বাংলাদেশে জন্মহার কমেছে। কিন্তু এইটার ফলাফল কি হতে পারে জানেন?
জন্মহার কমানোটা বাস্তবায়ন হয়েছে শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের ক্ষেত্রে। উচ্চবিত্ত আগে থেকেই কম ছিল। কিন্তু নিম্নবিত্তদের জন্য জন্মহার প্রায় আগের মতই আছে। ফলে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। মানে গরীব বেড়েই চলছে, আর সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে পরছে অল্প কিছু মানুষের হাতে।
ব্যাপারটা এখানেই! আর কয়েক দশকের মাঝেই তাই একটা “বিপ্লব” আপনারা আশা করতে পারেন, যা হবে নিম্নবিত্তদের দ্বারা।
প্রশ্ন হল, বিপ্লব কেন হবে?
একটা কারন হবে “সুষম সম্পদ বন্টন”এর দাবিতে। যেহেতু সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে পরছে অল্প কিছু মানুষের হাতে।
ধনী গরীব মানসিক বৈষম্য এখন ক্রমবর্ধমান। এই বৈষম্য দূরীকরনের দাবিতে।
যেমন, আপনি কোন কম্পানির বস হয়ে ওই কোম্পানির দারোয়ানের সাথে একই টেবিলে বসে ডিনার করতে পারবেননা। আপনার ইগো প্রবলেম থাকবে।
ইত্যাদি…
ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিক লাগতে পারে।
আমি একটা উদাহরন দি,
ঢাকা শহরে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রায় সব প্রধান রাস্তায় সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে প্রত্যেক খুটি লাল সবুজ কাপড় দিয়ে সাজানো হয়েছে।
নিঃসন্দেহে এ মাস গৌরবের। তাই সাজানোটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু এটা স্বাভাবিক ঠেকবে না যখন দেখবেন খুটির নিচেই কিছু মানুষ কাপরের অভাবে শীতে কাপছে।
“বিপ্লব”এ এ ব্যাপারগুলো অন্যায় হিসেবে দেখাটা অন্যায় হবে না।
ব্যক্তিগতভাবে উদাহরন দি,
আমরা এত টাকা খরচ করে রেস্টুরেন্ট চাইনিজ কেএফসি খাই, পার্টি, ডিজে পার্টি দেই, কত খাবার নষ্ট করি, আরও অনেক বিলাসিতা করি, কিন্তু কখনো ভেবে দেখি না যে চারপাশের শত মানুষ খাইতেই পারতেসে না!
“বিপ্লব”এ এগুলো দোষ হিসেবে বিবেচনা করা অস্বাভাবিক হবে না!
স্বাভাবিক অস্বাভাবিকের ব্যাপারটা অনেকটা এমন…
গার্মেন্টসে আগুন লাগিয় শত মানুষ নিহত হওয়ায় আমরা মালিকের দোষ বিবেচনা করি। ক্যাপাটিলিস্ট সোসাইটি হলে এটা হয়ত হত না। ব্যাপারটা স্বাভাবিক লাগত।
আমি ইন্জিনিয়ার মানুষ!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



