মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর পাকিস্তানের নিন্দার প্রতিবাদে বাংলাদেশের দেয়া চিঠিও প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার এবং সোমবার(৩০/১১/১৫) ইসলামাবাদে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই-কমিশনারকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘পাকিস্তান সরকার যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের এই ভিত্তিহীন এবং অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছে। যুদ্ধাপরাধের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।’
অতি সম্প্রতি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আলি আহসান মুজাহিদ এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করায় কয়েকদিন আগে পাকিস্তান তীব্র আপত্তি জানায় এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র শিরেন মোজারি এমনকি বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানী অ্যাম্বাসেডরকে প্রতিবাদস্বরূপ পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন।
গত ২২ নভেম্বর বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলি আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করায় পাকিস্তানের তরফ থেকে ক্ষোভ এবং নিন্দা জানানো হয়।
পাকিস্তান বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘বাংলাদেশ যে বিভিন্ন অছিলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ এবং অপমান করছে সেটা পরিতাপজনক কারণ আমরা বরাবরই চেয়েছি একটা ভ্রাতৃত্বমূলক সুসম্পর্ক বজায় রাখার। পাকিস্তান সবসময় মনে করে দুই দেশের মানুষই এ ধরণের একটা শক্তিশালী বন্ধুত্তের সম্পর্ক চায় কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের সেটা নিয়ে কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই।’
............................................................
মন্তব্য করার কিছু নেই। আমি শুধু একটাই আশা করবো বাংলাদেশ সরকারের শ্রদ্ধাবোধ এবং শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আর পাকিস্তান বলেছে বাংলাদেশের ফাঁসি দেয়া নেতাদের বিরুদ্ধে যেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা ভিত্তিহীন, অযৌক্তিক, সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে পাকিস্তানের এই মন্তব্যকে সুস্পষ্ঠভাবে মিথ্যা প্রমাণ করে তাদেরকে মিথ্যাবাদী প্রমান করা এবং ধিক্কার জানানো।
পারবে কি সরকার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগগুলো সুস্পষ্টভাবে সত্য প্রমান করতে? যেখানে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে চাওয়া বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি গণ্যমান্য ব্যাক্তির সাক্ষ্য না শুনেই তাকে ফাঁসি দিয়ে দেয়া হয়েছে!!!! তাই সরকারি ট্রাইব্যুনালের প্রমানে নিশ্চই কাজ হবে না। আন্তর্জাতিকভাবে স্বচ্চ একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই অভিযোগ প্রমান করতে হবে।
পাকিস্তানকে উচিত জবাব দিতে সরকারের সেই সাহসী পদক্ষেপের অপেক্ষায় রইলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১১