
বাংলাদেশে আইএস আছে কি নাই, এ নিয়ে তর্ক বিতর্ক ব্যপক। সরকার বলছে নাই, পশ্চিমারা বলছে আছে। ইহুদী পরিচালিত তথাকথিক একটি সাইটের মাধ্যমে আইএস প্রতিনিয়ত স্বীকারও করছে যে তারাই এই হত্যাকান্ডগুলো ঘটাচ্ছে।
তথাকথিক ‘সাইট’ এর কথা বাদই দিলাম। আইএস কর্তৃৃৃৃক প্রকাশিত অনলাইন ম্যাগাজিন ‘দাবিক’ এর সর্বশেষ সংখ্যায়ও বাংলাদেশের হত্যাকান্ডগুলোর দায় স্বীকার করেছে তারা।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ভারতের পত্রিকা দ্যা হিন্দুকে বলেছেন, জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যাকারী দুই আইএস সদস্য ভারতে পালিয়ে গেছে। তার এই কথার দুদিন পরই বগুড়ায় শিয়া মসজিদে ডুকে মুয়াজ্জিনকে হত্যা করে দায় স্বীকার করে আইএস। অর্থাৎ বুঝা গেলো বাংলাদেশে কেবল দুজন আইএসই ছিলেন না, আরো আছেন।
সর্বশেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল দুজনেই একটি অনুষ্ঠানে আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, “বাংলাদেশে আইএস-এর কোন কার্যকলাপ নেই। দেশকে অকার্যকর করার জন্যই আইএসের নাম ব্যবহার করে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আইএসের জন্মদাতা আমেরিকা বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানিয়ে কোনভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।”
এখন কথা হলো, বাংলাদেশের সম্প্রতি হত্যাকান্ডগুলো সত্যিাকর অর্থেই কারা করছে এটা বের করা কি খুবই কঠিন কাজ?? সরকার যদি মনে করে যে, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং এবং এসব হত্যাকান্ডেও তাদের কোনো হাত নেই। তাহলে এটা প্রমান করে দেখাক বিশ্বকে!!
প্রমান করাতো খুবই সহজ। এসব হত্যাকান্ডে এপর্যন্ত যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করলেই তো হয়। কারা তাদেরকে পাঠিয়েছে এবং এর পিছনে কারা জড়িত সেটা উন্মোচন করে আমেরিকাকে দেখালেই তো পারে যে, এই দেখেন হত্যাকারীরাই বলছে তারা আইএস নয় এমনকি আইএসের পক্ষ থেকেও তাদেরকে পাঠানো হয়নি। তারা অন্য কারনে এই হত্যাকান্ডগুলো ঘটিয়েছে। তাইলেই তো আইএসের স্বীকারোক্তি মিথ্যা প্রমান হয়ে যায়।
আমিও চাই বাংলাদেশে আইএস নেই সেটা প্রমান হোক। এবং আমরাও স্বস্তিতে থাকি। কিন্তু আমার বিশ্বাস আইএস কখনো মিথ্যা মিথ্যাভাবে এসব হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করবে না। তারা এর পিছনে আছে বিধায়ই তারা এর দায় স্বীকার করছে। তবে তাদের সংখ্যা হয়তো গুটিকয়েক।
পুরো ব্যপারটাই বাংলাদেশের জন্য অসনি সংকেত। বাংলাদেশের দিকে নজর পড়েছে পশ্চিমা হায়েনাদের। তাদেরকে ঠেকানো অত সহজ নয়। বাংলাদেশ হয়তো অচিরেই সিরিয়া হবে। আল্লাহ না করুক।
তবে এর দায়ভার সম্পূর্নরুপে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী সরকারের। তারাই জঙ্গি জঙ্গি মিথ্যা ধুয়া তুলে পশ্চিমাদেরকে সুযোগ করে দিয়েছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যেই মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদ, সেই ফাঁদে নিজেই পড়েছে আওয়ামী লীগ। তবে এতে তারা হয়তো নিরাপদেই থাকবে, কিন্তু অনিরাপদ হয়ে পড়লো পুরো বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



