পার্কে, ক্যাম্পাসে, শহরে, বন্দরে, খোলা মাঠ,
পথ প্রান্তরে, আজো হায়েনাদের কামড়ের দাগ।
আমাদের শিশ্ন উত্থিত হয় না! আমরা পুরুষ হই না
তোমাকে যারা রক্ষিতা করে রেখেছে তাদের পা
চাটি, তাদের উত্থিত পৌরুষের কাছে নতজানু
হই। চেটে দেই আমাদের কুকুর সদৃশ লকলকে জিহ্বায়।
আমার, আমাদের এই আচরণে বুঝিয়ে দাও
আমাদের সম্পর্ক চুকে বুকে গ্যাছে। যদিও যায়নি
মুছে তোমার অশ্রুর দাগ।আমাদের কাপুরুষ পাঁজরকে
লক্ষ্য করে তোমার তাচ্ছিল্যের চাহনী বুঝিয়ে দেয়
সেই রক্তস্নাত দিনগুলো, তোমাকে ভোগের পণ্য
করেছিলো যারা, যারা তোমার সবুজ অঙ্গ জ্বালিয়ে
করেছিলো অঙ্গার, সেসব হায়েনাদের আজো দানবীয়
পদচারণায় সন্ত্রস্ত তুমি।
দেখো, আজ আমরা জেগে উঠেছি, গড়ে তুলছি
মানবপ্রাচীর। আমাদের মুষ্টিবদ্ধ হাতের উঠানামা
অনধীকারের বিরুদ্ধে, গড়ে তুলেছি ফাঁসীর মঞ্চ।
স্লোগানে স্লোগানে সমগ্র তুমিতে আজ আমরা একাকার
আমাদের গলা ফাটানো তীব্র চিৎকারে একটাই রব-
তোমাকে যারা ভোগ করছে, তাদের জন্য ফাঁসীকাষ্ঠ।
যাদের তুমি অভিশাপ দিয়েছিলে, ককুর বেড়ালের
মতো পথে ঘাটে ধুকে ধুকে মরবে, বিষ্ঠা আবর্জনা
গিলে খাবে। আমরা আজ তোমার অভিশাপের বিরুদ্ধে!
আমাদের পাড়া মহল্লার অলি গলিতে দেখতে চাই না
এইসব পশু অপেক্ষা অধিক পশুদের।
পথে নেমেছি, প্রয়োজনে সব হারাবো কিন্তু
মা গো তোমাকে যারা বিকলঙ্গ করছে, তোমাকে যারা
টেনে হিঁচরে কাঁটা ছেঁড়া করছে, তাদের শেষ করেই
ক্ষান্ত হবো। না হয় পথেই শেষ করে দেবো নিজেদের।
মাগো তোমার ছেলেরা আজ মানুষ হয়ছে।
চেয়ে দেখো জনতার স্রোত মিলেমিশে একাকার
তোমার সব ছেলেরা আজ ভাই হয়েছে। হাতে
নিয়েছে সোনালী মশাল জ্বলজ্বলে হাতিয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৪