পোষ্টের সাথে তারা কমেন্টে যা লিখেছে
↓
* Cangma Chakma নামে তাদের একজন লিখেছে, “মাটি থেকে উৎক্ষেপন করা যায় রাশিয়ান RMI40 রকেট লানচার নাম শুনেছেন যেটা মাটি থেকে ৫৫ কিলোমিটারে আঘাত হানতে সক্ষম। এরকম রকেট আমাদের কাছে ১৫০ থেকে ১৬০টা নিশ্চিত আছে। আর চায়নার কথা না হয় বদ দিলাম।
*
আবার Mui Adibasi Jumma নামে তাদের আরো একজন লিখেছে- “১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে টাকা-পয়সা পেয়েছে যুদ্ধ করার জন্য, এখন আমরাও সেরুপ সাহায্য পাচ্ছি”।
*
“জোয়াংফা বুড়া” নামে তাদের আরো একজন লিখছে- “আমরা কি আর বার্মিজ সেটলার রোহিঙ্গা বাঙ্গালী নাকি ভাই? আগের দিন আর নাই। আগে আমরা যুদ্ধ করেছি ৩০৩ জন VZ, G3, Mark-4, দিয়ে আর কিছু ছিল আপনাদের আর্মিদের মেরে পাওয়া Ak-47। এখন যুগ পাল্টাছে। এখন আমরা যা ব্যবহার করতেছে তা আপনাদের আর্মিরাও ধরতে পারবে না।
↓
এরুপ অনেকে কমেন্টের মধ্যে শুধু গুটিকয়েক তুলে ধরলাম।
> তাহলে ভাবুনতো এরা বলছে- আমরা বাংলাদেশ ভাঙ্গতে সাহায্য পাচ্ছি.... কে দিচ্ছে সাহায্য.? এখনো কি আমরা সজাগ হবো না..?
> এদের কাছে এমন সব অস্ত্র আছে যেটা রাশিয়া, চায়না থেকে সাহায্য আসছে, এখন তারা তা প্রকাশ্যে স্বীকারো করছে,, এখনো কি আমরা সজাগ হব না..?
> তারা আমাদের দেশে বসেই আমাদের হুমকী দিয়ে দাবী করছে আমরা এখন যা ব্যবহার করছি তা তোমাদের সেনাবাহিনেও ধরতে পারবে না....কিন্তু কারা এসব দিচ্ছে..? আমরা কি এখনো সজাগ হব না..?
↓
একটু আগে তাদের ফ্যান পেজে দেওয়া স্ট্যাটাস দেখলাম। দেখেই মাথাটা কেমন গরম হয় আছে লিংকটা হচ্ছে Click This Link
*
এখন হুবহু তাদের স্টাটাসটা তুলে ধরলাম---- সেই সাথে সোনার বাংলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এটা গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
----------------------------------------
আমরা জুম্ম সেনারা সংখ্যায় কম হতে পারি, তবে শক্তিতে বাংলার সরকার পালিত সামরিক বাহিনী কতৃক কোন অংশে কম নই । যার প্রমান ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তির আগে মাত্র ২৫০০ গেরিলা শান্তি বাহিনী কতৃক ২২ বছর পর্যন্ত সরকার পালিত লক্ষ লক্ষ সেনাবাহিনীকে নাকানি চুবানি খাওয়ানো এবং শতাধিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করা । এক নজরে দেখে নিন গেরিলা শান্তি বাহিনী কতৃক সরকার পালিত সেনাবাহিনীকে হত্যার ঘটনাক্রম ।
ঘটনাক্রম ( ১৯৭৭- ) ঃ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা হত্যা
৬ মে ১৯৭৭ : সাঙ্গু নদীতে কর্তব্যরত অবস্থায় আবদুল কাদিরসহ পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।
২৫ অক্টোবর ১৯৭৭ : বান্দরবানে নিহত হন নায়েক আবদুল গণি মিয়া, নায়েক আবদুস সাত্তার, নায়েক আরিফ, সিপাহী লুৎফর রহমান, সিপাহী আলী হোসেন এবং সিপাহী আবদুল খালেক মুন্সি।
২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ : সাঙ্গু নদীতে অ্যামবুশ, এক সেনাসদস্যকে হত্যা ।
৫ জুলাই ১৯৭৯ : কাপ্তাই নতুন বাজারে ২ জন আনসার সদস্যকে হত্যা।
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৯ : দীঘিনালায় নায়েক এসএম রুহুল আমিনকে হত্যা।
১৪ অক্টোবর ১৯৭৯ : খাগড়াছড়িতে পাঁচ সেনাসদস্যকে হত্যা।
২৩ জানুয়ারি ১৯৮০ : খাগড়াছড়িতে তিন সেনাসদস্য খুন, আহত ৫।
২১ এপ্রিল ১৯৮০ : ফালাউংপাড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে ১১ রাইফেল ব্যাটালিয়নের ২০ জন জওয়ানকে হত্যা।
১ মার্চ ১৯৮০ : ঘন্টিছড়া নামের একটি স্থানে অ্যামবুশ করে হত্যা করা হয় মেজর মহসিন আলমসহ ২২ জন সেনাসদস্যকে।
১৯ জুলাই ১৯৮৬ : খাগড়াছড়িতে এক সেনাসদস্য নিহত, আহত ৭।
৭ আগস্ট ১৯৮৬ : ২ জন আনসার সদস্যকে হত্যা।
২১ জুন ১৯৮৭ : নাড়াইছড়ির অদূরে অ্যামবুশ, সেনাসদস্য আবদুর রাজ্জাক, ইসমাঈল হোসেন ও মোহনলালকে হত্যা।
২৪ নভেম্বর ১৯৮৭ : শিলছড়িতে দুই সেনাসদস্যকে গুলি করে হত্যা।
১৬ এপ্রিল ১৯৯০, নাইক্ষ্যংছড়ি ও বলিপাড়া : থানচিতে ১১ জন সেনা জওয়ানকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
২৯ জুন ১৯৯২ : মহালছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়কে পাহারা চৌকির ওপর হামলা, দুজন সেনা সদস্য নিহত।
হে বাংলার সেনাবাহিনী ও সেটেলার বাঙ্গালগন এইবার ভেবে দেখুন চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন নাকি কুকুরের মত গুলি খেয়ে রাস্তায় পঁচে মরবেন ?
↓
দেখলেন তারা কিভাবে বুক উচু করে আমাদের সেনাবাহিনীর কুতসা রটাচ্ছে..?
আসুন দেশপ্রেমিক সকল দেশবাসী সকল দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আসুন একটু হলেও সজাগ হয় এখনি, নইলে দেরি হয়ে গেলে সত্যি আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না যে।
↓
ফেইসবুকে আমি আছি- http://www.facebook.com/nawshad.ansari1
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




