![]()
রিকশায় কোথাও যাচ্ছিলাম । কোন এক মোড়ে এক মেয়ে রিকশা থামিয়ে অনেকটা জোর করে অবাক করে বেজোড় আমাকে জোড় করে দিল। আমি প্রশ্ন করার আগেই সেই মেয়ে আদেশ করে বসলো, চেপে বসেন।
আমি তার দিকে চেপে বসতেই সেই মেয়ে বিস্ময় মিশ্রিত হুংকার দিয়ে বলল, আমার দিকে চেপে বসতে বলেছি নাকি!
আমি সুবোধ বালকের মতো চেপে না বসে সরে বসলাম। মেয়েটি এবার রিকশাওয়ালাকে রেশমী কোমল কন্ঠে বলল, ভাইয়া একটু জোরে চালান। পরীক্ষা আছে।
রিকশাওয়ালা একটা শাহরুখ খান মার্কা হাসি দিয়ে প্যাডেল মারা শুরু করলো আর আমি বুঝতে পারলাম একটু আগের শম্মুক গতির রিকশা, রকেট গতিতে ছুটছে। পিছনে হুডের মাঝ দিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম কোন গোপন ইঞ্জিন আছে কিনা।
মেয়েটি আমাকে কনুই দিয়ে একটা গুতোঁ দিয়ে বলল, পিছনে কি দেখেন?
আমি বোকার মতো মুখ করে বললাম, চেইন দেখি।
মেয়েটি অগ্নিশর্মা হয়ে বলল, দেখে তো ভালোই মনে করেছিলাম। এখন দেখি বজ্জাতের হাড্ডি।
আমি বুঝতে পারছি না চেইনের সাথে ইজ্জতের কি সম্পর্ক! তাই প্রশ্ন করলাম, মানে?
-মেয়েদের পিঠে চেইন দেখে বেড়াস। আবার বলিস "মানে "?
-আরে জ্বালা! আমি রিকশার চেইন দেখছিলাম।
-ওহ! Sorry, ভাইয়া। আসলে হয়েছে কি আজ পরীক্ষা তো রিকশা পাচ্ছিলাম না। হাতে সময় কম তাই আপনার রিকশায় উঠে পড়েছি।
আমি ভাব দেখিয়ে বললাম, It's ok.
তারপর হঠাৎই সে রিকশা থামিয়ে নেমে পড়লো। হাতে বোধহয় সময় আসলেই কম ছিল, ধন্যবাদ জানাতেও পিছন ফিরলো না। হঠাৎ মনে হলো, এই যাহ, নাম্বার তো দূরের বিষয় নামটাও জানা হয়নি। কোথায় পড়ে তাও না।
সেই ঘটনার অনেক দিন পেড়িয়েছে। আমি এখনো সেই পথেই রিকশায় যাই, একপাশে চেপে বসে। কোন এক কারণে ...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




