সম্প্রতি ঘুরে এলাম টোকিও শহর। টোকিওর অদূরে কামাকুরা শহরের ছবি। এই জায়গাটা জাপানের পুরাতন রাজধানী ছিল। চারিপাশে পাহাড় আর একপাশে সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। সত্যি নয়নাভিরাম। বিশালাকার বৌদ্ধ মূর্তি, আর বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য বিখ্যাত।
হাচিমঙ্গু স্রাইনের (বৌদ্ধ মন্দির) সামনে তোলা ছবি। কামাকুরার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্রাইন। এটা সামুরাই জেনেরেলের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। কামাকুরা শহরের ভিতরে অনেকটা পথ যেতে হয় এই স্রাইনে যাওয়ার জন্য। যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটি লাল টরি গেট অতিক্রম করতে হয়। মূল স্রাইনে যাওয়ার আগে দুটি সুন্দর পুকুর রয়েছে।
হাসেদেরা টেম্পলের সামনে তোলা ছবি। এই টেম্পলটি কাঠের পাহাড়ের ঢালে নির্মিত। এখানে ঢোকার মুখে একটি সুন্দর বাগান এবং পুকুর রয়েছে।
কামাকুরার বিশাল বুদ্ধ মূর্তি হল ব্রোঞ্জের তৈরি গৌতম বুদ্ধের প্রতিকৃতি। প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার এই মূর্তিটি রয়েছে কটকুইন মন্দিরের পাদদেশে। এটি ১২৫২ সালে মন্দিরের ভিতর তৈরি হলেও মন্দিরের দালানটি টাইফুন আর সামুদ্রিক জলচ্ছাসে ধ্বংস হয়ে যায়। তাই এটি এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
কামাকুরা সৈকতের ছবি। সমুদ্র উপকুলের প্রায় ১ কিঃমি জুড়ে এই সৈকত। জুলাই থেকে আগস্ট এই সময়টা এখানে ঘুরে বেড়ানো, সাঁতার কাটা, সারফিং করার জন্য উপযুক্ত সময় ধরা হয়ে থাকে।
কাও্য়াগুচি লেকের সামনে তোলা কয়েকটি ছবি যেখান থেকে জাপানের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট ফুজি বেশ পরিষ্কার বোঝা যায়। এই জায়গাটি টোকিও শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে। বাসে অথবা ট্রেনে করে যাওয়া যায়। তবে বাসে যাওয়াটা সুবিধাজনক। বাসে প্রায় ৪ ঘণ্টা লেগে যায় পৌঁছাতে। সকাল সকাল এখানে চলে যেতে হবে। কারণ এখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকে সবসময় আর সন্ধ্যার পর কিছুই বোঝা যাবে না। ট্রেনে করে গেলে আপনাকে গতাম্বা ষ্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে বাসে করে কাও্য়াগুচি লেকে যেতে পারবেন।
টোকিও আর্ট মিউজিয়ামে আমার ক্যামেরায় তোলা কয়েকটি ছবি। এটি টোকিওর রুপঙ্গি নামক এলাকায় অবস্থিত। ট্রেনে করে যেতে পারবেন অথবা ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া করেও যাওয়া যায়।
টোকিও সেন্ট্রাল ষ্টেশন এবং জাপানের গর্ব দ্রুত গতির শিনকান্সেন বা বুলেট ট্রেন।
টোকিও শহর অবসারভেশন ডেস্ক থেকে তোলা রাতের টোকিও শহর।
সূর্যাস্তের ঠিক পূর্বে ক্যামেরা বন্দী টোকিও শহর।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১