একটা দীর্ঘশ্বাসের রজনী! কাঁটা তারের বেড়ায় ঝুলছে একাকীত্বের নৈঃশব্দ পরিহাস! আলোর জোনাক গোপন অভিসারে বেরিয়েছে, একা। হাওয়ায় মেঘপালক ধূমোয়িত সিগারের রেণুর মতো উবে যাচ্ছে যখোন তখোন। শতাব্দীর পুরনো জটায়ু বট, ঠাঁয় দাঁড়িয়ে নিয়তির বেলফুল হাতে নিয়ে।
একাদশীর চাঁদ উঠেছে, ঝলমলে রুপোর থালা হয়ে। ক্ষুধার্ত আমি! সুকান্তের মতো চাঁদকে দেখে ইচ্ছে হয় ঝলসানো রুটি ভেবে হামলে পড়ি, কুটি কুটি করে ছিঁড়ে পরিজাত ফুলের মতো দিগ্বিদিকে ছড়িয়ে দিই।শাদা শাদা ফুলে পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির পলি।
অবিরাম বর্ষণ হয়, শান্তির শাদা পতাকায় লেগে যায় শোক; শোকের রঙ। কবিতার খাতায় রোদভাঙ্গা জোছনার বদলে আসে পোয়াতি বিষাদের বোমারু বিমান! কেবল ধ্বংস আসে; বিদ্বেষ আসে, খাপখোলা তরবারীর শানিত ফলা আসে! মূহুর্তেই খুন করে ফেলতে পারি একেকটি কবিতাকে।
অথচ, জ্যামিতিক হারে বাড়ছে নির্ঘুম রাত্রিরা, একটি কবিতার জন্য। হ্যাঁ, একটি কবিতার জন্য। জেগে থাকি সারারাত, মাঝে মধ্যে তন্দ্রা আসে, তন্দ্রায় কবিতা আসে। রুপোলী চাঁদ আসে, পরীরাও আসে বৈকি! আমি লাফিয়ে উঠি! হলুদ খসখসে পাতায় লিখতে গেলেই ব্ল্যাকআউট!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:০৬