গিনী হওয়ারও সুমহান সৌভাগ্য অর্জন করেন। যার কারণে অন্যান্য পরহেযগার-মুত্তাক্বী মহিলাগণ উনাদের থেকে উনাদেরকে অসংখ্য-অগণিত নিয়ামত, মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত বেশি প্রদান করা হয়েছে। যা স্বয়ং খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা প্রদান করেছেন।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া হওয়ার কারণেই অন্যান্য নারীদের উপরে উনাদের মর্যাদা

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يا نساء النبى لستن كاحد من النساء
অর্থ : “হে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা অন্য নারীদের মতো নন।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্ববিখ্যাত ও সর্বজনমান্য তাফসীরের কিতাব “তাফসীরে মাযহারী শরীফ” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى ليست كل واحدة منكن او الـمعنى لـم توجد جماعة واحدة من جماعات النساء مثلكن فى الفضل قال ابن عباس اى ليس قدركن عندى مثل قدر غيركن من النساء الصالـحات انتن اكرم على وثوابكن اعظم لدى. هذه الاية تدل على فضلهن على سائر النساء.
অর্থ : “হে উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! উনার সহধর্মিণী হওয়ার কারণেই মর্যাদা, মর্তবা, ফযীলতের দিক থেকে কোন মহিলাই আপনাদের সমকক্ষ নয়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি (পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায়) বলেছেন, আপনাদের মর্যাদা, মর্তবা, ফাযায়িল, ফযীলত অন্যান্য সতী-সাধ্বী মহিলাগণ উনাদের মতো নয়। বরং আপনাদের সম্মান-মর্যাদা, ফাযায়িল-ফযীলত, অধিক পুণ্য ও প্রতিদান আমার নিকটে অধিক মর্যাদা সম্পন্ন, অনেক ঊর্ধ্বে। এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সমস্ত মহিলাগণের উপরে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের অধিক মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে।” (অনুরূপভাবে তাফসীরে খাযিন শরীফ ৫ম খ-ের ২৫৭ পৃষ্ঠা, তাফসীরে বাগবী শরীফ ৫ম খ-ের ২৫৭ পৃষ্ঠা, তাফসীরে মাদারিকুত তানযীল শরীফ ৩য় খ-ের ৪৬৫ পৃষ্ঠা এবং অন্যান্য সকল নির্ভরযোগ্য তাফসীর গ্রন্থে আলোচনা রয়েছে।)

মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে আহলে বাইত শরীফ হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং পূত-পবিত্রা করেছেন

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
انما يريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت ويطهركم تطهيرا
অর্থ : “হে হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং আপনাদেরকে পরিপূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।” অর্থাৎ আপনাদেরকে পূত-পবিত্র হিসেবেই সৃষ্টি করা হয়েছে। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)
এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় “তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
قال عكرمة ومقاتل اراد باهل البيت نساء النبى صلى الله عليه وسلم
অর্থ : “হযরত ইকরামা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেন, পবিত্র আয়াত শরীফ-এ ‘হযরত আহলে বাইত শরীফ’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”
“তাফসীরে ইবনে কাছীর” উনার ৩য় খ-ের ৭৬৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
نص فى دخول ازواج النبى صلى الله عليه وسلم فى اهل البيت ههنا لانهن سبب نزول هذه الاية.
অর্থ : “এ আয়াত শরীফখানা এটাই প্রমাণ করে যে, হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আহলিয়া অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালামগণ উনারা আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত।”
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে উনাদের সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারাও হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হবেন। যেমনটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে।
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৪০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এবং তাবিয়ীনগণ উনাদের একটি বিরাট জামাআত হযরত মুজাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত কাতাদা রহমতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্যগণ উনারা বলেন : হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন- ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম।
পবিত্র “ছহীহ মুসলিম শরীফ” উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্ব¡া আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি চাদর মুবারক আাবৃত হয়ে হুজরা শরীফ থেকে বাহিরে তাশরীফ মুবারক নিলেন। চাদর মুবারকটি ছিলো পশমী। একটু পরে সেখানে উপস্থিত হলেন ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে চাদর মুবারক দ্বারা ঢেকে নিলেন। এরপর এলেন ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি উনাকেও চাদ মুবারকে ঢেকে নিলেন। এরপর এলেন উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম। তিনি উনাকেও প্রবেশ করিয়ে নিলেন চাদর মুবারকের ভিতর। শেষে এলেন হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকেও জড়িয়ে নিলেন চাদর মুবারক উনার ভিতর। তারপর পাঠ করলেন পবিত্র এই আয়াত শরীফ, হে আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং আপনাদেরকে পরিপূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।” অর্থাৎ তিনি আপানাদেরকে পূত-পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।
(অনুরূপভাবে তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ, আহকামুল কুরআন লিল কুরতুবী শরীফ, আহকামুল কুরআন লি ইবনিল আরাবী শরীফ, মিশকাত শরীফ এবং অন্যান্য হাদীছ শরীফ উনার কিতাবসমূহে হাদীছ শরীফখানা বর্ণিত আছে।)
উপরোক্ত আয়াত শরীফ, তাফসীর শরীফ এবং হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল থেকে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ঐকমত্যে আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, উম্মু আবীহা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম, ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সমস্ত হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সকলেই হচ্ছেন আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।
হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা কোন মুসলমানের জন্য জায়িয নেই; যেহেতু উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া তথা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ولا ان تنكحوا ازواجه من بعده ابدا ان ذلكم كان عند الله عظيما.
অর্থ : “উনার অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ উনার পর উনার আহলিয়া অর্থাৎ হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা তোমাদের জন্য জায়িয নেই। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এটা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৩)
“তাফসীরে ইবনে কাছীর শরীফ” উনার ৩য় খ-ের ৮০৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
ولـهذا اجمع العلماء قاطبة على ان من توفى عنها رسول الله صلى الله عليه وسلم من ازواجه انه يحرم على غيره تزوجها من بعده لانـهن ازواجه فى الدنيا والاخرة وامهات الـمؤمنين.
অর্থ : “সমস্ত হযরত উলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা ইজমা করেছেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল শরীফ উনার পর উনার কোন আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা অন্য কারো জন্য জায়িয নেই বরং হারাম। কেননা, উনারা ইহকালে উনার (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) সহধর্মিণী ছিলেন পরকালেও সহধর্মিণী হিসেবে থাকবেন। আর উনারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত সকল মু’মিনগণের সম্মানিতা মাতা।” সুবহানাল্লাহ!
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৭২, ৩৭৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে যে, হযরত ইবনু আবী হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইবনু যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “একদা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে সংবাদ পৌঁছলো যে, এক ব্যক্তি বলেছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছাল মুবারক উনার পর আমি উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্ব¡া আলাইহাস সালাম উনাকে বিবাহ করবো। এ প্রেক্ষিতে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ অবতীর্ণ হয়।”
হযরত ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, হযরত মুয়াম্মার রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেছেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধতার হুকুম আসার পূর্বে হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আলিয়া বিনতে যুবইয়ান’ নামের এক আহলিয়াকে তালাক দিয়েছিলেন। পরে তিনি জনৈক ব্যক্তির সহধর্মিণী হন এবং কয়েকজন সন্তান-সন্ততির জননীও হন।
হযরত ইমাম বাইযাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আখিরী রসূল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওই সকল আহলিয়াগণ বিবাহ নিষিদ্ধ আইনের বিধানের বাইরে যারা উনার সাথে নির্জন অবস্থানের সুযোগ পাননি।
এক বর্ণনায় এসেছে- “হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খিলাফতকালে আশয়াছ ইবনে কায়েস নামীয় এক আরবীয় ব্যক্তি হযরত মুস্তায়িযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনাকে বিবাহ করেছিলেন। হযরত ফারূকে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এ খবর জানতে পেরে আশয়াছ ইবনে কায়েসকে প্রস্তর নিক্ষেপের মাধ্যমে হত্যা করতে মনস্থ করলেন। কারণ হযরত মুস্তায়িযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ছিলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া। কিন্তু পরে তিনি যখন জানতে পারলেন যে, হযরত মুস্তায়িযা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার সঙ্গে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্জন অবস্থান হওয়ার আগেই তিনি উনাকে পরিত্যাগ করেছিলেন। তখন তিনি আশয়াছ ইবনে কায়েসকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত পরিত্যাগ করেন।” (তাফসীরে বাইযাবী, শায়খ যাদাহ, হাশিয়াতুশ শিহাব, তাফসীরে বাগবী, খাযিন, মাদারিকুত তানযীল ইত্যাদি তাফসীর গ্রন্থেও এ সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে।)

চার.হায়াতুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়ার কারণেই উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম ।
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খণ্ডের ৩৭৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى ذنبا عظيما قلت وجاز ان يكون ذلك لاجل ان النبى صلى الله عليه وسلم حى فى قبره ولذلك لـم يورث ولـم يتئم ازواجه عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من صلى على عند قبرى سمعته ومن صلى على نائبا ابلغته
অর্থ : “(হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) উনাদেরকে বিবাহ করা বড় গুনাহ। আমি বলি : নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে বিবাহ করা হারাম এজন্যই যে, যেহেতু তিনি উনার রওযা শরীফ উনার মধ্যে জীবিত আছেন, তিনি হায়াতুন নবী। সে কারণে উনার সম্পত্তির কোন ওয়ারিছ নেই এবং উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণও বিধবা নন।”
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি আমার রওযা শরীফ উনার নিকটে এসে ছলাত ও সালাম দিবে আমি তা সরাসরি শুনি। আর যে আমার নিকট দূরদেশ থেকে ছলাত ও সালাম পাঠাবে তা আমার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।” (বাইহাক্বী ফী শুয়াবিল ঈমান)

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে উনাদেরকে নিয়ামত প্রদান করেন।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
ومن يقنت منكن لله ورسوله وتعمل صالـحا نؤتها اجرها مرتين واعتدنا لـها رزقا كريما.
অর্থ : “আপনাদের মধ্যে যে কেউ খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি অনুগত হবেন ও সৎকার্য করবেন উনাকে আমি পুরস্কার দিবো দুইবার এবং উনার জন্য আমি প্রস্তুত রেখেছি সম্মানজনক রিযিক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, দ্বিগুণ পুরস্কারের অর্থ হচ্ছে-
প্রথমত : উনারা দ্বিগুণ পুরস্কার লাভ করবেন খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ইতায়াত বা আনুগত্যতার জন্য।
দ্বিতীয়ত : হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি-রেযামন্দী মুবারক অর্জনের জন্য। উনার উপর সন্তুষ্ট হয়ে উত্তম জীবনযাপনের জন্য।
হযরত মুক্বাতিল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উনাদের প্রতিটি পুণ্যের প্রতিদান দেয়া হবে দশগুণ করে। এটা হচ্ছে আম বদলা। আর খাছ বদলা হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। কারণ দাতা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন অসীম আর উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন উনার কুদরত মুবারক উনার অধীন। সুবহানাল্লাহ!
“তাফসীরে মাযহারী” উনার ৭ম খ-ের ৩৩৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-
اى جليل القدر وهو الجنة زيادة على اجرها قلت وذالك لانهن يرزقن بمتابعة النبى صلى الله عليه وسلم مايرزق النبى صلى الله عليه وسلم.
অর্থ : “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালামগণ) উনাদেরকে সম্মানজনক রিযিক প্রদান করা হবে। তা হচ্ছে জান্নাত। যা সবচেয়ে বড় প্রতিদান। আমি বলি : উনারা উত্তম রিযিক পাবেন হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই। তাই হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যে রিযিক, উনাদের জন্যও সে রিযিক ধার্য হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে কাছীর, কুরতুবী, আহকামুল কুরআন, খাযিন, বাগবী, মাদারিক ইত্যাদি তাফসীরগুলোতে আরও বিশদভাবে আলোচনা রয়েছে।)
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, তাফসীর শরীফ ইত্যাদি কিতাব উনাদের উপরোক্ত আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে-
(১) আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হওয়ার কারণেই হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মর্যাদা অন্যান্য সকল নারীর উপরে। সুবহানাল্লাহ!
(২) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেমন ইহকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া; তদ্রƒপ বেহেশতেও উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া হিসেবেই থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
(৩) হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আহলে বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
(৪) অন্যান্য মানুষের থেকে উনাদের আমলের প্রতিদান দ্বিগুণ-বহুগুণে প্রদান করা হবে। সুবহানাল্লাহ!
(৫) পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে-পরে, যে কোন কালে যাঁরাই অনেক মর্যাদাশালী হয়েছেন; তাঁরাই আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই মর্যাদাময় হয়েছেন। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হযরত উম্মুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা। সুবহানাল্লাহ!

পাঁচ.সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ফযীলত ।
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا الـمودة فى القربى
অর্থ: “(হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি জানিয়ে দিন, আমি তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় চাচ্ছি না। আর চাওয়াটাও স্বাভাবিক নয়; তোমাদের পক্ষে দেয়াও কস্মিনকালে সম্ভব নয়। তবে তোমরা যদি ইহকাল ও পরকালে হাক্বীক্বী কামিয়াবী হাছিল করতে চাও; তাহলে তোমাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনাদের খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।” (পবিত্র সূরা শূরা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উনার পবিত্র বংশধরগণ উনাদের সুমহান ফযীলত সম্পর্কে রঈসুল মুফাস্সিরীন, ওলীয়ে কামিল আল্লামা কাযী ছানাউল্লাহ পানিপথি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার প্রণিত ‘তাফসীরে মাযহারী শরীফ উনার ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠায় উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় লিখেন-
لا اسئلكم اجرا الا ان تودوا اقربائى واهل بيتى وعترتى
অর্থ: “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাই না তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, হযরত আহলে বাইত শরীফ ও পবিত্র বংশধরগণ উনাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কর বা উনাদের হক্ব আদায় কর।
এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
والله لادخل قلب امرئى مسلم ايـمان حتى يحبكم لله ولقرابتى
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! ততক্ষণ পর্যন্ত কোন মুসলমান ব্যক্তির অন্তরে পবিত্র ঈমান দাখিল হবে না (হাক্বীক্বীভাবে ঈমানদার হবে না) যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য আমার সম্মানিত বংশধরগণ উনাদেরকে মুহব্বত না করবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ, তাফসীরে ইবনে কাছীর ৭/১৮০)
স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরানী বংশধারা সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত দুই আওলাদ ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী জারী রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম শরীফ, ইবনে কাছীর শরীফ, মাযহারী শরীফ, মাআরেফুল কুরআন ইত্যাদি)
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
الحسن والحسين عليهما السلام سيدا شباب اهل الجنة
অর্থ: “হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনারা হচ্ছেন বেহেশতের যুবক উনাদের সাইয়্যিদ।” সুবহানাল্লাহ! (মিশকাত শরীফ)
অতএব, যারা ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বংশধর বা আওলাদ উনারাই ‘সাইয়্যিদ বা আওলাদুর রসূল’ নামে পরিচিত।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
انا تارك فيكم الثقلين اولـهما كتب الله فيه الـهدى والنور فخذوا بكتب الله واستمسكوا به فحث على كتب الله و رغب فيه ثم قال واهل بيتى اذكركم الله فى اهل بيتى اذكركم الله فى اهل بيتى
অর্থ: “আমি তোমাদের জন্য দুটি নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি। প্রথম নিয়ামত মুবারক হলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব। উনার মধ্যে রয়েছে হিদায়েত ও নূর মুবারক। তোমরা পবিত্র কিতাবুল্লাহ উনাকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়িয়ে ধর। “তিনি কিতাবুল্লাহ উনার প্রতি উৎসাহ প্রদান করলেন। অতঃপর বললেন, “দ্বিতীয় নিয়ামত মুবারক হলেন, আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ বা (আওলাদগণ) বংশধরগণ। আমি তোমাদেরকে আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে বিশেষ নছীহত মুবারক করছি। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
تركت فيكم امرين لن تضلوا ما تمسكتم بهما كتاب الله وعترتى اهل بيتى
অর্থ: “আমি তোমাদের নিকট দু’টি নিয়ামত মুবারক রেখে যাচ্ছি। যদি তোমরা উক্ত নিয়ামত নিয়ামত মুবারকদ্বয়কে আঁকড়িয়ে ধর তবে পথভ্রষ্ট হবে না। প্রথমতঃ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কিতাব ও দ্বিতীয়তঃ আমার বংশধর বা আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা।”
তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-
ان اولادى كسفينة نوح من دخلها نجا
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার হযরত আওলাদ আওলাইহিমুস সালাম উনাদের উদাহরণ হলো হযরত নূহ আলাইহিস্ সালাম উনার কিস্তির ন্যায়। যে তাতে প্রবেশ করেছে বা আরোহন করেছে সেই নাযাত পেয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (সিররুশ শাহাদাতাইন)
অর্থাৎ হযরত আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবে তারা সকলেই নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ان اولادى كحطة بنى اسرائيل من قالـها نجا
অর্থ: “নিশ্চয়ই আমার হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা বণী ইসরাইলের হিত্তাতুন-এর ন্যায়। যারা তা বলেছে তারা নাজাত লাভ করেছে।” সুবহানাল্লাহ! (সিররুশ্ শাহাদাতাইন)
অর্থাৎ হযরত আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে যারা মুহব্বত করবে তারা সকলেই নাজাত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
النجوم امان لاهل السماء واهل بيتى امان لاهل الارض فاذا ذهب اهل بيتى ذهب اهل الارض
অর্থ: “তারকাসমূহ আসমানবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী আর আমার বংশধর বা আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা হচ্ছেন যমীনবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী। সুতরাং যখন আমার হযরত আহলু বাইত শরীফ বা হযরত আওলাদ আলাইহিমুস সালামগণ উনারা (দুনিয়া থেকে) চলে যাবেন অর্থাৎ বিদায় গ্রহণ করবেন তখন দুনিয়াবাসী সকলেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। অর্থাৎ তখন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে।” (মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, হাশিয়ায়ে মিশকাত শরীফ)
কাজেই, বিশ্ববাসীর জন্য নিরাপত্তা দানকারী, নাজাত দানকারী, ধ্বংস থেকে রক্ষাকারী, পবিত্র ঈমান ও আমল হিফাযতকারী হযরত আওলাদুর রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়া যাবে। এ মর্মে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
احبوا الله لـما يغذوكم من نعمة احبونى لحب الله واحبوا اهل بيتى لحبى
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে খাওয়া পরার যে নিয়ামত মুবারক দিয়েছেন সেজন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত করো। আর আমাকে মুহব্বত করো মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করার জন্য। আর আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি মুবারক উনার জন্য।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
আর তাই অতীতের সকল হযরত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার জন্য মন-প্রাণ উজাড় করে এমনকি সর্বস্ব হাদিয়া দিয়ে হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করেছেন, উনাদের খিদমত করেছেন।
যেমন এ প্রসঙ্গে “আনওয়ারুল আরিফীন” কিতাবে হযরত রবি বিন সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতের, তা’যীম-তাকরীমের, মুহব্বতের বিরল ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। তিনি হজ্জে যাওয়ার পথে একজন মহিলা আওলাদুর রসূল আলাইহাস সালাম উনার পরিবারের অসহায় অবস্থা দর্শনে ব্যথিত হয়ে হজ্জে যাওয়ার সমস্ত টাকা উনাদের খিদমতে হাদিয়া করেছিলেন। ফলশ্রুতিতে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার ছূরতে একজন ফেরেশতা আলাইহিস সালাম সৃষ্টি করেন যিনি ঐ বছর থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত হজ্জ করবেন যার ছাওয়াব উনার আমলনামায় জমা হতেই থাকবে। শুধু তাই নয়, তিনি উনাদের মুবারক খিদমতে রৌপ্য মুদ্রা হাদিয়া করেছিলেন তার বিনিময়ে উনাকে স্বর্ণ মুদ্রা হাদিয়া করা হয়েছিল এবং স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সুসংবাদ দিয়ে বলা হয়েছিল যারা আমাদের সাথে ব্যবসা করে তারা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। সুবহানাল্লাহ!
হযরত আওলাদুর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে বর্ণনাতীত মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শনের নজির স্থাপন করেছেন ইমামুল আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, হাকিমুল হাদীছ হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি।
একবার তিনি একস্থানে বসে স্বীয় ছাত্রদেরকে র্দস দিচ্ছিলেন। তিনি কিছুক্ষণ পর পর র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যেতেন। যার কারণে ছাত্রদের পড়া বুঝতে ও ধরতে অসুবিধা হতো। যখন র্দস শেষ হলো, তখন ছাত্ররা প্রশ্ন করল, “হে ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি! বেয়াদবী ক্ষমা করবেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, আপনি বারবার র্দস বন্ধ করে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন এর পিছনে কি কারণ রয়েছে?” উত্তরে তিনি বললেন যে, “তোমরা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছ যে, আমাদের র্দসগাহের পাশেই কিছু ছোট ছেলেরা দৌঁড়াদৌঁড়ি করছিল। তন্মধ্যে অমুক ছেলেটি বারবার আমার নিকটবর্তী হলেই আমি দাঁড়িয়ে যেতাম।” ছাত্ররা বললো যে, “হ্যাঁ, আমরা তা লক্ষ্য করেছি। তবে এ ছোট ছেলেটি আপনার নিকটবর্তী হলে কেন দাঁড়িয়ে যেতেন, অনুগ্রহ করে তার কারণ আমাদেরকে বলবেন কি?” তখন ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন যে, “দেখ, এ ছেলেটি আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূরুল আহমার মুবারকের সম্পর্ক রয়েছে। সেজন্য যখনই তিনি আমাদের র্দসগাহের নিকটবর্তী হয়েছেন তখনই আমি উনার সম্মানার্থে দাঁড়িয়েছি। কেননা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম ও সম্মান প্রদর্শন করা পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ। শুধু তাই নয় মহান আল্লাহ পাক উনার ও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলেরও কারণ।”

সুতারাং উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা প্রমানিত হলো খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন সৃষ্টিকর্তা হিসাবে একক ও অদ্বিতীয় ,তেমনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সৃষ্টিজগতে একক ও অদ্বিতীয়, তিনি অন্য কারো মত নন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×