খাবার-দাবার সবাই পছন্দ করে। এমনকি আপনার অফিসের সবচেয়ে অপছন্দের মানুষ বদমেজাজী বসটা পর্যন্ত খেতে পছন্দ করে। আর কোন ব্লগারের কী কী খাবার পছন্দ তা জানতেই আজকের এই পোস্ট। এতে করে আমরা সবাই লাভবান হবো দু্ইভাবে। এক. নিজের পছন্দগুলো শেয়ার করতে পারবো। দুই. নতুন খাবারের কথাও জানতে পারবো।
তাহলে শুরু করা যাক। আজ আমরা জানবো আপনার ও আমার প্রিয় ভর্তাগুলো।
আগেই বলে নিই খাবার-দাবারে আমার অভিজ্ঞতা কমই। খুব কম খাবারই খেয়েছি (বেশিরভাগ ঢাকার মানুষের তুলনায়)। তাই স্বল্প স্বাদ ভাণ্ডার থেকে এই তালিকা।
প্রথমেই আমার লিস্ট। বলা বাহুল্য, লিস্টটি সাজানো হয়েছে 'in no particular order'। অর্থাৎ, যখন যেটা মনে এসেছে তখন সেটা লিখে গেছি।
১. আলু ভর্তা
ভর্তার রাজা বলা যায় কি না জানি না। তবে আলু ভর্তা আমার পছন্দ। খুবই কমন এক প্রকার ভর্তা এই আলু ভর্তা। বানানোও সোজা। আমি বানালে পেট ভরার জন্য খেতে পারবেন আর আম্মু বানালে পেট ভরা থাকলেও খেতে চাইবেন এই যা পার্থক্য।
২. ছুড়ি শুটকি ভর্তা
শুটকি মাছ বরাবরই আমার নামের মতোই অপছন্দ। তবে এই বিশেষ প্রকারের শুটকি মাছের ঝুড়ি ঝুড়ি করে এক প্রকার ভর্তা তৈরি করা হয় কক্সবাজারের আসেপাশের হোটেলগুলোতে। খেলে মুখে লেগে থাকবে। আম্মুও কয়েক কেজি ছুড়ি শুটকি কিনে এনেছিল কক্সবাজার থেকে। কিন্তু আম্মুরটার চেয়ে হোটেলগুলোর ভর্তাটা বেশি মজা। (আম্মু আবার ছুইট কোনো নিক নিয়ে ব্লগে ঘুরছে না তো! )
৩. ডিমের ভর্তা
এটা আমার অনেক পছন্দের একটা ভর্তা। এতে প্রয়োজন হয় অনেক পেঁয়াজ। পেঁয়াজের সঙ্গে ডিম কড়াইয়ে ছেড়ে দিলে ডিম ভাজি হয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি হয়ে এক ধরণের ভাজি তৈরি হয় যেটাকে আম্মু ডিমের ভর্তা বলে। আমি অবশ্য একে ভাজির ক্যাটাগরিতেই ফেলবো।
৪. শিমের ভর্তা
শিম সিদ্ধ করে ছেঁচে ভর্তা করা হয়। আরও কী কী দেয়া হয় ঠিক জানি না, তবে শিমের ভর্তা আমার অনেক পছন্দের। শেষ শিমের ভর্তা খেয়েছি মহাখালীতে। চরম একটা ভর্তা ছিল। এখনো মুখে স্বাদ লেগে আছে।
৫. টমোটো ভর্তা
অনেকেই হয়তো খেয়েছেন বা দেখেছেন। টমেটোর ভর্তাও আমার পছন্দ। তবে এটা সারা বছর পাওয়া যায় না।
৬. বেগুন ভর্তা
অনেক পছন্দ না, তবে খাই। খাই বলে লিস্টেও জায়গা দিলাম।
৭. চিংড়ি মাছের ভর্তা
একটু নিচে পড়ে গেছে। তবে চিংড়ি মাছের ভর্তাও আমার পছন্দ। স্বাদটা দারুণ। খেয়েছেন আশা করি?
আরো অনেক ভর্তার নাম মনে আসছে। তবে সেগুলো প্রিয় না বলে নাম দিলাম না। তবে দু'টো ভর্তা আছে আম্মু মাঝে মাঝে বানায় যেগুলো আমার চরম অপ্রিয়। থানকুনি পাতার ভর্তা আর কালিজিরার ভর্তা। অসহ্য লাগে এই গুলো।
আর হ্যাঁ, ভর্তা যেটাই হোক, আমি ঝাল কম খাই। :-&
এবার বলুন আপনাদের কার কোনটা পছন্দ।
আপুদের জন্য বিশেষ ঘোষণা
যেসব আপুরা এই পোস্ট পড়বেন তাদের পছন্দের ভর্তার সঙ্গে সঙ্গে এও জানাতে হবে তারা কোন কোন ভর্তা বানাতে পারদর্শী। আমরা ব্লগারগণ সেই অনুপাতে তেল-টেল মারবো।
দ্রষ্টব্যঃ সিদ্দীকা কবীর আন্টি এই পোস্টের জন্য স্পন্সর করেন নাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬