![]()
-“দৃশ্য ১১ কাট ১৪ টেক ৪৩” বলেই ক্লাপারম্যান ক্লাপারবোর্ডের ক্লাপ স্টিক ঠাশ করে বন্ধ করতেই পরিচালক বলে উঠলেন, অ্যাকশন। একটু পড়েই আবার বললেন, কাট, কাট, কাট।
তারপর খেঁকিয়ে উঠে অভিনেতাকে বললেন, হচ্ছে না। হচ্ছে না। ডকুমেন্টরি তৈরির শেষে এসেও তোমার মাঝে অভিনয় ঠিকভাবে আসছে না। যাদের মত অভিনয় করছ তারা একটা বিলুপ্ত প্রজাতি, ওরা কেউ নেই যে তাদের তোমার সামনে এনে দেখাবো তারা কিভাবে চলাফেরা করতো,খেত। এটা ডকুমেন্টরি, চলচ্চিত্র না। এখানে অভিনয়, অভিনয়ের মতো করলে চলবে না। বুঝেছ।
অভিনেতা কি বুঝল কে জানে, তবে মৃদুভাবে মাথা নাড়িয়ে পরিচালককে বোঝাল যে, সে বুঝেছে।
দিনভর শুটিং এর পর পরিচালক সবাইকে বললেন, যাক, সময়মতই শেষ হল। সবাইকে ধন্যবাদ অংশগ্রহণের জন্য।
তারপর কয়েক মাস পর যখন পরিচালক ডকুমেন্টরিটি সেন্সর বোর্ডে ইমেইল করে পাঠাবেন তখন ফোল্ডারটা নামকরণ করলেন ডকুমেন্টরির নামে,“HUMAN: THE LOST SPECIES”
ইমেইল করে পরিচালক তার ক্লান্ত ধাতব দেহটাকে আস্তে করে চেয়ারে হেলান দিলেন। মনে মনে বললেন, কপোট্রনিক মস্তিষ্কটার এখন একটু বিশ্রাম প্রয়োজন।
(শেষ)
পড়তে পারেন রহস্য থ্রিলার বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীঃ সংক্রমণ
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




