Every breath you take
Every move you make
Every bond you break
Every step you take
I'll be watching you.
Every single day
Every word you say
Every game you play
Every night you stay
I'll be watching you.
Oh can't you see
You belong to me?
( Lyrics from a song sang by Artist: The Police, Album: Synchronicity)
উপরের গানের লাইনগুলো প্রেমিক/প্রেমিকার নিবিড় আবেগের প্রকাশই বটে তবে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় এটা শাসক গোষ্ঠীর ছড়ানো মায়াজলের সাথেই তুলনীয়, যা আমাদের কাছে জিপিএস সিস্টেম নামে পরিচিত। চিপ (Electronic Chip ) আর সিস্টেমের সুবিধা নিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই নিজেদেরকে বেধে ফেলছি এক পরাধিনতার শেকলে। কদিন ফেসবুক বন্ধ থাকলেই্ আজ আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসে। সমস্ত নিরবতা ভঙ্গ করে যে কোন মুহুরতেই বেজে উঠে মুঠো ফোন, একান্ত বলে কিছুই থাকছেনা আজকাল। আজ যাকে আমরা প্র্যাতাহিক জীবনের প্রয়োজনীয়তাই সভ্যতার অবদান মনে করছি তার পেছেনে শাসকের যে অভিলাষ লুকিয়ে আছে তার খবর কতটুকই বা রাখছি। অর্থ, শক্তি আর ক্ষমতাই বলিয়ান শাসকের দল চিপ এর মাধ্যমে তাদের আধুনিক দাস হিসাবে গড়ে তুলছে সাধারন মানুষকে।
জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে টাকার প্রয়োজনিয়তা অপরিহার্য, টাকা'ই জীবনের ফুয়েল। এই টাকার নিয়ন্ত্রন যার হাতে সেই জীবনকে নিয়ন্ত্রন করে। কিন্তু টাকা চলে যাচ্ছে চিপ এর নিয়ন্ত্রনে আর চিপ থাকছে শাসকের নিয়ন্ত্রণে। আমার কষ্টার্জিত টাকাও আমার নিয়ন্ত্রনে থাকবে না এক সময়। কাগজের টাকা বিলুপ্ত করে সেই চিপ-এ সংরক্ষিত হবে যার সুইচ থাকবে কোন এক ব্যাংকের কাছে।
জাতীয় পরিচয় পত্র, পাসপোর্ট, নিরাপত্তা এমনি কোন এক আজুহাতে আমাদের ডিএনএ রিপোর্টও তারা কব্জা করবে। প্রকৃতিতে আমি নিজেকে মুক্ত মনে করলেও আমার আমি তাদের কাছেই বন্দি থাকবে। তাদের বেধে দেওয়া একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চলাফেরা করতে হবে, এই সীমা চিন্তা-চেতনার এমনকি পরিভ্রমনেরও হতে পারে। সীমা অতিক্রম করলেই সুইচ অফ। তারা পৃথিবীতে সেকেন্ড গড হিসেবে আবির্ভূত হতে চায়। আমাদেরকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে ক্ল্যাস আব ক্লান খেলছে তারা।
এদেরই একজন এজেন্ট আমাদের মাঝে খুবই পূজনীয়, তিনি "ক্ষুদ্র ঋণ" নামক একটি অতি খুদ্র অস্ত্র আবিস্কার করেছেন তাদের জন্য।
পুরুস্কার হিসেবে পেয়েছেন নোবেল জিতেছেন। জাতি হিসেবে আমরা ধন্য হয়েছি। আন্তর্জাতিক ব্যাংকার দল কিভাবে গ্রাস করছে পৃথিবীকে তার উৎকৃষ্ট উদাহরন বর্তমান গ্রীস। সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে বিলাসিতাই ভাসতে থাকা গ্রীস এখন ভিক্ষার পাত্র। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অথবা ব্যাক্তি জীবনে ব্যাংক এবং ঋনের প্রভাব শাঁখের করাতের মতই। টাকার নিয়ন্ত্রন নিতে ব্যাংকার রাজনীতি বুঝতে নিজের ভিডিও দেখুন ;
Safety First প্রথমেই নিরাপত্তা, তাই গঠিত হলো ন্যাটো। এরপর কানেক্টিভিটির নামে ভিসা বিহীন বিশ্ব স্লোগানে ইউরোপের মানুষ রাষ্ট্রীয় সীমার বাধন ছিঁড়ে একাকার। নিজেদেরকে মুক্ত বিহঙ্গ ভাবতে থাকেলও প্রকৃত পক্ষে অধিকতর বৃহত্তর খাঁচায় বন্দি হওয়া ছাড়া বেশী কিছু নয়। এভাবে একদিন সব রাষ্ট্রীয় সীমা এমনকি মহাদেশীয় সীমাও বিলুপ্ত হবে। যারা কথায়-কথায় ভারত/পাকিস্তানে চলে যেতে বলে তাদের আর কোন কষ্ট থাকবে না । এক বিশ্ব এক রাষ্ট্র একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। সমর শক্তি, বিশাল অখণ্ড ভুমি পাওয়া গেল, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ "মুদ্রা" দরকার। সুতরাং ইউরো চালু করতে হবে। কেমন হবে ইউরোপ আমাদের মুদ্রায় আমদের পরিচয় থাকবে না তা কি হয় ! সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউরোতে জল ছাপ দেওয়া হলো গ্রীক দেবী "ইউরোপা"র ছবি। যে "ইউরোপা"কে গ্রীক দেব জিউস ঘোড়ার বেশ ধরে অপহরন করেছিল। ইহুদীদের স্টাইল আছে বলতে হবে, তারা সব কিছুতেই তাদের ছাপ রাখতে চায়।
ইউরোপ'কে ইহুদী গোষ্ঠীর পরিকল্পনার পাইলট প্রজেক্ট বলা যেতে পারে অথবা এক বিশ্ব এক রাষ্ট্ পরিকল্পনায় প্রথমেই রাজধানীর নিয়ন্ত্রন। কাগজে কলমে ইউরোপ বিভিন্ন দেশ নিয়ে গঠিত মহাদেশ হলেও তা এখন একটি রাস্ট্রের মতই, যার পার্লামেন্ট ই.ইউ পার্লামেন্ট। ইউরোপের রাষ্ট্র প্রধানরা এখন আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যানের মতো। মেয়ার আমশেল রা'ই এখন ইউরোপের অর্থ প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে সুতরাং রাষ্ট্র পরিচালনায় কে আছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এই ষড়যন্ত্রীরা পৃথিবীকে নতুন ভাবে সাজাতে চান। তাদের এই পরিকল্পনা নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার (NWO) নামে পরিচিত। NWO এর সপ্নচারীরা হলেন ;
পুরো বিশ্বের সমস্ত সম্পদ এবং প্রতিটি মানুষের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়। NWO বিশ্ব শাসন প্রক্রিয়াই তারা নিজেদেরকে যেভাবে বিনাস্ত করে ;
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Abid_Jaljala/Abid_Jaljala-1451821707-79d6b72_xlarge.jpg
কোন দেশ বা জাতি-গোষ্ঠীর উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় তারা যে ফর্মুলা অনুসরন করে তা হলো ;
জঙ্গি উপস্থিতি এবং গনতন্ত্রের আনুপস্থিতি এই দুইটি প্রব্লেম নিয়ে তারা এ পর্যন্ত ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। হিটলারের ইহুদী নিধন নাটক ছিল জাতিগত বিদ্বেষ ও মানবিক বিপর্যয় সমস্যা, রিএ্যাকশন ছিল হত্যাকারী নাজিদের প্রতি ঘৃণা আর ইহুদীদের প্রতি অফুরান সহানুভূতি, সমাধান ছিল পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েল সৃষ্টি। ৯/১১ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এ বিমান হামলা নাটক, রিএ্যাকশন এমন এক পর্যায়ে নেয়া হলো যে কোন কিছুর বিনিময়ে জঙ্গি দমন করতে হবে, মুসলিমরা জঙ্গি। সমাধান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মুসলিম নিধন। একই ফর্মুলা অনুসৃত হয়েছে পূর্ব তিমুর, ইরাক, আফগান, আরব বসন্ত সবখানে।
WW-II পূর্ববর্তী অবস্থা
WW-III পূর্ববর্তী অবস্থা
এখন আইএসআইএস-সিরিয়া নামক একটা সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের সৃষ্টি করা আইএস দিয়ে সিরিয়ায় যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা ছড়িয়ে পড়ছে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে। শিয়া-সুন্নি-কুরদি জাতিগত সংঘর্ষ - বিদ্বেষ রাষ্ট্রীয় সীমা ছাড়িয়ে একাকার। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দূরবর্তী দেশগুলো স্পষ্ট মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। রিএ্যাকশন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এখন এটা কোন আঞ্চলিক সমস্যা নেই, গোটা বিশ্বের সমস্যায় পরিনত হয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক'ই হচ্ছে। এখন ইরান কর্তৃক ইসরায়েল অথবা ইসরায়েল কর্তৃক সৌদিআরব বা অন্য কোন আরব রাষ্ট্র আক্রান্ত হলেই খেলা শুরু। একই সাথে উত্তর কোরিয়া বনাম দক্ষিন কোরিয়া শুরু হবে যাতে চীন-আমেরিকা জড়িয়ে পড়বে। রাশিয়া-আমেরিকা-চীন এর মত মহা শক্তিগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে নিজেদেরকে খয় করবে। আমেরিকার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে যুদ্ধ শেষ হলেও রাশীয়া এবং চীন হবে আধমরা। এমতাবস্থায় সমাধান আসবে ই.ইউ. পার্লামেন্ট থেকে এক দেশ, এক বিশ্ব, এক সরকার প্রতিষ্ঠার। জয়ী হবে NWO এর সপ্নচারীরা আর পরাজিত হবে মানবতা।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯