আমি প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম স্যারের ছাত্র এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি পরিচয় আমার আর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না..
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি অর্থনীতিবিদ মইনুল স্যার যেন এক জীবন্ত কিংবদন্তি..চলন্ত..জ্বলন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া..তার শত শত অর্জন আমি আলোচনা করব না শুধু আমার অনুভূতি নিয়ে বলব..
কখনো স্যারকে ক্লাশে এক মিনিট দেরী করে ডুকতে দেখি নি..একটা ক্লাশ মিস দিতে দেখি নি..এক মিনিট বিশ্রাম নিতে দেখি নি..একটা মানুষ কিভাবে ঠিক সময়ের কাজ ঠিক ঐ সময়ে করে তা আমার কাছে বিস্ময়কর..
মনে হত পুরো বিশ্বের অর্থনীতি স্যারের নখ দর্পনে..হা করে তাকিয়ে থাকতাম .. মনে হত আমি যেন নব জন্মগ্রহণ করা একটি শিশু..কখন যে দু ঘন্টা পার হয়ে যেত অামরা কেউ টের পেতাম না..
তবে স্যার যেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক দূর্গ..এক কথার মানুষ..উচিত কথা বলতে নিজেকে ও ছাড়ে না এমন!!
কি এক সম্মোহনি শক্তি স্যারের মধ্যে..আমি আজো যেন স্যারের লেকচারের প্রতিধ্বনি শুনতে পাই..আমার মতো ফাঁকিবাজ ছাত্র সেই শক্তিতে বাধ্য ছাত্র হতে বাধ্য হয়েছিল..এতো মনযোগ আবেগ দিয়ে জীবনে আমি কারো লেকচার শুনেছি বলে মনে হয় না ..
স্যার বলতেন, গরীবের জন্য মার্দাশা, মধ্যবিত্তের জন্য স্কুল/কলেজ, উচ্চবিত্তের জন্য ক্যাডেট কলেজ এই বৈষম্য থাকলে কখনো দেশ অন্যায় অবিচার শ্রেণী বৈষম্য দূর হবে না.. আমার অধিকার থেকে আমি বঞ্চিত হলে আমার বুকে যেমন আগুন জ্বলবে তেমনি সংখ্যা লঘুদের বুকে ও দাউ দাউ করে আগুন জ্বলবে..এটা স্বাভাবিক..
জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি যেন স্যারের যুক্তির কাছে পরাস্ত হয়ে আবেগে বলতে ইচ্ছে করে, "গুরু আপনি ভালো..আমার দেখা সেরার সেরা"..স্যার স্কুলের মত রুল কল করতেন..কতটুকু দায়িত্ববোধ নিয়ে আমাদের সমস্যাগুলো শুনতেন বিষয়টা চমৎকার লাগতো..
নেপোলিয়নের সেই উক্তিটি একটু সংস্কার করে বলতে চাই, "বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শত মইনুল স্যার দাও, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অক্সফোর্ডকে হার মানাবে"
একবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ স্যারের শিক্ষা ব্যবস্থা ভাবনা নিয়ে একটি কলাম পোস্ট করছিল..সেই কলামটি আমি পরীক্ষায় তুলে দিয়েছিলাম,এতো সুন্দর স্যারের চিন্তা ভাবনা,
আমি স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি...শুনেছিলাম, স্যারের অবসরের দ্বার প্রান্তে..আমি ভাবতেই পারছি না কি হারাতে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




