
কুরবানী আসলে কিছু মুক্তমনাদের গায়ে মনে হয় আগুন লাগে। অযথা পশু জবাই, অন্যায়, অযৌক্তিক ইত্যাদি ইতর বিতর প্রলাপ যপন করে থাকেন তারা। এই তো মহাজ্ঞানপাপী আসিফ মহিউদ্দিন ও বিশ্ব বিখ্যাত নষ্টা তসলিমা নাসরিন একই সাথে তাদের ব্লগে, আইডিতে বমি করলেন এই বলে যে, এটা অন্যায়, পশুর উপর অত্যাচার, ইশ কেমন লাগে একটা পশুকে জবাই করতে, মুসলমানদের একটুই মায়া নেই ইত্যাদি ইত্যাদি এবং এমন আজাইরা যুক্তিতে বাহবাহ দিয়েছেন দেশের কিছু মঞ্চ কৃমিরা।আবার তাদের শুভাকাঙ্খি বিডিনিউজ ঠিক কুরবানীর সময় একটি প্রতিবেদন দিয়ে থাকে যে পশু জবাই এর মধ্যেই কিন্তু সৃষ্ঠার সন্তুষ্টি নয় আবার এদিকে ৭১ চ্যানেল তার টকশো নামক টকমারানীতে প্রশ্ন রেখেছে পশু জবাই এর বিপরীতে দান সদকা ইত্যাদি করা যায় কি না ইত্যাদি ইত্যাদি
*
আমি আগেই বলে আসছি এখনো বলছি এরা নাস্তিক না, এরা নাস্তিক হতেই পারে না এরা শুধুমাত্র ইসলাম বিদ্বেষী আর ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যেই আজ এরা পরদেশে বসে তিন বেলা আহারের যোগান দিচ্ছে তাতে আর সন্ধেহ নেই কারন নাস্তিক হলে শুধু কুরবানীকে নিয়ে বা কুরবানীর এলেই এমন পোষ্ট তাদের কেন?
কেন কুরবানীর বাইরে সারা বছরে কি পশু জবাই হচ্ছে না? কুরবানীর আগে কি মানুষ মাংস খাচ্ছে না? যখন এই মুক্তমনারা নিজের টেবিলে থাকা রোস্ট,মাংস লাঞ্চ,ডিনের এর ছবি পোষ্ট করে তখন কি এসব মাংস, রোস্ট কি বিনা জবাই করা পশুর থাকে? এতদিন মুত্রমনারা মাছ মাংস ভক্ষন করেছে কিন্তু তাহলে কি সেটা মরা পশুর মাংস ছিল? তখন বমি করতে দেখা যায় না কেন? আসলে এটা আপনাদের চক্রান্ত কুরবানীর প্রতি মানুষকে নিরুৎসাহিত করা তা এখন পরিস্কার। কারন যদি সত্যি পশু জবাই এর বিরুদ্ধে বলতে চান তাহলে সব মুত্রমনারা সহ নষ্টা তাসলিমা নাসরিন যেই ইন্ডিয়াতে এতদিন বসবাস করছেন সেই রেন্ডিয়ার পশু বলির মহোৎসব এর বিরুদ্ধে কি একবারো বলেছে? কই ছিল সেইদিন কুলাঙ্গার আসিফ?
*
আমরা যদি দেখি তাহলে যায় আমাদের পার্শ্ববর্তী নেপালে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পশু বলি উৎসব হয় বছরে একবার যেখানে দেবতাকে খুশি করার জন্য তারা সবাই একত্র হয়ে লক্ষাধিক পশুকে নিশৃংসভাবে বলি দিয়ে থাকে।
ভারতের দিকে যদি তাকায় তাহলে তারা নিজের দেবতাদের খুশি করার জন্য তারাও প্রতিদিন লক্ষাধিক পশুকে এমন নিষ্ঠুরভাবে বলি দেয় যে এক কোপে মাথা আলাদা করতে হবে নাহলে তাদের মহাভারত অসুধ হয়ে যাবে
পৃথিবীতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পশু জবাই হচ্ছে কিন্তু আপত্তি মুত্রমনাদের শুধু কুরবানী নিয়ে কারন একটা মুসলমানদের কুরবানীর প্রতি নিরুৎসাহিত করা কিন্তু এটা যে তাদের নিস্ফল প্রচেষ্টা তা প্রমানিত।
*
বিদেশীদের আদর আর তিন বেলা ভাতের জন্য তাসলিমা সহ সকল মুত্রমনা গংদের জানা দরকার যে শুধুমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধে লিখলেই মানবতাবাদী হওয়া যায় না।নিজেকে যদি বিন্দুমাত্র মানবতাবাদী মনে করে থাকলে পারলে হিন্দু খ্রিস্টানদের পশু বলির বিরুদ্ধে কলম ধরে দেখান।ধরেন কলম শুধু কুরবানীর মাসে নয় সারা বছর পশু জবাই এর বিরুদ্ধে কি ভয় লাগছে? ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে এই বলে?
*
তার আগে আরো আরো একটি কথা না বললেই নয়, পিছন থেকে একটা বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানী না দিয়ে যুক্তিতে মুক্তির পথ ধরেই আসুন প্রকাশ্যে বাহাসে।দেখি কার যক্তিতে কত দম।আর পিছন থেকে নিজের আইডিতে পোস্ট করা আর সেই পোস্টে আমাদের কমেন্টে বাধা এরুপ মানসিকতা সম্পন্ন মানুসকে পাগলা নইরে ছাগলা বলে। তাই বিন্দুমাত্র সাহস থাকলে বাহাসে আসুন সাদরে আমন্ত্রন রইলো।
*
গাত্রদাহ শুরু হলে বাজারে অনেক চুলকানীর ঔষুধ পাওয়া যায় নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। অবশ্যই চুলকানী বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই কারন সমস্যা যে আপনাদের শুদু শরীরে না দিল দেমাগ সর্বত্র সেই সাথে ভয় আছে ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়।তাই মানবতাবাদী নিজেদের প্রচারের চেয়ে প্রমান করা আপনাদের জরুরী।বিন্দুমাত্র সাহস দেখান আর কলম ধরে দেখান অন্যান্য ধর্মের পশু বলির উৎসবের বিরুদ্ধে আর যদি না করতে পারেন তাহলে সেই মানবতাকে বিজয়ী করার জন্য সব মুত্রমনাদের এই মুহুর্তে নিজের গলায় দড়ি দিয়ে প্রায়শ্চিত করুন…………
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




