somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রচলিত কিছু আঞ্চলিক শ্লোক-- প্রবাদপ্রবচন--গল্প--ধাঁধাঁ

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের বাংলা ভাষার বাগধারা , প্রবাদ প্রবচন , এসবে অনেক সমৃদ্ধ ! প্রবাদ-প্রবচণ আমাদের বাংলা ভাষার একটি অলংকার ।খনার বচনের কথা কে না জানে ? তারপর আরও আছে চাণক্য শ্লোক ।

গ্রামের আঞ্চলিকতা নির্ভর গল্প গাঁথা , শ্লোক, প্রবচন , এসব ও বা কম কিসে ! এসবই মুখে মুখে চলে আসছে হয়ত কত শত বছর আগের কারো বানানো । তারপর আছে ছোট ছোট ছেলেময়েদের বিভিন্ন খেলার মজার মজার ছড়া কাটা । সন্ধ্যায় বাড়ির উঠানে গল্পের আসরের গল্প !

কিংবা ঘুম পড়ানোর জন্য কবিতা কিংবা শ্লোক । মনে পরে কবিতা , মাগো আমার শ্লোক বলা কাজলা দিদি কই?

এসবের আবেদন এখন অনেকটা ফুরিয়ে গেছে । দাদু নানুরাও এখন আর এসব গল্প বলে না , কারন নাতী নাতনী রাও এখন শুনতে চায় না ।

কিন্তু আমার নানু জানে অনেক অনেক গল্প , ছড়া মজার মজার শ্লোক । আর আমি সবসময় ছোট বেলার মত এখনও বলি, নানু এখন গল্প বলেন আমার নানু বলে .....আচ্ছা তাহলে এবার শোন তবে...........এভাবেই শোনা হয়েছে কত কত গল্প আবার ভুলেও গিয়েছি ।

আঞ্চলিক প্রবাদ প্রবচন এসব যেমন কখনও মজার , কখন কটাক্ষ কিংবা পরিহাসের ,কখনও হাস্যরসের , কখনও অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ কোন কথা । এগুলো’র প্রত্যেকটা থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে ।

আমার ডায়েরিতে টুকে রাখা থেকে এমন কিছু ......



১.মাইয়্যার নাম রাম বালা
কান্দে আর বান্দে ছালা ।:-*

ঘটনা হল রাম বালা গেসে বাপের বাড়ি ।তারপর বাপের বাড়ি থেকে যাবার দিন একদিকে কান্দে আর এক দিকে বাপের বাড়ির তত্ত্ব , জিনিস পত্র নেবার জন্য ছালা বাঁধে । মানে একটু কটাক্ষ করে বলা হইসে আর কি !

২.মাইয়্যা এক যায় খাইয়া
আরেক যায় লইয়্যা
আবার থাকে পথের দিকে চাইয়্যা ।:-*

মানে এটাও বাপের বাড়ি সংক্রান্ত ।মেয়ে খেয়ে যায় , নিয়ে যায় আবার বাপের বাড়ি থেকে কি পাঠানো হবে তার আশায় চেয়ে থাকে (হ কৈসে) /:) ।এখানেও কটাক্ষ করে বলা হয়েছে ।

আগের দিনে মেয়েরা বাপের বাড়ি আসত হয়ত দিনের পর দিন অপেক্ষার পর , স্বামী , শ্বশুর বাড়ির সবার মর্জি হলে । দীর্ঘ দিন পর বাপের বাড়ি এসে দেখত তার লাগানো গাছ টা হয়ত মরে গেসে , গরু টা হয়ত নেই ।তারপর যাওয়ার সময় , মায়ের হাতের বাপের বাড়ির সব ভাল খাবার দাবার এসব দিয়ে দেয়া হত । আবার কবে আসবে ! এই নিয়ে ও প্রচলিত আছে সমাজে এমন বাঁকা কথা ।সমাজে মেয়েদের স্পেস এত কম কেন ? /:)

৩.পোলারে তুতিবুতি
মাইয়্যারে লাই
তার চৌদ্দ গুষ্ঠির নাই
নরকে ঠাই ।

যদি ছেলে কে অতি আহ্লাদ দেন , আর মেয়েকে প্রশ্রয় , তা হলে ছেলে মেয়ে গোল্লায় যাবে আর জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাবে ।

৪. ছোট কালে সোনামুখ
বয়সের কালে আয়না
বুড়া কালে বান্দরীমুখ
কেউর দিকে কেউ চায় না ।

বয়সের সাথে সাথে মেয়েদের রুপের যে পরিবর্তন হয় , সেটাই বলা হয়েছে ।

৫.ভাগের হতিন সখিনা
রাত পোহালে দেখি না ।

সখিনা কে শুধু ভাগ যোগের সময় পাওয়া যায় ,তারপর তার আর খবর পাওয়া যায় না। বোঝানো হয়েছে স্বার্থপর মানুষ কিংবা যারা শুধু মাত্র নিজেদের পাওয়ার ব্যাপারে সচেষ্ট ।

৬.মোটে মায় রান্দে না
পান্তায় তেরসা ।
গরীব মানুষ তাদের বাড়িতে তো রান্না বান্নাই তেমন হয়না ,পান্তাই তাদের তত্ত্ব ।

৭. জামাই কইন্যার দেখা নাই
শুক্কুর বার বিয়া ।

অতি আগাম চিন্তা ভাবনা ।

৮.পাইলাম থালে
দিলাম গালে
পাপ নাই তার
কোন কালে ।

পড়ে পাওয়া জিনিস এর কোন মালিকানা নেই , যেই পাবে সেই নেবে ।

৯.তোমার আছে , আমার নাই
রস চুরিতে পাপ নাই
যদি কর বাড়াবাড়ি
থাকবে নাকো রসের হাড়ি

রস চুরি হালাল করার অজুহাত , বাড়াবাড়ি করলে রসের হাড়ি ঢিল দিয়ে ভেঙ্গে দেয়া হবে ।রস চুরি করে এই ছড়া কাটা হয় মনে হয় :-*

১০.আছে গরু না পায় হালে
দুঃখ না ছাড়ে কোন কালে ।

যার গরু আছে কিন্তু হাল চাষ করে না , তার দুঃখ অভাব কখনই যাবে না । পরিশ্রম না করলে সৌভাগ্য আসবে না ।

১১.বাইন্না কুইট্টা মরে কেউ
ক্ষুদ দিয়া পেট ভরে কেউ ।

ঢেঁকি তে চাল ভাঙ্গার সময় ,ঢেঁকি আসে পাশে চালের ক্ষুদ জমে যায় ।কেউ হয়ত তখনি খাওয়াতে ব্যাস্ত হয় । প্রতিকি হিসেবে বলা হয়েছে যারা রান্নার কাজের আশেপাশেও আসেনা কিন্তু খাবার সময় ঠিক হাজির ।

১২.ঘরের মধ্যে ঘর
জনে জনে হাওলাদার।
ঘরের সবাই নিজেকে মাতব্বর মনে করে ! :D

১৩.আর গাব খাব না
গাবতলা দিয়া যাব না
গাব খাব না, খাব কি ?
গাবের তুল্য আছে কি ?

এক কাকের গলায় গাব আটকে গেসে । সাথে সাথে তার প্রতিজ্ঞা , সে জীবনেও গাব খাবে না । বলতে বলতে ই যেই গলা থেকে চলে গেসে ,সেই তার উল্টো উপলব্ধি ! প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গতে কতক্ষণ! :P:P

১৪.যেখানে মজিবে কায়া
নাও থুইয়া তরেও জায়া ।

যেখানে মৃত্যু কপালে আছে সেখানে যেভাবেই হোক ,অদৃষ্ট টেনে নিয়ে যাবে ।

নেট থেকে নেয়া আরও কিছু মজার মজার

১.আগে না বুঝিলে বাছা যৌবনের ভরে
পশ্চাতে কাঁদিতে হবে নয়নের ঝোরে

২.আহ্লাদের বউ তুমি
কেঁদো না , কেঁদো না
চাল চিবিয়ে খাব আমি
রেঁধো না , রেঁধো না

৩.অন্ন দেখে দেবে ঘি
পাত্র দেখে দেবে ঝি

৪.কথায় কথা বাড়ে , ক্রোধে হয় ঝড়
কথা না বাড়িয়ে সখি যাও তবে ঘর

৫.কুপুত্র যদ্যপি হয়
কুমাতা কখনো নয়

৬.বুদ্ধিমানকে বোঝানো যায় , আকারে প্রকারে
নির্বোধ কে বোঝাতে হয় চড়ে ও চাপড়ে !

৭.বউ ভাঙলে চাড়া , শাশুড়ি ভাঙ্গলে খোলা !

৮.লোক লজ্জায় রাঁধি বাড়ি
পেটের জ্বালায় খাই
লজ্জা শরম আছে বলে
কাপড় পড়ে যাই । :-*

অনেক গুলো প্রবাদ প্রবচন বললাম , এবার কয়েকটা গল্প বলি, ঠিক অবশ্য গল্প ও না ..........

১.এক দেশের মানুষজন খুব বোকা । শুধু একজন ছিল বুদ্ধি(!)মান ।তাকে সবাই ডাকত বুদ্ধির ডিপা :D
তো একদিন এক কাক একটা আধা খাওয়া চিতই পিঠা এনে ফেলল । বোকা লোক গুলো সেটা কুড়িয়ে পেয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা করল কিন্তু কি সেটা তো কিছুতেই বুঝতে পারল না , তারপর নিয়ে গেল বুদ্ধিমানের কাছে ।

সেই আধ খাওয়া চিতই পিঠা নেড়েচেড়ে দেখে বুদ্ধিমানের উত্তর -

বুদ্ধির ডিপায় মইর‍্যা গেলে
দেশ হইবে আন
আকাশ দিয়ে পরছে একখান
ঘোনে খাওয়া চাঁন :-*

২.এক চোর প্রায়ই এক বাড়িতে চুরি করতে যেত । একদিন শাশুড়ি আর বৌ চোর কে শায়েস্তা করার বুদ্ধি আঁটল । বুদ্ধি মত বৌ রান্না ঘরের একটা পাতিলে বল্লার বাসা এনে রেখে দিল ।
এখন রাতে তো আবার চোর আসছে। এখন শাশুড়ির ফিসফিস করে জিজ্ঞাসা , বৌ তোমার সোনার গয়না কই ? বউ তো বলে দিল , রান্না ঘরের পাতিলের ভিতর ।

চোর তো শুনে ফেলে ভাবল , এইত পাওয়া গেছে গয়নার খোঁজ । কিন্তু রান্না ঘরে যেয়ে পাতিলে হাত দিতেই বল্লা দিল কামড় । আর চোর তো এক ছুটে রান্না ঘর থেকে উঠানে যেয়ে লাফালাফি !

এখন রসিক শাশুড়ির জিজ্ঞাসা করছে, ও বৌ জগত তারা,
এত রাইতে নাচে কারা ?

শাশুড়ির জিজ্ঞাসা শুনে চোরের উত্তর , যে ফাঁদ পাইত্যা থুইছ তুমি
এত রাইতে নাইচ্যা মরি আমি :P


৩.সাপ যাচ্ছিল তাল গাছের নিচ দিয়ে । এমন সময় ভাদ্র মাসের পাকা তাল পড়ল , পড়ল তো পড়ল একে বারে সাপের গায়ে । বেচারা সাপের তো একেবারে দফারফা ।
ভয়াবহ রেগে বলল , কালা কালা মিসরি !
তুই কেন ছেছলি ?
তালের উত্তর , এটা আমার জাতের ধারা
তুই কেন সামনে খাঁড়া ?

৪. জামাই তার বৌ এর কাছে তেলের হিসেব চাচ্ছে ,
এক পয়সার তৈল
কিসে খরচ হইল ?
বউ - তোমার দাড়ি , আমার পায়
আরও দিলাম ছেলের গায়,
ছেলেমেয়ের বিয়ে হইল ,
সাত রাত্রি গান হইল
কোন অভাগী ঘরে এল
বাকী টুকু ঢেলে দিল !

৫.গ্রামের এক বৌ পানি নিয়ে আসতে গেছে নদী থেকে ।যেয়ে দেখে এক কাঠুরিয়া ক্লান্ত হয়ে নদীর পারে এসে বসে আছে । এখন বউটা তো কাঠুরিয়া কে দেখে প্রেমে পড়ে গেল ।

এখন সে করল কি কলসি নিয়ে সে নদী থেকে এক একবার পানি নিয়ে আসে আর সেই কাঠুরিয়া কে দেখে আসে । এভাবে সে পানি এনে ঘরের সব ঘড়া , কলস ভরে ফেলল । তারপর সে পানি এনে এনে ঘরের উঠানে ঢালতে লাগল !

এখন তার শাশুড়ি তো ভীষণ অবাক ! ঘটনা কি ! আজকে আমার বৌ এর কি হইল ? সে এভাবে পানি দিয়ে ঘর ভরাচ্ছে কেন ? ব্যাপার কি দেখার জন্য সে বৌয়ের পিছনে পিছনে গেল !

ঘটনা দেখে শাশুড়ি কাঠুরিয়া কে বলছে ,

এসেছ রতন
গায়ে দিছ চন্দন
বসিয়াছ বটবৃক্ষ তলে
তোমায় দেখিয়া আমার বঁধুয়া
ঘর ভরিয়াছে জলে ।

কাঠুরিয়া,
ঘরেতে আছে মোর
লাল পলাশের প্রিয়া
কি করিব তোমার ঐ
ধূতরা ফুল দিয়া :-/ :-/ B-))

৬.তারপর এই রাজার গল্প তো সবাই জানে ।এক রাজাকে তার বাবা বলে ছিল সব সময় যার তিন মাথা তার থেকে বুদ্ধি নেবে । এখন একদিন বিদেশি বনিকের দল অনেক মুক্তো নিয়ে এল । রাজার তো অনেক পছন্দ হল ,কিন্তু তারপরও উজিরকে ডাকল পরামর্শের জন্য ।

উজির বলল , রাজামসাই মুক্তো নকল । আপনার টাকা নষ্ট হবে ।
রাজা বিরক্ত হয়ে জহুরীকে দেখাল , দেখল যে সত্যি মুক্তো নকল ।তারপর খুশি হয়ে উজিরকে একটা পয়সা দিল ।

তারপর আবার বনিকের দল ঘোড়া নিয়ে এল । উজির ঘোড়া দেখে বলল , রাজা মশাই ঘোড়া অসুস্থ ,কালই মারা যাবে , আপনার অনেক টাকা গচ্চা যাবে ।
সত্যি ঘোড়া পরের দিন মারা গেল আর রাজা খুশি হয়ে আবার একটা পয়সা দিল।

এখন তো উজির মহা চিন্তায় পড়ে গেল , কি ব্যাপার আমি রাজার এত গুলো টাকা বাঁচিয়ে দিলাম কিন্তু রাজা মশাই আমাকে একটা মাত্র পয়সা দিল ।

তাই সে রাজাকে যেয়ে বলল , আমার গর্দান না নিলে একটা কথা বলতে পারি । সেটা হল আপনি কোন রাজবংশের সন্তান নন , আর রানিমাতা একজন বাইজী ।রাজা খোজ নিয়ে দেখলও সবি সত্যি ।তাই তার জিজ্ঞাসা উজির এত সব জানল কিভাবে ?

মুক্তো চিনলাম ভাসে
ঘোড়া চিনলাম কানে
রানি চিনলাম হাসে
আর রাজা চিনলাম দানে । (এটা সম্ভবত বীরবলের গল্প )

আসল মুক্তোয় চেহারা ভাসে, মৃত্যুর আগে ঘোড়া কানে শুনতে পায় না , রানিমাতার হাসি অন্দর মহল ছাড়িয়ে বাহিরে আসে , রাজা দের দান কখনো এমন এক পয়সা হয় না ।

নাহ আর কোন গল্প না এবার কয়েকটি সহজ সহজ ধাঁধাঁ.........বলুন দেখিইই
১.আকাশ হতে পড়ল বুড়ি
খাতা বালিশ লইয়্যা
সেই বুড়ি কথা কয়
কোলার মাঝে বইয়্যা

২.আছে ফল দেশে নাই
খাই ফল ছোলা নাই

৩.তুমি আছ জলে
আমি আছি ডালে
তোমার আমার মৃত্যু
একই কালে

৪.চারপাশে কাঁটা কোঁটা
মধ্যে এক সোনার বাটা

৫.চাঁদ নয় সূর্য নয়
ঘরে ঘরে থাকে
জগ নয় কলসি নয়
কাছে কাছে থাকে ,
মুখ নাই তার নাভি দিয়ে
করে শুরা পান
পেটেতে ওড়না পড়ে
মস্তকে তার কান ।

নেটের প্রবাদ গুলো এই ফেসবুক পেইজ থেকে নেওয়া হয়েছে ।অন্য গুলো বেশীরভাগই বরিশাল অঞ্চলের প্রচলিত ।

অপ্রসঙ্গিক কথা : পোস্ট থেকে অপ্রসঙ্গিক কিছু কথা বলতেই হচ্ছে । কেউ চাইলে স্কিপ করতে পারেন । কাল ই মাত্র খেয়াল করলাম , ব্লগ লিখেছেন: ২ বছর ৩ দিন। ভাবছিলাম দুই বছর সময় তো কম নয় ! ব্লগিয় পরিসংখ্যান তেমন খেয়াল করা হয় না । ব্লগ লিখিও না তেমন, ব্লগিং এর মান (!) এর কথা আর কি বলব , পড়া আর অর্থহীন সব কমেন্ট করার মধ্যেই আমার ব্লগিং সীমাবদ্ধ ।
আমার টাইপ অনেক স্লো । তাই বর্ষপূর্তি ধরণের পোস্ট লেখা হয়ে এখন উঠবে না কিংবা লিখতে শুরু করলে আরেকটা বছর ঘুরে আবার বর্ষপূর্তি চলে আসতে পারে!

ব্লগটা যেমন অনেক প্রিয় ,তেমন ব্লগাররাও সবাই না হলেও প্রায় সবাই প্রিয় ।প্রিয় সবারই পোস্ট নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করি ,কমেন্ট করি ।
কিন্তু পোস্ট উৎসর্গ , কিংবা বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রীতি অনুযায়ী ধন্যবাদ এমন আগে কখনো বলা হয়ে ওঠে নি । প্রিয় যারা তাদের আমি মনে মনে রাখতেই ভালবাসি ,তাই পোষ্ট উৎসর্গ এমন করেও বলা হয়নি ।
আমি ঠিক সুন্দর করে বলতে ও এসব পারি না :)। তাই বলতেও ইচ্ছে হয় না ।

কিন্তু তারপর ও কারো পোস্টে আমার নাম দেখে থমকে যাই ।কিছু ভেবে পাই না , তাই কিছু বলা হয়ে ওঠে না । কিন্তু এত অকৃতজ্ঞ হই কি করে ?

তাই প্রিয় কারো নাম উল্লেখ করছি না , সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য ।
থ্যাংক ইউ , লিন্‌কিন পার্ক ভাইয়া , পিচ্চি ভাইয়া আরমান , মুন :) :)

আর ব্লগের প্রিয় দুটা আপুর কথা না বলে তাদের দুটো কমেন্ট রিপ্লাই দেখাচ্ছি :D ,আমি খুবই মজা পেয়েছিলাম আমার ছোট্ট বেলার সম্বোধনে ,





:!> :!> :!> :#> :#>

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৩
৬৪টি মন্তব্য ৬২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×