somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক উপন্যাস - অচেনা কেউ - পর্ব ২

১৩ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব ১

চারতলা বিল্ডিংটার সামনে দাঁড়িয়ে আছি এখন । এটাই আমার ঠিকানা । এই বিল্ডিঙেই থাকি আমি । ছয় মাস হল ছাদের কোণে থাকা একটা রুম ভাড়া নিয়েছি । এভাবে থাকার অনেক ইচ্ছা ছিল । সবসময় কল্পনা করতাম এভাবে থাকব । পুরা একা । কারো কথা শুনতে হবে না । যখন যা ইচ্ছা তাই করব । রাত বিরেতে বাইরে বের হব । শাসন করার মত কেউ থাকবে না । নিজেকে রাজা রাজা মনে হবে ।
তবে এখনও রাত বিরেতে বের হতে প্রবলেম হয় । কারণ এই বিল্ডিঙে রাত বারটা বাজার সাথে সাথে মূল গেট বন্ধ করে দেয় । চোর ডাকাতকে বেশ ভয় পান আংকেল । আংকেল মানে বাড়িওয়ালা । তিনি সারাদিন পাঞ্জাবী পড়ে থাকেন । নিচে কি পায়জামা পড়বেন নাকি লুঙ্গি পড়বেন নাকি কিছুই পড়বেন না, তা নিয়ে অতটা চিন্তিত হন না । নিচে যাই পড়েন না কেন, পাঞ্জাবী তাকে পড়তেই হবে । অতিমাত্রায় পাঞ্জাবী ভক্ত । রং বেরঙের পাঞ্জাবী পড়েন তিনি । সত্যি কথা বলতে তাকে পাঞ্জাবী পড়লে মোটেই সুন্দর দেখায় না । একটা অদ্ভুত বিশ্রী প্রাণীর মত দেখায় । কোন প্রাণী জানি না । এমন প্রাণী পৃথিবীতে আছে কিনা তাও জানি না । থাকতেও পারে । পৃথিবীতে তো পশুপাখির অভাব নাই । কয়টাকেই বা চিনি আমি ।
আংকেল আবার পান জিনিসটা একদমই দেখতে পারেন না । পানের সাথে সাথে যে পান খায় তাকেও পছন্দ করেন না । তাই তার বাসায় পান খাওয়া নিষেধ । একেবারে খুন টাইপের অপরাধ । যার কারণে আন্টি চাইলেও পান খেতে পারেন না । কিন্তু তাই বলে তো পান খাওয়া ছেড়ে দেয়া যায় না । বিয়ের আগে থেকে পান খেয়ে আসছেন তিনি । এখন তো স্বামীর জন্য খেতে পারেন না । তাই প্রায় সময় তাদের ছোট ছেলেটাকে দিয়ে সামনের টং দোকান থেকে পান কিনে এনে খান । তাও ঘরে না । বিল্ডিঙের নিচে গেটের ভিতরে একটা ছোট খালি জায়গা আছে । ওই জায়গায় দাঁড়ালে বিল্ডিং থেকে কেউ দেখতে পায় না । সেখানে দাঁড়িয়ে খেয়ে তারপর ঘরে যান । ব্যাপারটা এমন যে মায়ের হাতে ধরা পড়ার ভয়ে ছেলে বাইরে থেকে সিগারেট খেয়ে বাসায় যায় । ঘরের ভিতর খায় না ।।

অনেক কষ্ট হয়েছে আসতে । একে তো মাথাটা হালকা ঘুরছে । তার উপর পুরো পথটা হেঁটে আসতে হয়েছে । পকেটে একটা টাকাও নেই । হেঁটে আসার সময় বাম পায়ের স্যান্ডেলটা ছিঁড়ে গেছে । ওটা নিয়ে হাঁটতে আরেক কষ্ট । কষ্ট হলেও ওগুলো পায়ে দিয়েই এসেছি । আমার খালি পায়ে হাঁটতে ভালো লাগে না । আমি তো হিমু না । আমি রোদ । নামটা রোদ হওয়ার কারণেই হয়ত রোদ জিনিসটা তেমন গায়ে লাগে না আমার । রোদটাকে নিজের মনে হয় । আসলে নিজের করে নিয়েছি ওটাকে ।।

সিঁড়ি দিয়ে উঠা শুরু করলাম । বাড়িওয়ালা আংকেলরা থাকেন দুই তলায় । প্রায় প্রতিদিনই সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় আংকেলের সাথে আমার দেখা হয় । আমি দুই তলায় উঠলেই তিনি দরজা খুলেন । ব্যাপারটা একেবারে নিয়মিত ঘটে । ওনার সাথে দেখা হয়নি এমন কোন দিন আছে কিনা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না । আমার মনে হয় তিনি আমার জন্য দরজার পাশে ওঁত পেতে থাকেন, কখন আমি আসব আর তখন তিনি দরজা খুলবেন । কিন্তু তিনি এমন করবেন কেন ? আমার সাথে দেখা না হলে কিইবা হবে ? তবে কখনো নামার সময় দেখা হয় না । শুধু উঠার সময় হয় । আজকেও এর ব্যতিক্রম হল না ।
আমি দুই তলায় উঠার সাথে সাথেই তিনি দরজা খুলে তাকালেন আমার দিকে । একটা লাল রঙের পাঞ্জাবী আর লুঙ্গি তার পরনে । পাঞ্জাবীর বুকে আর হাতে হালকা কারুকাজ আছে । পাঞ্জাবীটা সুন্দর হত, যদি তিনি না পড়তেন ।
আমি একটা হাসি দিলাম ওনার দিকে তাকিয়ে । উনি হাসলেন না । উনার হাসিটা সুন্দর । এমনিতে উনাকে যত খারাপই দেখাক না কেন, হাসলে মুখটা সুন্দর লাগে । তবে শর্ত আছে । মুখ থেকে নিচের দিকে তাকানো যাবে না ।

-আস্লামুআলাইকুম আংকেল ।
-ওটা আস্লামুআলাইকুম না , আসসালামুআলাইকুম ।
-জ্বী আংকেল ।
-শুদ্ধ করে বল আবার ।
-আসসালামুআলাইকুম আংকেল ।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম ।
-ভালো আছেন আংকেল ?
-বারবার আংকেল আংকেল করবে না ।
-জ্বী আংকেল ।

আর কিছু বললেন না আংকেল । আমার মুখের দিকে আরেকবার তাকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলেন ।
এটাও সবসময় করেন । যেভাবে হঠাত্ করে দরজা খোলেন, সেভাবেই বন্ধ করে দেন ।।

আমি সিঁড়ি দিয়ে আবার উঠা শুরু করলাম । সিঁড়ির ধাপগুলো বেশ উঁচু উঁচু । একসাথে দুই ধাপ পার হওয়াটা মোটামুটি সহজ । কিন্তু এর চেয়ে বেশি মোটেই সম্ভব না । আমার অত তাড়া নাই । আস্তে আস্তে একটা একটা ধাপ পার হচ্ছি ।।
চারতলা পর্যন্ত উঠে থামলাম । এই বিল্ডিঙের প্রতি তলায় দুইটা করে বাসা । একটা সিঁড়ির ডানে, আরেকটা বামে । মনে মনে ডানপাশের বাসাটাকে এক ধরলাম । তারপর বামপাশেরটাকে দুই । আবার ডানেরটা তিন, বামেরটা চার । এভাবে তের পর্যন্ত গুণলাম । তের সংখ্যাটা আমার অনেক পছন্দের । যদিও এই তের কে আনলাকি বলা হয় । কিন্তু তের আমার জন্য লাকি ।।
বাম পাশের বাসাটার কলিং বেল দিতে গিয়েও দিলাম না । দরজায় টোকা দিলাম ।
গণনায় ডানপাশেরটা হয়েছিল তের নাম্বার । সে হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী ডানের বাসায টোকা দেওয়ার কথা । কিন্তু আমি সবসময় উল্টোটা সিলেক্ট করি । মানে যেটা টসে জিতবে না, সেটাই বিজয়ী ধরি ।
দরজা খুলছে না কেউ । আবার টোকা দিলাম । দাঁড়িয়েই আছি । কেউ দরজা খুলছে না । এবার ধাক্কা দিলাম । একটু জোরেই দিলাম । তারপরও কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় যখন আবার ধাক্কাতে যাব, তখনই ভিতর থেকে আওয়াজ এল

-আসছি

আমি একটু পিছে সরে এলাম । ভিতরে হাঁটাচলার শব্দ পাচ্ছি । আসছি বলার পরও অপেক্ষা করতে হচ্ছে কিছুক্ষণ । কেউ একজন দরজার ওপাশে এসে দাঁড়াল । ছায়া দেখা যাচ্ছে । বুঝতে পারলাম, দরজার ফাঁকে চোখ রেখে দেখা হচ্ছে আমাকে । তারও একটু পর দরজা খোলার শব্দ হল । শেষ পর্যন্ত দরজা খোলা হল ।
মধ্যবয়স্কা একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন এক হাতে দরজা ধরে । ওনাকে একটু চিন্তিত দেখাচ্ছে । হালকা ভয়ও পাচ্ছেন মনে হয় ।

-আন্টি বাসায় তো কেউ নেই তাই না ?

আন্টি কারেন্টের শক খেলেন মনে হল । বাসায় যে কেউ নেই এইটা আমি জানব তিনি ভাবেননি । আমি জানতামও না । আন্দাজে ঢিল মেরেছিলাম । আন্টিকে দেখে মনে হচ্ছে লেগে গেছে জায়গামতই ।
তার চেয়ারায় ভয়ের ছাপটা আরো স্পষ্ট হল । তিনি আমার দিকে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে আছেন । যে কোন সময় দরজা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তিনি । সিঁড়ির দিকেও একবার তাকালেন আর কেউ আছে কিনা দেখার জন্য । এভাবেই তো ডাকাতি করা হয় । আমাকে তেমনি একটা প্ল্যানের অংশ মনে করছেন হয়ত তিনি ।

-তোমার জানার কি দরকার ?

তার কথার জবাব দিলাম না । যার কারণে ওনার সন্দেহ আরো বাড়ল ।

-আন্টি এক গ্লাস পানি খাওয়াবেন ? পুরো পথটা রোদের মধ্যে দিয়ে হেঁটে এসেছি ।

আন্টি সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কি করবেন ? আমি মুখে একটা একটা সরল হাসি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি । হঠাত্ একবার সিঁড়ির দিকে তাকালাম । সাথে সাথে আন্টিও তাকালেন । কিছুই নেই । আমি হাসিমুখে দাঁড়িয়েই থাকলাম । শুনতে আজব হলেও সত্যি যে আমাকে আন্টি কখনো আগে দেখেন নি । যদিও আমি এই বিল্ডিঙে ছয় মাস হল এসেছি ।

-এখানেই দাঁড়াও । আনছি...

আন্টি দরজা বন্ধ করে গেলেন । একটু পর পানি নিয়ে এসে দরজা খুললেন । তবে এবারও দরজা খোলার আগে ফাঁক দিয়ে দেখে নিলেন । হয়ত দেখছিলেন আমি আমার দলবল নিয়ে এসেছি কিনা ।
পানি খেয়ে গ্লাসটা আবার ফিরিয়ে দিলাম । আন্টি সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছিলেন । আমি থামালাম

-আন্টি আমি উপরে থাকি ।
-উপরে মানে ? কোন উপরে ?
-মানে ছাদে একটা রুম আছে না । ওইটাতে..
-ও

আর কিছু বলার আগেই বন্ধ হয়ে গেল দরজা । আমি মনে মনে হাসলাম একটু । আন্টি ভয় পাচ্ছেন এখনো । আমিও চলে এলাম ছাদে । ছাদে উঠার সাথে সাথেই মনটা জুড়িয়ে গেল । অসাধারণ বাতাস হচ্ছে । এই ছাদে সবসময় বাতাস থাকে । প্রতিটা ঘন্টায়, প্রতিটা মিনিটে, প্রতিটা সেকেন্ডে । বৃষ্টি হোক বা প্রচন্ড রোদ, বাতাস থাকবেই । তাই আমিও প্রায় সময় ছাদে বসে থাকি, হাঁটি, গান গাই ।
কিন্তু এখন আমার কোনটাই করতে মন চাইতেছে না । ঘুম পাচ্ছে অনেক । ঘুমাতে হবে । গতকাল রাতেও ঘুমাইনি । ইচ্ছা করেই ঘুমাইনি । এখন আমি নিজের ইচ্ছায় রাত জাগি । রাত জাগতে ভালো লাগে । চিন্তাগুলো সব মাথায় ঘুরে । একটা একটা করে চিন্তাগুলো নিয়ে আবার চিন্তা করি, ভাবি । কিছু কিছু চিন্তার সমাধান পাই । বেশিরভাগই আগের মত রয়ে যায় ।।
রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলাম । বেশি কিছু নেই ছোট্ট রুমটাতে । একটা সিঙ্গেল বেড । একটা চেয়ার আর একটা টেবিল । রুমের আরেক কোণে একটা মাঝারী আকারের ট্রাংক আছে । এসব ছাড়া বলার মত আছে কয়েকটা কাপড় ঝোলানোর হুক । দেয়ালে আটকানো ওগুলো ।
কোনমতে দরজাটা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম । চোখ দুটো খুলে রাখতে একটুও ইচ্ছা করছে না । কয়েক মিনিটও লাগলো না আমার ঘুমিয়ে পড়তে ।।

(চলবে)
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×