somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পের ভিতরের গল্প ! (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
আজ এসএসসি রেজাল্ট, বরাবরই কে এ+ পাবে তার গুঞ্জন বন্ধু মহলে, রাব্বি এ+ পাবেই এমন বিশ্বাস সকলের , তাকে পড়ালেখার পোক বলা যায় ৷ সবার মাঝে ভয়-ভীতি মিশ্রিত টান টান উত্তেজনা কি হবে একটু পর, শফিক কিছু বলছে না ইংরেজী পরীক্ষায় পূর্ণমান একশোর মধ্যে চল্লিশ নম্বরের উত্তর দিয়ে এসেছে সে, দুই হাত তুলে বারবার বলছে 'ইয়া আল্লাহ রক্ষা কর, আমি তো নিশ্চিত ফেইল !' শেষ বাড়ি ফিরা ভেবে মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে যা ছিল নিয়ে এসেছে সমস্যা হলো প্যান্ট কোমর থেকে আধা ইঞ্চি সামান্য উদ্বৃত্ত হওয়ায় কয়েনের ভীড়ে পরপর অবস্থা ! তার বাবা ঠাইট বলে দিয়েছে, হয় পাশ না হলে দুই চোখ যেদিকে যাবে চলে যাবি ৷ পাশের বন্ধুটি ভাবছে যদি পাশ করে ! আনন্দ পার্টি দেওয়ার খরচ সাথে নিয়ে এসেছে শফিক ৷ ভাবার স্বাধীনতা বেপারটা খারাপ না একটু ভাল করে ভাব্য বলেই তো যুদ্ধ করেছি তাই নয় কি !

২.
গল্পটি এগিয়ে যাবে সাথে অনেক চরিত্র নিয়ে , গল্পের স্বার্থে অন্যদের নাম বলব না ! রাব্বি আর শফিককে নিয়ে আজকের ক্যাচাল ৷ অনেকের মত তারা ও রেজাল্ট হাতে পেয়েছে ৷ রাব্বি এ+ এবং শফিক সি+, গোল্ডেন এ+ এর টেনশন নতুন মাত্রা পেল রাব্বির ঐ দিকে শফিক টেনেটুনে পাশ করার আনন্দে পকেট খালি করতে লাগল ! শফিক প্রত্যাশার চেয়ে সে আরো বেশী পেয়েছে তার হারানোর কিছু নেই সুতরাং রেজাল্ট সে উপভোগ করছে ভাব যেন নব্য দেশ বিজয়ী এক বীর সেনা ! হঠাৎ এলাকার ছোট ভাইকে থামিয়ে বলল, এই পল্টু সাইকেল থেকে নামতো, সাইকেলটা দে ! বাসায় গিয়ে বলে আয়, মিঃ শফিক সাহেব পাশ করেছে ৷ তারপর শফিক ছোট ভাইয়ের সাইকেলটা নিয়ে হ্যান্ডেল চালানো শুরু করল, সাথে চাকা চলছে তার সাথে শফিক ও, কোথায় যাচ্ছে সে নিজে ও জানে না, জানার দরকার ও নেই, আজ হারিয়ে যেতে চাইছে তার মনে ! বেশী আনন্দ , বেশী কষ্ট, বেশী দুঃখ সোজাকথা কোন কিছু বেশী পেলেই মানুষ হারিয়ে যেতে চায় !

৩.
সপ্তাহ পেরুলে কলেজের ভর্তির টেনশন, এই পয়েন্ট দিয়ে কি ভর্তি হওয়া যাবে ! এদিক ওদিক করে ভর্তি হয়ে গেল শফিক ৷ জীবন এভাবেই চলতে পারতো কিন্তু হঠাৎ একটি সংবাদ যেন মেঘের কালো ছায়া ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি রূপে শফিকদের চোখ ভিজিয়ে দিল ! দীর্ঘ দুইমাস সর্দি লেগে থাকায় ডাক্তারি টেস্ট করাতে গিয়ে রাব্বির ক্যান্সার ধরা পড়ল, ব্লাড ক্যান্সার ৷ ব্যাচের সবচেয়ে মেধাবী ছেলেটিক এমন নিয়তি মেনে নেওয়া যায় না ৷ মধ্যবিত্ত একটি পরিবারের স্বপ্ন সাথে হাসির রেশ মুহূর্তে স্তম্ভিত হয়ে থামকে দাড়ালো ৷ আজ দুই দিন শকিক রাব্বির বাসায় মিছে সান্ত্বনা দিতে থাকলো রাব্বি কে, ডাক্তার জানিয়েছে দশ লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে লাগবে, ভালো ভাবে চিকিৎসা করলে রাব্বির বেঁচে থাকার সম্ভবনা আছে ! কি করা যায়, কি করবে, তাই ভাবতে বসল শফিক, দেয়ালে ইটের টুকরো দিয়ে লিখতে লাগলো জীবনের কঠিন নিয়তির বাস্তব গল্পের একটি লাইন, " রাব্বি! বন্ধু তোমাকে বাঁচাবোই.."

৪.
সব বন্ধুদের নিয়ে একটি আলোচনায় বসলো সে, কিভাবে কি করা যায়? প্রাথমিকভাবে একটি পথই খোলা ছাত্রাবাস আর রাস্তায় বক্স বানিয়ে সবাইকে বুজিয়ে কিছু সাহায্য চাওয়া ৷ যেই ভাবা সেই কাজ, সবাইকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দিল সে তারপর দুই একজন করে কিছু অতি উৎসাহী বন্ধু ডায়রিয়া, কোমর ব্যথা, আম্মু আব্বু বকবে মর্মে ইস্তফা নিল সবশেষে থাকলো বার কি পনের জন ৷ কলেজের সাদা শার্ট ময়লা করে তাদের উপার্জন দাড়ালো দুই হাজার টাকা ৷ যদিও অতি সামান্য দিন শেষে তা চুপিসারে তুলে দিল রাব্বির বাবার হাতে, রাব্বির বাবা শফিককে আগে ও দেখেছে, কিঞ্চিত ফাঁকিবাজ আর দুষ্ট ছেলে বলেই জানত আজ শফিকের চোখের দিকে তাকিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে মায়াবী ছেলে মনে হচ্ছে তাকে ! এত্তগুলো কিউট ছেলে ! শফিকের মাথায় হাত দিয়ে একটু আশীর্বাদ করতে হচ্ছে হচ্ছে তার কিন্তু হাত কাঁপছে, যাও বাবা বলে উদাস মনে জানালার দিকে তাকিয়ে আছে রাব্বির বাবা, সেখানে বিদ্যুতের তারের উপর একটি শালিক বসেছিল এতক্ষণ, এক্ষুণি উড়ে গেল ! হঠাৎ প্রাণপ্রিয় সন্তানের কথা মনে পরে বুকটা খা খা করে উঠল তার !

৫.
এভাবে সপ্তাহ পেরুলে অল্পকিছু টাকা সংগ্রহ করতে পারলো তারা, নতুন প্লান নিতে হবে, এভাবে যুগ পেরিয়ে গেলেও দশ লক্ষ টাকা জোগাড় করা যাবে না, এলাকার বড় ভাইদের সাথে কথা বলতে হবে, একটা সুন্দর সমাধানে আসতে হবে ঐদিকে যার যখন সময় হয় তখনি সে গিয়ে রাব্বির সাথে গল্প করে আজ সবাই মিলে এক সাথে যাচ্ছে ৷ এত বন্ধু এক সাথে পেয়ে রাব্বি ভীষণ খুশি ৷ 'জানিস রাব্বি,মানবিকের মিস ক্যাটরিনা আজ তোর কথা জিঙ্গেস করলো মাইরি, তোকে মনে হয় লাভ করে, সুস্থ হয়ে নে দ্রুত বউ সাজিয়ে নিয়ে আসমু নে ৷' সবার মাঝে হাসি ঠাট্টার আমেজ, ক্ষণিকের জন্য সবাই ভুলে গেছে অতীত, হঠাৎ রাব্বির ডায়রীর দিকে চোখ পড়ল শফিকের, সবাইকে আড্ডায় রেখে ডায়রীটা নিয়ে বারান্দায় গেল সে, প্রথম পাতা উল্টাতেই রাব্বির লেখা নোট, ' এই পৃথিবীতে আমি আরো একটি দিন বেঁচে থাকতে চায়, বাঁচার মতো একটি দিন....' চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে তার আর পড়তে পারছে না ! ডায়রী বন্ধ করে আড্ডার মাঝে ডুবে গেল আবারো... কফি হাউজের আড্ডার চেয়ে অনেক বেশী মধুর এই আড্ডা ৷

৬.
নতুন পরিকল্পনার মধ্যে কনসার্ট, ফিল্ম ফেস্টিবল অন্তভুক্ত হলো, এভাবে মাস খানেক চলে গেল, শুরু হলো কনসার্টের টিকিট বিক্রয় ৷ বেশ সাড়া জাগালো ৷ সব টিকিট পনের দিনে বিক্রী শেষ ৷ আজ 'কনসার্ট ফর রাব্বি' শিল্পীরা এসে পড়েছে সাথে অসংখ্য দর্শক আর প্রাণ প্রিয় বড় ভাইয়েরা যাদের পাশে না পেলে এই দুঃসাধ্য কখনো সম্ভব হতো না ৷ একটার পর একটা গান চলতে লাগল ৷ এক পাশে ঘাপটি মেরে বসে আসে শফিক ভাবছে সবাই কতো আনন্দো নাচানাচি করছে অথচ তার বন্ধুটি নেই , সে বেশ কিছু দিন যাবত হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে ৷ যেভাবে হোক বন্ধুকে বাঁচাতে তার টাকা দরকার যদিও রাব্বি কনসার্ট লাইক করে না তবুও শফিক এই অবলম্বনটি বেঁচে নিতে বাধ্য হয়েছে ৷ যান্ত্রিক গোলযোগ ভাল লাগছে না আর তার, চোখ ঠিকরে জল বেরুতে চাচ্ছে না সে আর কাঁদবে না বলে পণ করেছে যেদিন বন্ধু সুস্থ হবে সেদিন আনন্দে অশ্রুসিক্ত হবে যায় হোক তবুও যখন দূর থেকে ঐ গানটি ভেসে আসলো, 'বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষণ.....!' হুহু করে কেঁদে দিল সে ! চোখেৱ জল নিয়ম মানে না ! কারণে অকারণে বিসর্জিত হতে চায় শুধু !

৭.
'কনসার্ট ফর রাব্বি' থেকে আয় হলো এক লক্ষ টাকা, সবকিছু মিলিয়ে দুই মাসে দুই লক্ষ টাকা জোগাড় হলো ৷ ছয়টা ফ্লিম ফেস্টিবল বাকী আছে আবারো টিকেট বিক্রয় শুরু ৷ প্রতিদিন হ্যান্ড মাইকে প্রচরণা করতে করতে ঘুমের ঘোরে ও সে বলে উঠে, 'প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমাদের বন্ধু গোল্ডেন এ+ পাওয়া মেধাবী ছাত্র রাব্বি দীর্ঘদিন যাবত ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, জীবন নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন, আমাদের বন্ধুকে নিয়ে আমাদেরও অনের স্বপ্ন, সেই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে যদি আপনাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাহায্য সহযোগিতায় অথবা টিকেট থেকে প্রাপ্য অর্থে উন্নত চিকিৎসা করে রাব্বিকে বাঁচিয়ে তুলতে পারি ৷' কিভাবে যেন ছয় মাস ফেরিয়ে গেল ঐ দিকে রাব্বির চিকিৎসা চলছে, সাথে ক্লাস সামনে এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষা, সবাই নির্জীব হয়ে গেছে অনেকটা ! ক্লান্ত পরিশ্রান্ত ! তবুও শফিক ছেলেটা ব্যতিক্রম যদিও তার ফেইল করে করে অভ্যেস তবুও কোন রকম এসএসসি পাস করা ছেলেটি এবার মনে হয় ফেইল করবে তবুও রাব্বিকে বাঁচানোটাই তার এখন নেশা পেশা হয়ে গেছে ৷

৮.
আজ টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দিল ! সে পাঁচ বিষয়ে ফেইল ৷ প্রিন্সিপাল তার ব্যস্ততার কারণে অবগত হয়ে তাকে টেস্টে উত্তীর্ণ করিয়ে দিলেন ৷ এদিকে ফাইনাল পরীক্ষা আর দুই মাস বাকী ৷ একদিকে রাব্বি শফিক অন্যদিকে সবাই পড়ালেখায় মন দিল ৷ ইচ্ছে থাকলে ও বাস্তবতার কারণে অনেক কিছু সম্ভব হয় না কিন্তু শফিক একটু পড়ার চেষ্টা করে ও পারলো না, বইয়ের দিকে থাকালেই টিকেটের ছবি ভেসে উঠে, সেখানেও ও লেখা রাব্বিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন ! আসলেই মানুষ অভ্যেসের দাস যা করে তা ই নেশা হয়ে যায়, দুঃখের প্রতি ও ভাল লাগা সৃষ্টি হয়, কষ্ট পেতে ও ভালবাসে তখন ৷ অন্যদিকে রাব্বির অবস্থা ক্রমে অবনতি হতে লাগলো, ডাক্তার বললো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাহিরে পাঠাতে হবে, দশ লক্ষ টাকার মধ্যে পাঁচ লক্ষ জোগাড় করতে যেখানে নাভিশ্বাস উঠেছে সেখানে বৈদেশে চিকিৎসা নেওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে গেল ব্যাপারটি, সেদিন বিকেলে যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাব্বি অনের কাঁদছিল, পাশে বসা মা বুকে তৈল মালিশ করতেছিল ঠিক সে মুহূর্তে বন্ধুরা সবাই আবার দেখতে আসলো তবুও তাদের দেখে উঠে বসতে চেয়েছিল রাব্বি, উঠতে গিয়ে ও উঠতে পারলো না ! সর্বোচ্ছ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে সে একটু বেডে বসে সবার সাথে কিছু কথা বলবে বলে, ডাক্তার অনেকটা ইঙ্গিত দিয়েছে সে আর বেশী দিন বাঁচবে না, শরীল কিম্ভূতকিমাকারভাবে ফুলে উঠছে, মায়ের চোখের জল তৈলের সাথে মিশে একাকার তবুও মায়ের দৃঢ় বিশ্বাস তৈল মালিশ করতে থাকলে এক সময় ছেলের যন্ত্রণা কমে যাবে, স্বপ্ন আশা নিয়ে মানুষ বেঁচে থাকে, যেমনি করে শফিকের স্বপ্নে চিরদিন বেঁচে থাকবে রাব্বি !

কোন এক নাম না জানা ভোরে সব চেষ্টার পরিসমাপ্তি হলো ৷ রাব্বি আজ মারা গেল ৷ খবর পেয়ে ছুটে আসলো বন্ধুরা, মেডিকেল থেকে বাসায় আনা হলো রাব্বিকে, বন্ধুরা সবাই হুহু করে কাঁদছে ৷ শফিকের চোখে জল নেই কেন? নির্বাক হয়ে আছে সে কফিনের দিকে তাকিয়ে ৷ জীবন বুঝে গিয়েছে সে কঠিন বাস্তবতার একটি বছরের মধ্য দিয়ে ! একটি উপন্যাস লিখবে ভাবছে ৷ অন্তরের সকল জ্বালা যন্ত্রণা অব্যক্ত বেদনা শব্দের খেলায় উড়িয়ে চূর্ণ বিচূর্ণ করে সেই গল্প বুকে জড়িয়ে কাঁদবে ! হঠাৎ তার মাথায় এমন ভাবনা আসলো কেন? জগতের লীলা খেলা বুজা বড় দায় ! রাব্বির অধ্যায়টি এখানে শেষ হতে পারতো, কিন্তু রাব্বিকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে, দেয়ালে ইটের টুকরোর লেখাটিকে সে হারিয়ে যেতে দিবে না, যেভাবে হোক বাঁচিয়ে রাখবে তার গত এক বছরের স্মৃতিগুলো স্তম্ভ করে,

৯.
তারপর অতপর এক সপ্তাহ পর ফাইনাল পরীক্ষা রেজাল্ট দিল ৷ শফিক ফেইল করল ৷ বাসায় গিয়ে শুয়ে আছে ৷ এমন সময় শফিক আর রাব্বির বাবা ঘরে প্রবেশ করলো একসাথে, হঠাৎ শফিককে বুকে জড়িয়ে ধরে রাব্বির বাবা বলতে থাকল, ' বাবা আজ থেকে তুমি আমাদের ছেলে, এমন ছেলে যেন বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে একটা করে জন্ম নেয় সেই দোআ করি ৷'

তারপর শুরু হলো বদ্ধ রুমে শফিকের স্মৃতিচারণ ৷ একের পর এক পৃষ্ঠা লিখে ছুড়ে ফেলতে লাগল জানালা দিয়ে, লেখালেখি তার কাজ নয়, তবুও তাকে লিখতে হবে, রাব্বিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে যেভাবে হোক ! আবারো শুরু হলো যাত্রা নতুন উদ্যমে নতুনভাবে নতুন সুরে, বন্ধুর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে দীর্ঘ কঠিন ধৈর্য পরীক্ষা দিয়ে লিখতে লাগলো একটি বাস্তব জীবনের গল্প, চোখের জল টুপ করে খাতার উপর গড়িয়ে পড়তে থাকতে লাগলো, এভাবে একদিন গল্পের খাতাটি শেষ হলো ৷

তারপর প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে লাগলো সে ! তার তো টাকা নেই যে নিজেই একটা বই বের করে ফেলবে, অবশেষে গল্পের পান্ডুলিপি যখন কোন এক প্রকাশক তার সামনে দুই পাতা চোখ বুলিয়ে নিচ্ছি ঠিক তখনি চশমার ফাঁকে দিয়ে টলমল করা চোখ শফিককের মনে প্রশান্তি এনে দিল ! অবশেষে বইমেলায় যাচ্ছে তার পান্ডুলিপিটি বই হয়ে ৷ লেখক হওয়ার স্বপ্ন শফিকের তখনো ছিল না একটিই স্বপ্ন রাব্বিকে বাঁচিয়ে রাখা মহাকালের স্মৃতিস্তম্ভের এপিটাপে খোদায় করে,

এরপর সময় আপন গতিতে চলতে থাকলো, এক বছরের বঞ্চিত বুকের সঞ্চিত স্মৃতিগুলো বইয়ের পাতায় অঙ্কিত করে সে এই বছর একুশে বই মেলার একজন সেরা নবীন রাইটার.....! আজ তার চোখে জল এলো, উপলব্দি করলো ওপার থেকে রাব্বি চোখ টিপ মেরে বলছে, বন্ধু এগিয়ে যাও....! উপস্থিত বক্তব্যে কি বলেছে তার কিছুই মনে নেই, 'সামনে হাততালি যেন থামছেই না ! '
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×