একজন এসেছিলো আমায় দেখতে
ক্যামন আছি, কী করি, এই সব হাবিজাবি জানতে।
আমি তীর্থকাকের মতো প্রতীক্ষায় ছিলাম,
অপেক্ষা করছিলাম তার ফিরে আসবার পথ চেয়ে
সিগারেটের নিকোটিন রক্তের অনুতে ভরে ভরে দিন গুনছিলাম
অবশেষে আজ সে এলো; দেখে গ্যালো আমাকে, আমাদের স্মৃতিদের!
অগ্নি সঞ্চারক হৃদয় অববাহিকায় কতোটা ধূলোর চর জমেছে
একটা দুইটা সবুজ চারা রোপণ করলে কতো সময়ে ওরা বেড়ে উঠবে
সে এসেছিলো, এবং জেনে গ্যালো সব, যা আমার জানা নেই
হয়তো জানার প্রয়াসটুকুও মরে গ্যাছে, ব্যাভিচারের পার্থিবে!
অথবা ব্যবচ্ছেদ করে মরে পুড়ে যাই, এনাটমির সংসারে
তবুও নানারুপ রঙধনু আয়োজনে এসেছিলো সে
দেখে গ্যাছে আমি ও আমাদের ভঙ্গুরভূমিতে কী করে টিকে আছি
নীল হলুদ উদ্যানে, আমার একান্ত বাসর; একাকীত্বের বাসর
যা টিকে আছে প্রগলভ কিছু সত্য অহংকারে!
সে এসেছিলো, অহংকারের বুদবুদে ছাই চাপা করে গ্যাছে
চুম্বক ও চুম্বন বিষয়ক শ্রুতিপাঠ; আত্ননিবেদনের সারসংক্ষেপ!
তাসের ঘরে আগুন দিয়েছে, তখনো হার্টসের কুইন আমার হাতে
সযতনে আগলে রেখেছি, একটি অন্যদিনের গল্প।
রাতের মেঘঘোলাটে আকাশে ঝাপসা নক্ষত্ররাশি
একটা দুইটা রাতপাখি উদ্দেশ্যবিহীন
আদিগন্ত জুড়ে হা করে থাকা থকথকে আঁধারে
বিষাদের বালিহাঁস চক্রাকারে ঘুরতে থাকে
কড়িকাঠে মাকড়শা জাল আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে
তার আসা যাওয়ার গল্প!
ছবিসূত্র-- ফেবু
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৮