somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছন্দহীনের আত্মকথন

২০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখালেখির হাতেখড়ি আমার অনেক
ছোটবেলায়। মনের খেয়ালে লিখতাম,
মনের খেয়ালে চলতাম।
একটি ছড়া লিখলে বিশ্বজয়ের
আনন্দে ফেটে পড়তাম। ওটাই ছিল
ছোটবেলার কবিতা। নজরুলের
লেখা বেশি পড়তাম বলে আমার
লেখনীতে তাঁর প্রভাব ছিল ব্যাপক।
অনেক চেষ্টা করেও সেই
ভাবটা কাটাতে পারিনি। একবার
ভেবেছিলাম হাল
ছেড়ে দিয়ে সাঁতরে পাড়ে চলে যাব
কিন্তু সেটা যে সম্ভব নয়
তা বুঝতে পেরেছিলাম ঠিকই কারণ
নেশাটা ততদিনে আমাকে পেয়ে বসেছে।

অনেক চেষ্টা করেও যখন একটা প্রেমের
কবিতা লিখতে পারছিলাম না ঠিক
তখনই একটা শীতল স্পর্শ আমাকে শিহরিত
করতে লাগলো বারবার। আমার হাতের
ওপর হাত রেখে আমায়
শেখালো কীভাবে কল্পলোকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজে পেতে হয়,
কীভাবে স্বপ্নের পিঠে সওয়ার
হতে হয়। দখিনের একটু একটু
করে গায়ে লাগছিল।
স্বপ্নগুলো মাকড়সার মতো জাল
বুনে চারদিক
থেকে আমাকে ঘিরে রাখত সবসময়।
সব ছাড়ার পরিকল্পনা লাটে উঠল। তখন
কেবল স্বপ্নের পেছনে ছোটা।
তবে বাস্তবের চোখ
রাঙানিকে অবজ্ঞা করতে পারিনি কিছুতেই।
একদিন পরপর কিংবা প্রতিদিনের
কাঙ্খিত একঘন্টা আর
আস্তে আস্তে গড়ে ওঠা বন্ধন, সবার
চোখ এড়িয়ে কোমল হাতের স্পর্শ,
মায়াবী চাহনি আর হাসিটা আমায়
ঘিরে থাকত সকাল থেকে সন্ধ্যা;
দেখতাম রাতে চোখ মুদলেও।
কলেজগেট, ব্যস্ত সড়ক কিংবা দূর্গন্ধময়
কাঁচাবাজারের মাঝ
দিয়ে হাঁটা কোনটাই বিরক্ত
লাগতোনা প্রখর
রোদে মাটিতে জড়িয়ে থাকা মায়াবী মানবীর
শীতল ছায়াটির দিকে তাকালে, যার
পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে কেবল
স্নিগ্ধতা।

প্রদীপের নিচটা আঁধারে ঢাকা।
তাকে আলোকিত
করতে না পারলে পুরো ঘরে একটুখানি আঁধার
রয়েই যায়। প্রদীপের আয়ু ফুরাবার
সাথে সাথে আঁধারও বেড়ে যায়।
শেষ বিকেলের আলোয় মুখটা জ্বলজ্বল
করছিলো ওর। এ হয়তো আমার চাহনির
দোষও হতে পারে। সূর্যের শেষ আলোটুকু
ঠিকরে পড়ছিল ওর গালে। গাল
বেয়ে শরীরে নামছিলো আলোর শেষ
কণাটুকু। আমি কেবল
চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম
শেষক্ষণটি অবোধের মতো। সেই
চেনা হাসিমুখটা আর একবার
দেখতে চেয়েছিলাম জীবনে।

তারপর অনেকগুলো বিকেল কেটেছে,
অনেকগুলো দিন কেটেছে,
পূর্ণিমা কেটেছে, অনেকগুলো মুখ
দেখেছি, হাসিকান্নার
সাক্ষী হয়েছি। কিন্তু সেই
হাসিটা আজও
গেঁথে আছে সোনালী স্মৃতিতে,
মনের গহীনে।

অনিক মাহফুজ।
১৪/১২/১৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×