somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভূমিকা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই গ্রন্থটি আমার আট থেকে আঠারো বছর বয়েস পর্যন্ত লেখা সকল কবিতার মাঝে নির্বাচিত কিছু কবিতার সংকলন। আমার ধারণা আমি যখন থেকে লিখতে শুরু করেছি তখন থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেছি। কৃতিত্বটি অনেকটাই আমার বাবার। যখন যেখানে যাওয়া হতো-আমার বাবা বলতেন সেটা নিয়ে দুই লাইন হলেও লিখে রাখতে। গদ্য দুই লাইনের চেয়ে কবিতার দুই লাইন ছোট ছিলো। তাই কবিতা লিখতাম। সেই বাধ্য হয়ে লেখা কবিতা একসময় আনন্দে লেখা কবিতা হতে লাগলো। অনুপমীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ বা আমার মা সেই কবিতাগুলো জড়ো করতে লাগলো। মা যদি তখন কবিতাগুলো একত্র না করতো-আমার কবিতা একত্র করার অভ্যাসই হতোনা। আমি দেয়ালের কোনায়, খাতার চিপায় অথবা লিপস্টিক দিয়ে আয়নার ওপর-যেখানেই কবিতা লিখতাম, মা জড়ো করে রাখতো।
কবিতা নিয়ে মায়ের এই অদ্ভুত ছোকছোকানির কারনে কিছুদিন পর থেকে আমার নিজেরই কবিতা গোছানো শুরু করা লাগলো। কারণ ততদিনে আমি বিদ্রোহ মার্কা আর রাজনীতি মার্কা কবিতা লেখা শুরু করেছি যেগুলো দেখে আমার মা ভয় পেতে পারে। কাজেই আমি আমার কবিতাগুলো ফেসবুকের একটা নিকট বন্ধুদের গ্রুপে পোস্ট করা শুরু করলাম। সেই গ্রুপের কবিতাগুলো খুব দ্রুতই বিপ্লবের কবিতা থেকে প্রেমের কবিতা হয়ে গেলো। কারণটা যে কি সেটা আমার নিকটবন্ধুরা জানে এবং নিকটবন্ধুরা মানে যে সেই কারণে আমার কবিতার আরও অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিলো। প্রেম আর বিপ্লব খুব কাছাকাছি জিনিস বলেই হয়তো আমি সেইসময়ে প্রেম নিয়ে বিপ্লব করা ধরণের কবিতা লেখা শুরু করলাম।
এখন আমার বয়েস আঠারো। প্রেম আর বিপ্লবের দেশ থেকে আমি এখন অনেক অনেক দূরে। হিসেব করে বলতে গেলে আট হাজার মেইল দূরে। এই বয়েসটাতে আমি একটা অদ্ভুত বিষন্নতায় ডুবে আছি। বুকের অনেক কাছে ধরে রাখা অনেক বিশ্বাস,অনেক হিসেব নিকেশ, ঠিকভুল উল্টেপাল্টে গেছে-যাচ্ছে। তাই আমার আট থেকে আঠারো হওয়া পর্যন্ত সময়টার কবিতাগুলো একসাথে করে রাখা খুব প্রয়োজনবোধ হচ্ছিলো। এই বইটাতে আমি আমার কৈশোর আর ইচড়ে পাকা তারুণ্যের আত্মা পূরে রাখলাম। যাতে এই পরবাসের বার্ধক্য পেরিয়ে দেশে ফিরে আবার সেই ইচড়ে পাকা তরুণটি হয়ে যেতে পারি।
আমার এই অপ্রাপ্তবয়েসে লেখা কবিতাগুলো সময় প্রকাশনের হাতে পড়েছে বলেই আমি জানতে পেরেছি যে আমার কবিতাগুলো আসলেই কবিতা ছিলো। ধ্রুব এষ আর ফরিদ আহমেদের মতোন মানুষদের হাত ধরে আমার কবিতাঙ্গনে প্রবেশ হচ্ছে-আমার মতন ভাগ্য কারই বা আছে। তাদের ধন্যবাদ আমার ইঁচড়ে পাকামিকে প্রশ্রয় দেবার জন্য।

আরো বেশি ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যাঁ,এই ইঁচড়েপাকা ছেলেটিকে প্রশ্রয় দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও-আপনি, যে এই বইটা খুলে ভূমিকাটি পড়ছেন।

কথ্য বাংলায় একবার একটা ছড়া লিখেছিলাম-

কথায় কথায় তোরা আমায় ইঁচড়ে পাকা কস তো
বুঝবিতো-বুঝবি না রে, ইঁচড়ে পাকার কষ্ট!

এই বইটি সেই ইঁচড়ে পাকা কষ্টের কবিতা।

অনুপম দেবাশীষ রায়,
বৃত্তবাড়ি,শুভ্রচিঠি
ভার্জিনিয়া,
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×