মধ্যযাম থেকে কয়েকছত্র
১২:০০
রাত বারোটায় ঘড়ির কাটাগুলো স্তিমিত হয়ে আসে।
সঙ্গমের চেয়ে বারান্দায় দাঁড়াবার ইচ্ছেরা তীব্র হয়।
১২:৪২
আমার কেবলি মনে পড়ে একশৃঙ্গী হরিণের কথা।
বিরহী বনাঞ্চল, দূতাবাসের রাস্তা... যেখানে এসে আর
পথ খুঁজে পায় না বোকা পর্যটক। হায় মৃগনাভী!
কস্তুরীঘ্রাণে থৈ থৈ উপচে ওঠে রাত থেকে রাতের শহর।
০১:৩৫
ঘুড়িশিকারে গেলো যারা তাদের কোন উচ্চতাভীতি নেই।
দূরবর্তী শহরের খাঁজে তারা গচ্ছিত রেখে আসে বায়ুপ্রবাহ,
সূর্যাস্তের স্মৃতি....এইসব মনে আসে সন্তর্পনে,
এই আঁধারবেলায়, রাত দেড়টায়।
০২:০৮
মধ্যযাম! তোমাকে লক্ষ্য করে শহরের অনিদ্রারোগীরা সব
ঘড়ি থেকে খুলে নিয়েছেন ঘুমের কাটা। বুকপকেটের খাঁজে
রেখে দিয়েছেন সেবনপ্রতীক্ষ ঘুমের-বড়ি। অফুরান টক্সিক-মদ
রেখেছেন তারা রাতের গহিনে, ম্রিয়মান কিছু জোনাকির সহায়তায়।
০২: ১৫
এপর্যায়ে ফশ্ করে এককাঠি সিগারেট ধরানো যায়; সহজেই,
নিথর আমার ঘুমের বারান্দায়।
০২:৩৭
অসফল সঙ্গমের শোক বুকে চেপে ঘুমিয়ে পড়েছে যারা
অনিদ্রারোগীর আকুলতা এর চেয়ে তো বেশী কিছু আর নয়!
ফ্রিজিয়াম! ওহ ফ্রিজিয়াম!
মরফিয়াসের চোখের গভীরে দেখি নিস্তরঙ্গ আমার শহরখানি ডুবে যায়!