somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক উপন্যাস - অচেনা কেউ - পর্ব ১

১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-ভদ্রতা শেখানো হয়নি তোমাকে ?
-অবশ্যই শেখানো হয়েছে । কিন্তু সেটা ব্যবহার করতে ইচ্ছা করে না ।
-কি ? মুখে মুখে তর্ক করছ আবার বদমায়েশ ছোকরা । আমার ভাতিজা পুলিশে চাকরি করে । বেশি তেড়িবেড়ি করলে জেলের ভাত খাওয়াব ।
-পুলিশে কি ? হাবিলদার ?
-কি বললি তুই ? দাঁড়া তোকে আমি.....

হাতে থাকা মোবাইলটাতে কি একটা নাম্বার ডায়াল করা শুরু করলেন তিনি । হয়ত তার সেই ভাতিজাকে কল দিচ্ছেন । আজকেই হয়ত জেলের ভাত খাওয়া হয়ে যাবে আমার । আমিও প্রস্তুত । সব রকমের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার ।।

-আম্মু বাদ দাও । চলে আসো...

এতক্ষণ পর সে কথা বলল । সে, যাকে ভালো করে দেখবো বলে তার মায়ের সাথে এত পেঁচাল করতেছি । যার জন্য জেলের ভাত খাওয়ার অফার পর্যন্ত পেয়ে গেছি ।।
বিশাল বড় গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে আমাকে আর তার মাকে দেখছিল । কালো সূর্যচশমার জন্য চোখদুটো দেখা যাচ্ছে না । চেহারায় বিরক্তির ভাব স্পষ্ট । হয়ত আমার এমন ব্যবহারে বিরক্ত, নয়ত আমার মত একটা ফালতু ছেলের সাথে তার মায়ের শুধু শুধু তর্কে ।।

-বাদ দেব মানে ? দেখছিস না এই ছোকরা কত বড় বেয়াদব ? একটা ঠিকানা জানতে চাইলাম । মুখের উপর বলে দিল নিজে যেন খুঁজে নিই...
-থাক ওই ছেলে । এদের সাথে কথা বলাটাও ভুল । ঠিকমত কথাও বলতে পারে না । চলে আস তুমি ।
-নাহ আজকে এই ছেলেকে ভদ্রতা শিখিয়ে ছাড়ব আমি । তোর হিরু ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারটা দে তো । আমার মনে পড়ছে না...
-বললাম তো বাদ দাও । খামাখা ভাইয়াকে এসবের মধ্যে জড়ানোর দরকার নেই ।
-তোরে দিতে বলছি দে...

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মা-মেয়ের কথা শুনছিলাম । তারা এখন হিরু ভাইয়ের নাম্বার নিয়ে ব্যস্ত । বুঝতে পারতেছি তাদের কাজ শেষ হতে বেশ টাইম লাগবে ।

-আমি কি এক কাপ চা খেয়ে আসতে পারি ? হিরু ভাই আসলে জানাবেন ।

মা-মেয়ের কথা থেমে গেল । মা রক্তচক্ষু করে বললেন

-ফাইজলামি করছ বেয়াদব ?
-না আন্টি কি বলছেন ? আমি ফাইজলামি করব কেন ? আপনাকে যথেষ্ট সম্মান করি আমি । আফটার অল আপনি আমার মায়ের মত । আমার মায়ের কয়েকটা বোন আছে আপনার বয়সী । জানেন আমার মায়ের একটা বিশেষ গুণ আছে । যে কাউকে চোখের পলকে ভাই বোন বানিয়ে ফেলতে পারে । আপনাকেও পারবে । দেখা করবেন আমার মায়ের সাথে ?
-কোন ইচ্ছা নাই । আর তুই জানিস তুই বেশি কথা বলিস ?
-নাহ । জানতাম না তো । আচ্ছা হিরু ভাই দেখতে কেমন ?
-কেন ?

তার চোখে মুখে সন্দেহ । আমার এই কথা জিজ্ঞেসের কারণ খুঁজতেছেন মনে মনে । হঠাত এইরকম প্রশ্ন তিনি আশা করেন নাই ।

-এটা দেখার জন্য যে উনি আসলেই দেখতে হিরোর মত কিনা ।

আন্টি হয়ত আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না । আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এক পা সামনে বাড়লেন তিনি । তাকে দেখে মনে হচ্ছে এখনি এসে শার্টের কলার চেপে ধরবেন ।
এমন সময় মেয়েটা নামল গাড়ি থেকে । বেশ লম্বা । মনে মনে তুলনা করলাম আমার সাথে । নাহ আমার চেয়ে লম্বা না । বাঁচলাম, লম্বা হলে লজ্জা পেতাম ।
মেয়েটা আমার বয়সীই হবে । বেশ রূপবতী । পোশাক যেটা পড়ে আছে, সেটার নাম জানিনা । মেয়েদের এইসব ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুবই কম । আমার তুলনায় আমার বন্ধুদেরকে পিএইচডি ডিগ্রীধারী মনে হয় ।
মেয়েটা প্রায় দৌড়ে এসে তার মাকে জড়িয়ে ধরে আটকাল । একপ্রকার টেনে গাড়িতে নিয়ে বসাল ।
আন্টি বেশ জোরাজুরি করছেন । এত সহজে আমাকে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নন তিনি ।।
মাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজে ঢুকতে যাচ্ছিল মেয়েটা, এমন সময় ডাকলাম আমি ।

-একটু শুনবেন ?
-না, শুনব না ।

মেয়েটা আমার উপর বেশ বিরক্ত । আমার কথা শোনার জন্য দাঁড়াবে, এটা আশা করাটা বোকামি ।

-আচ্ছা তুমি করেই বলি । তুমি অনেক সুন্দর ।

মেয়েটা থমকে গেল । অবাক হয়েছে বোঝা যাচ্ছে । খুশিও হয়েছে । কিন্তু সেটা প্রকাশ না করার অনেক চেষ্টা করছে । বিরক্ত ভাবটাকে মুখোশ হিসেবে ব্যবহার করছে ।
কিছু একটা বলতে গিয়েও বলল না মেয়েটা । গাড়িতে মায়ের পাশে উঠে বসল । তার মা তখনও আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন ।
গাড়ি স্টার্ট হল । চলে যাচ্ছে ওটা । আমি হাসলাম মনে মনে । যাক, সময়টা ভালোই কাটল ।।


কয়টা বাজে দেখা দরকার । হাতে ঘড়ি নেই । একটা ছিল, এখন নাই ।
একটা দোকানে বেশ ভিড় দেখা যাচ্ছে । অনেক জোরেসোরে বেচাকেনা চলছে । সেলসম্যানগুলোর দম ফেলার সুযোগ নাই । তারা অনেকটা হম্বিতম্বি ভাব নিয়ে কাজ করছেন । যতটা ব্যস্ত নন, তার চেয়েও বেশি ব্যস্ততা দেখাচ্ছেন ।
আমি এগিয়ে গেলাম । উদ্দেশ্য সময় জানতে চাওয়া । আশেপাশে দোকান আছে অনেক । দোকানে ঘড়িও আছে । কিন্তু আমার কাউকে অনেক বিরক্তি দিতে ভালো লাগে ।।
বেশ ধাক্কাধাক্কি করে একজন সেলসম্যানের সামনে পৌঁছলাম । আমাকে দেখে তিনি হাতে প্যাকেট নিয়ে প্রস্তুত হয়ে গেলেন কি লাগবে দেওয়ার জন্য । কিন্তু তাকে একসাথে হতাশ আর চরম বিরক্ত করলাম আমি ।

-আপনাদের দোকানে ঘড়িটা কোনদিকে ?

প্রশ্নটা করে আমি এমনভাবে তাকিয়ে থাকলাম যেন এইসময় এইভাবে এটা জিজ্ঞেস করা খুব স্বাভাবিক । যে কেউই জিজ্ঞেস করে ।
দুয়েক সেকেন্ড পর ঘড়িটা চোখে পড়েছে এমন ভাব করে বললাম

-ও আচ্ছা ওইতো । হুম । ৩টা ১৫ । ধন্যবাদ...

আমার পিছনে যারা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাদের মধ্যে দুয়েকজন আংকেলের দিকে চোখ পড়ল আমার । তাদের চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে তারা আমার এইরকম কাজে মোটেই সন্তুষ্ট নন ।
আবার ধাক্কাধাক্কি করে বের হলাম । এবার হাসপাতালের দিকে রওনা দেয়া দরকার । সময় হয়েছে । সাড়ে ৩টায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ।।
পনের মিনিটে পৌঁছতে পারব । কাছেই । হাঁটা শুরু করলাম । পা দুটো টেনে টেনে হাঁটছি । বেশ শব্দ হচ্ছে । ভালো লাগছে । ইচ্ছা করে হাঁটছি । এইভাবে যদি এখন জামিল স্যারের সামনে হাঁটতাম , তাহলে এক থাপ্পড়ে গালে তিন আঙ্গুলের ছাপ বসিয়ে দিতেন । স্যারের থাপ্পড়ে সবসময় তিন আঙ্গুলের ছাপ বসত । বেশিও না, কমও না । আগে এইভাবে পা টেনে হাঁটার কারণে স্যারের অনেক থাপ্পড় খেয়েছি । স্যার কিন্তু অতটা রাগী না । আবার তেমন কমও না ।
স্যার আমাকে পছন্দ করতেন খুব । পড়ালেখায় যে ভালো ছিলাম তা না । তারপরও জানি না কেন, অন্যান্য ছেলেদের চাইতে আমাকেই বেশি পছন্দ করতেন । ওই স্কুলে তাঁর একটা ভাতিজা পড়ত । এমনকি ভাতিজার চেয়েও আমার বেশি খেয়াল রাখতেন । স্যার যেমন শাসন করতেন, তেমনি আদরও করতেন ।
অনেকদিন হল স্যারকে দেখেছি । জানিনা স্যার এখন কোথায় আছেন । এস.এস.সি. র পর আর কখনো স্কুলে যাইনি । একটা দিনের জন্যও না, একটা ঘন্টার জন্যও না ।।
সবসময়ের মত একদিন আমাকে এইভাবে পা টেনে হাঁটার জন্য থাপ্পড় দিয়েছিলেন জামিল স্যার । ব্যাপারটা আমার কাছে সাধারণ ছিল । সবসময়ই তো হয় । তাই তেমন চিন্তা হয়নি এটা নিয়ে । কিন্তু আমি সত্যিই প্রচন্ড অবাক হয়েছিলাম যখন স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে কেঁদে দিয়েছিলেন । আমি আজও ভুলতে পারি নাই সেটা । কখনো পারবোও না ।।

হাসপাতাল এসে গেছে । গেটেই দেখা হল লোকটার সাথে । আমার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন । বয়স তেমন বেশি না । এখনো পড়াশোনা করেন হয়তো ।

-ভাই আমি তো চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম আপনি আসবেন কিনা সেটা নিয়ে ।
-এত চিন্তার কি আছে ? আমি তো ঠিক টাইমেই আসছি ।
-আধা ঘন্টা লেট হল না ?
-আপনি তো সাড়ে ৩টায় আসতে বলছিলেন ।
-সাড়ে.... ও হ্যাঁ ভাই সরি । তাড়তাড়ি চলেন । আসলে বাবার জন্য টেনশনে অন্য সব কিছু গুলিয়ে ফেলতেছি । কিছু মনে করিয়েন না ।
-আরে না । আমি বুঝতে পারছি । চলুন তাড়াতাড়ি ।

সরাসরি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে ঢুকলাম । একজন নার্স এগিয়ে এল । লোকটাকে বললাম

-আপনি আপনার বাবার কাছে গিয়ে বসুন । এখানে আপনার থাকার দরকার নেই । রক্ত দেয়া শেষ হলে আসতে পারেন চাইলে । না আসলেও সমস্যা নেই ।

লোকটা চলে গেল । নার্স ব্লাড স্যাম্পল নিল টেস্ট করার জন্য যে ম্যাচ করে কিনা । একটু অপেক্ষা করতে বলল । আমি বসে আছি ব্লাড ব্যাংকের এক কোণায় একটা চেয়ারে ।।
যেই নার্সটা সবসময় আমার রক্ত নিত, আজকে সেটাকে দেখতে পাচ্ছি না । আমাকে খুব ভালো করে চেনে নার্সটা । হেসে কথা বলে সবসময় আমার সাথে । আজকে কোথায় গেল কে জানে ।।

-আসুন । ম্যাচ করেছে ।

গিয়ে শুয়ে পড়লাম । রক্ত দেয়া আমার জন্য তেমন কোনো ব্যাপার না এখন । আগেও কয়েকবার দিয়েছি ।
হাতে সুঁচ । সেখান থেকে নল বেয়ে রক্ত জমা হচ্ছে ব্যাগে । রক্তের ব্যাগটা হাতের অবস্থান থেকে নিচে রাখা হয়েছে । মাঝে মাঝে ব্যাগে রক্ত নাড়াচাড়া করা হচ্ছে । যাতে রক্ত জমাট না বাঁধে ।।

রক্ত নেওয়া শেষ হওয়ার পর উঠে বসলাম । মাথাটা একটু একটু ঘুরাচ্ছে । বেশি না । নার্সটা একটা সেভেন আপ এর বোতল এনে দিল । সবসময়ই দেওয়া হয় । শরীর থেকে ফ্লুয়িড যাওয়ার কারণে এটা খেতে হয় । ভালোর জন্য ।।
যার বাবার জন্য রক্ত দিলাম, সে লোকটা এল একটু পর ।

-আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
-ভাইয়া আমি আপনার অনেক ছোট । আমাকে তুমি করে বলেন । চাইলে তুই করেও বলতে পারেন ।
-আচ্ছা তুমি করেই বলি ।
-আচ্ছা । আপনি চিন্তা করিয়েন না । আপনার বাবা সুস্থ হয়ে যাবেন ।
-তোমাকে আবারও ধন্যবাদ ভাই ।
-ব্যাপার না ।
-তুমি কি আগেও রক্ত দিয়েছো ?
-জ্বী ভাইয়া । ৩/৪ বার দিয়েছি ।
-বয়স কত তোমার ?
-সতের । আঠার হতে আর চার মাস বাকি ।
-তুমি এই বয়সেই এভাবে রক্ত দিচ্ছ ? তোমাকে তো মহত্ বলতে হয় ।
-এভাবে মহত্ শব্দটাকে অপমানিত করবেন না ভাইয়া । আমি মোটেই মহত্ নই । আমি অনেক স্বার্থপর । রক্ত দিয়ে আমি নিজের রক্ত শুদ্ধ করি । তার উপর আবার এরকম সেভেন আপও খাওয়া যায় ফ্রি তে । আমি পুরোটাই আমার স্বার্থ দেখি ।
-বুঝেছি ।

মুচকি হাসল লোকটা । মানুষটাকে হাসলে খুব সুন্দর দেখায় । গালে টোল পড়ে ।

-আমার মনে হয় কি জানো ? তুমি অন্য সবার মত না ।
-হয়ত...
-বাবা তোমার সাথে দেখা করতে চান ।
-আজকে না ভাইয়া । অন্য কোনদিন এসে দেখে যাব ।

আমি উঠে দাঁড়ালাম । হঠাত্ মাথাটা একটু ঘুরে উঠল । উনি ধরতে চাইলেন । বাধা দিলাম ।

-না পারব আমি । ঠিক হয়ে যাবে । আসি ভাইয়া । ভালো থাকবেন ।

আস্তে আস্তে হাঁটছি । দরজা পার হয়ে যখন চলে আসছি, তখন ডাক দিলেন তিনি ।

-আচ্ছা তোমার নাম কি ?

আমি দাঁড়ালাম । ফিরে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করলাম ।

-রোদ ।।

(চলবে)

[অনেকে বলতে পারেন এইটা হিমুর মত । স্বাভাবিক । আমি লিখছিই হিমু টাইপের । আমার ইচ্ছা ওরকম লেখার । তাই...]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×