প্রিয় লিটন নন্দী ভাই, কিছু মনে করবেন না, টিএসসির ঘটনা নিয়ে আপনার দেওয়া বিবৃতি কেন জানি আজ আংশিক সত্য হলেও বেশিভাগ তা আজ মিথ্যা প্রমানিত হতে যাচ্ছ। কেন জানি মনে হচ্ছে আপনি এখানে নিজেকে হিরো বানানোর চেষ্টা লিপ্ত আছেন।
ইতি মধ্যে ধরা পড়েছে ফটোশপে এডিট করে জাবি’র ছাত্র নাজমুলকে যখন নারী উত্যক্ত করার অপরাধে সাধারন শিক্ষার্থীরা বিবস্ত্র করে গণধলায় দিচ্ছে সেই ছবিকে এডিট করে সুকৌশলে তার মাথায় মেয়ে লোকের চুল স্থাপন করে বিডিনিউজ সহ হলুদ মিডিয়া প্রচার করলো নারীকে বিবস্ত্র করা হয়েছে।(১নং ছবি দেখুন)
*
আচ্ছা লিটন নন্দী ভাই আপনার ভাষ্য মতে সেদিন কয়েকজন নারীকে পুরোপুরি বিবস্ত্র করা হয়েছে, বিবস্ত্র নারীকে আপনি সাদা কাপড় দিয়ে অনত্রেও সরিয়ে নিলেন এবং আপনি তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা আপনার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে।
পাঠক এখন লক্ষ করুন-
একজন মানুষ(নন্দী)যদি একজনকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে সেখানে তার নামও জানতে চাইবে, আপনার নাম কি.? কোথায় থাকেন? কোথায় লেখাপড়া করেন? ইত্যাদি ইত্যাদি
কিন্তু লিটন নন্দী কি এখন পর্যন্ত কি কোন মিডিয়ায় বলতে পেরেছে..যে অমুক মেয়েকে বিবস্ত্র করা হয়েছে, তার নাম হচ্ছে অমুক……না এরুপ সে বলতে পারিনি।
শুধু বলা হচ্ছে কয়েকটা মেয়েকে বিবস্ত্র করা হয়েছে…..কিন্তু নন্দী সাহেব কোন মেয়েটা.??
*
যেদিন যে যায়গায় লক্ষ লক্ষ মানুষের জটলা থাকে সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে মেয়েদের বিবস্ত্র করা হচ্ছে কিন্তু কারো নজরে আসলো না, কেউ সাহয্যের জন্য এগিয়ে আসলো না, চোখে পড়লো শুধু নন্দী সাহেবের আর প্রতিবাদে তিনি নিজের হাতেরও ক্ষতি করে বসলেন—এটা কি বাংলা সিনেমা চলছে.?
*
এতক্ষন সামাজিক সাইটে অনেক অনেক ফটো প্রকাশ পেয়েছে যেখানে কিছু উত্যক্তকারী অবশ্যই দেখা যায়..কিন্তু দেশে এতগুলো ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া থাকার পরেও এতগুলো ছবির মধ্যে কি পাওয়া গেল যে এই মেয়েকে বিবস্ত্র করা হয়েছে,এটাই হচ্চে সেই পিকচার..?
না এরুপ ছবি আসিনি-
ইতিমধ্যে ঢাকা ডিএমপি থেকে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষন করে দাবী করা হয়েছে নারীকে যে বিবস্ত্র করা হয়েছে তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি….. হ্যা কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবকের বিকৃত আচরন দেখা গেছে।…….. কিন্তু নারীকে বিবস্ত্র করা’র মিথ্যা প্রচার….. নন্দী সাহেব এর উত্তর আশা করছি।
*
১নং ছবিটি লক্ষ করুন- মিডিয়া এবং প্রগতীবাদকরা যাকে বিবস্ত্র অবস্থায় নারীর ছবি বলে প্রচার করছে, প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ রইলো আপনাদের চোদ্দ গুষ্টিও তা প্রমান করতে পারবে না যে এটা একটি মেয়ের ছবি।
কারন যে ছবি তুলেছে তার পোষ্ট ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে, তার ভাষ্যমতে এটা জাবির ছাত্র নাজমুলের ছবি যাকে নারীকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদে সাধারন শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিচ্ছে বিবস্ত্র করে---কিন্তু আমাদের হলুদ মিডিয়া এবং নন্দীর মত প্রগতীবাদক মিথ্যুকরা সেই নাজমুলের মাথায় এডিট করে মেয়ে লোকের চুল বসিয়ে দিয়ে প্রচার করছে যে মেয়েদেরকে বিবস্ত্র করা হয়েছে
> পারলে সঠিক কোন ছবি দিয়ে প্রমান করুন যে এই সে মেয়ে যাকে বিবস্ত্র করা হয়েছ।
> সে মেয়ের নাম কি?
> কোথায় থাকে সে.?
> কোন ডিপার্টমেন্টে সে পড়ালেখা করে?
*
আসলে সেদিন কি ঘটেছিল
*****************
হাজার লক্ষ মানুষের ভিড়ে সেদিন কিছু দুর্বৃত্তরা নারীদের উত্যক্ত করেছে, তা পরিস্কার এবং একজন সুস্থবান ব্যক্তি এর বিচার না চেয়ে থাকতে পারে না। আমার মা-বোনকে উত্যক্ত করে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি হউক সেই নরপশুদের।
কিন্তু এই ঘটনাকে সাজিয়ে যে নারীদের উলঙ্গ বিবস্ত্র করা হয়েছে এরুপ মিথ্যা প্রচারনা কিসের সার্থে..?
নন্দী ভাই হিরো সাজার ইচ্ছা নাইতো আপনার.?
কারন এটি করলে একটি টোকশোতে যায়গা হয়তো হয়ে যাবে
মিডিয়া নুরানী চেহরা হয়তো আসবে আপনার,
এই ইচ্ছা কি ছিলো আপনার??
*
কেন এরুপ মিথ্যা প্রচারনা
***************
কেন এরুপ মিথ্যা প্রচারনা তা হয়তো এর উত্তর যারা নারীকে বিবস্ত্র করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন তারাই এর উত্তর ভাল দিতে পারবেন।
এখন দেখুন ২য় ছবিটি যেখানে নববর্ষের দিন যারা আমাদের মা-বোনদের উত্যক্ত করেছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে এইসব নরপশুদের কিন্তু
বাহ বাহরে আমাদের মহান মিডিয়া..এতদিন পর আমাদের দৈনিক প্রথম আলো ও ৭১টিভি আবিস্কার করলো যে এই ঘটনার সাথে এবং এর আশপাশে দাড়ীওয়ালা যুবকদের দেখা গেছে এবং এদের আচরন সন্ধেহ মনে হচ্ছে।
আমাদের দেশের এইসব বিকৃত এইডস রোগী প্রথম আলো ও ৭১ এর আবিস্কার এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এইসব ছবি দেখুনতো পাঠক- এইসব যুবকদের কার দাড়ী আছে..?
এই কাজ দাড়ীওয়ালা মৌলবাদীদের তার চেষ্টাযে আপনারা করতেছেন তাতো দেশবাসী জানে। কিন্তু ভাই মিথ্যাচারের একটি সীমা আছে।
কারন দাড়ীওয়ালা হলেই যে রাজাকার হয় এমন কথা নয়। কারন দাড়ী ইমরান এইচ সরকারেরও আছে, বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথেরও ছিল।
*
আসলে আমাদের মিডিয়া আজ কি চাই সেটা তাদের পরিস্কার করতে হবে। দেশের বেশিরভাগই বিশৃঙ্খলার জন্য আজ তাদের মিথ্যা প্রতিবেদনই দায়ী। বিচার যদি অপরাদের হয়ে থাকে তাহলে হলুদ মিডিয়ার নয় কেন..?

কেন বিডিনিউজ সহ অন্যান হলুদ মিডিয়া একটি ছেলের ছবিতে মেয়ে লোকের চুল বসিয়ে নারীর বিবস্ত্র হওয়ার মিথ্যা প্রচার চালালো..? এদেরকে কি আইনের আওতায় আনা যাবে না.? অঅহহহ আচ্ছা আমিতো ভুলে গেসিলাম যে এরা মুক্তচিন্তার মানুষ এদের বিচার যে করা যায় না। সরি সরি।
*
শেষ বক্তব্য
******
সেদিন কি সত্যি লক্ষ লক্ষ মানুসের সামনে কয়েকজন মেয়েকে বিবস্ত্র করা হয়েছিল নাকি উত্যক্ত করার সাথে একটি মালাই মেখে একটু বাড়িয়ে মিথ্যা প্রচারনা এটি.? কারন উত্যক্তকারী এবং ইভটিজিং প্রমান হয়েছে কিন্তু বিবস্ত্র যে করা হয়েছে তা এখনো প্রমান করা সম্ভব হয়নি মিডিয়ার এবং প্রগতীবাদকদের কাছ থেকে- ভবিষ্যতে যদি প্রমানিত হয় তাহলে আমিও সত্য স্বীকার করে নেওয়ার মানসিকতার রাখি।
*
আমার আজকের এই লেখায় শুধু নন্দীর কাছে প্রশ্ন আপনি মেয়েকে বিবস্ত্র করা হয়েছে বলে প্রচার করছেন তাহলে দোয়া করে কোন মেয়েকে করা হয়েছে, সে কোথায় থাকে সেটাউ প্রকাশ করুন, যাতে সেই মেয়ের কাছ থেকে পুরো ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অপরাধীদের শাস্তির আউতায় আনা যায়। এটাইতো আপনার আমার সবারী দাবী অপরাধীর শাস্তি।
আর যদি বিবস্ত্র হওয়ার ঘটনা প্রমান করতে না পারেন তাহলে হিরো হওয়ার যে বাসনা আপনার মনে জেগেছে, তা বাদ দিন প্লিজ- কারন ডিজিটাল যুগে মানুষকে বোকা যে ভাবে সে নিজেই একজন গাধা সেজে গেছে বহু আগে…..