আত্মজীবনীর রঙিন পৃষ্টা
-আবু মকসুদ
(কবি ফকির ইলিয়াস
বুনো কোন জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আমাদের করোটিজলের সূত্রগুলি)
শববাহক হেঁটে যায় অলৌকিক চরের মাঝে
বাক্যের অন্বেষণে দৌড়ে আসে সময়ের সন্ত
দীর্ঘপ্রসবের স্পর্ধিত পথ, কুড়ায় গাঢ় অন্ধকার
অসংযমী রাতে, কুকড়ে উঠে চাঁদের বিষাক্ত হীরে
আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, সেখানে পৌঁছে দিয়েছে কেউ
জংলায় হাঁটার কালে সাথে হেঁটেছে
তৃতীয় এই গ্রহে, ঘণায়মান মেঘে দিয়েছে সূর্যের বার্তা
পাথরকন্ঠ দিনে তার মন্ত্রে ভেঙ্গেছি মোক্ষম কংক্রিট
শরীরের সংকেতময় বার্তায় পেয়েছি বোধবুদ্ধি জ্ঞান
জেনেছি জীবিত থাকতেই লিখে যেতে হবে আত্মজীবনী
রঙিন পৃষ্টায় এভাবেই সাজিয়েছি পৃথিবীর প্রতিটি দিন
ঢেউ এসেছে মুছে দিতে হলদে পাতা, অতিথি পাখিরা
চৌদ্দ প্রদীপের আলো পৌঁছে দিয়েছে দিগন্তরেখায়
এই মাটি শুধু কাদাসিক্ত নয়, আঁচলের গিঁট থেকে
ছড়িয়েছি খানিকটা পাপড়ি, জ্যোৎস্নারঙের রেকাবিতে
শুদ্ধ স্নানের ইচ্ছায় পুষেছি কবিতার দ্বিপ্রহর
আমার আজন্ম ঋণ, অক্ষয় পৃষ্টায় লিখে রাখতে চাই
ক্ষত্রিয়বালকের বর্ণশিক্ষা, শক্তমুঠো ধরে রাখবে যে লোকালয়
হে দ্বিজবালক! তোমাকে পরাবো বলে হীরের মুকুট
সৌভাগ্যের স্বর্ণচূড়ায় বাড়িয়ে যেতে সরল সখ্যতা।
থাকি ঋণী আপাদমস্তক, নিমজ্জনে পড়ে গেলেও
হে সূর্য! আলো আহরণ করি, তবু ঋণ শোধতে ইচ্ছে করেনা ...