স্বাধীনতা যুদ্ধে নিজের পরিবার ও স্বজনদের হারিয়ে তিনি তার চারপাশকে আপন করে নেন। ছবিতে দেখা যায় প্রতিবেশীর দরিদ্রসন্তানকে তিনি অতি স্নেহে বড়ো করছেন। খুলনা শহরের কপিলমনি এলাকায় নি:স্ব এই বীরাঙ্গনা পথে পথে পাগলের মতো ঘুরে বেড়ান। সামনে যার কাছ থেকে যা পান ছিনিয়ে নেন, কারণ সবকিছুর উপরই তার অনেক দাবী। বেত দিয়ে পথচারীকে আঘাত করার ভয় দেখান। হয়তো তার এই অস্বাভাবিকতা হচ্ছে চলমান বিকৃতির প্রতি ঘৃণা ও ব্যঙ্গ। তার এলাকায় অসম্ভব জনপ্রিয় এই গুরদাসী। তিনি উপকথার নায়িকার মতো সবার একান্ত আপন। সব হারিয়েছেন যে দেশের জন্য, সেই দেশ গুরুদাসীকে কিছুই দিতে পারেনি। অবশ্য যেসব রাজাকার নির্যাতন করেছিল তারা আজ আছে বহাল তবিয়তে। ইতিহাসের নিষ্ঠুর প্রহসন। এখনও সেই জামাতী রাজাকাররা প্রতারিত করে চলছে দেশের মানুষকে ধর্মের মুখোশ পড়ে। গুরুদাসী আমাদের বিবেকের লজ্জা ও গ্লানি। এই লজ্জা ও গ্লানি থেকে যারা মুক্তি দিবে তারা কি চেনে গুরুদাসীকে?
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৬ রাত ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




