(ইহা একটি সংকলিত পোষ্ট...)
দৈনিক আমার দেশ “তৌফিক এলাহী ও জয়ের বিরুদ্ধে ৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ নেয়ার অভিযোগ” শিরোনামে ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। মার্কিন তেল কোম্পানি শেভরনকে বিনা টেন্ডারে ৩৭০ কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দিতে উেকাচ নেয়ার এ অভিযোগ গুরুতর। বাংলাদেশের টাকার হিসাবে ঘুষের পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। এ অভিযোগপত্রে আবু সিদ্দিকী পেট্রোবাংলার সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে সই করে পেট্রোবাংলার প্যাডে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরাসরি পেশ করেছেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় পেট্রোবাংলাকে অভিযোগটি তদন্ত করার নির্দেশ দিলেও তারা তদন্ত করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, এ ঘটনায় ‘উচ্চপর্যায়ের লোক জড়িত এবং স্পর্শকাতর বিষয়।’ দৈনিক আমার দেশ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের এই ‘অপারগতা’র ব্যাপার জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সচিব বরাবর লেখা চিঠিটিও ছাপিয়ে দিয়েছে। এলাহি কাণ্ড!!
উচ্চপর্যায়ের লোক কারা? ১. জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, ২. প্রতিমন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এনামুল হক, ৩. সচিব মোহাম্মদ মোহসিন এবং পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোক্তাদির আলী। এতদূর থাকলে এটি বড় কোনো খবর হতো না। অভিযোগপত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২ মিলিয়ন ডলার ১৪ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে টেক্সাসে স্বয়ং জ্বালানি উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে হস্তান্তর করার উল্লেখ রয়েছে। অতএব অভিযোগ খুবই গুরুতর। কিন্তু এটা একান্তই ‘অভিযোগ’। এ অভিযোগ দৈনিক আমার দেশ বা দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক করেননি, করেছেন পেট্রোবাংলারই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর ‘আমার দেশ’ পত্রিকার আরেকটি খবর রিতিমত আতঙ্কিত করার মত। ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক কর্তাব্যক্তি (যথা মতিয়া চৌধুরী, মাহবুব-উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক) দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে রীতিমত হুমকি দিয়েছেন। তারা মাহমুদুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেই বলেছেন, ‘একটি কাগজ বানিয়ে যাচ্ছেতাই লিখে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙবেন না। মানুষ প্রতিহত করলে আপনি রাস্তায় বেরুতে পারবেন না। আমরা আপনাকে চলতে দেব না। জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণ না হলে মাহমুদুর রহমানকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে’—ইত্যাদি। এ ধরনের হুমকি-ধমকি, হুশিয়ারি পড়ে, চোখ রাঙানি দেখে আমার তো ভিরমি খাওয়ার জোগাড়! সংবাদপত্রের স্বাধীনতা তো বটেই, চিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যে কোনো নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার বাকশালি আমলে কেড়ে নেয়ার মধ্য দিয়ে যে দাঁত, নখ ও সহিংস সুরত দেখে বাংলাদেশের জনগণ আওয়ামী লীগের প্রতি বিরূপ হয়েছিল, আওয়ামী লীগ নেতারা সে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন বলে মনে হয় না। ফ্যাসিজমের এই দৃশ্যমান রণমূর্তি বিপজ্জনক। শুধু মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে চিন্তা ন্য, মাহমুদুর রহমানের জীবন নিয়েও এখন ঘোরতর আশঙ্কা ।
দ্বিতীয়ত বাকশালেরই যেন মহরত অনুষ্ঠান হয়ে গেল গতকাল। আওয়ামী লীগের নেতারা অকস্মাত্ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন কেন? আমি তৌফিক এলাহী ও জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের খবরটি পড়ে এই ক্ষিপ্ত হওয়ার অর্থ বোঝার চেষ্টা করলাম। আমি নিশ্চিত হয়েছি দৈনিক আমার দেশ ‘যাচ্ছেতাই’ কিছু লেখেনি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর। এটি কারও মত, পর্যালোচনা বিশ্লেষণও নয়। একটি ‘অভিযোগ’ উঠেছে। গুরুতর অভিযোগ, অতএব তার তদন্ত হওয়া দরকার। ব্যস। এতটুকুই সেই ‘অভিযোগ’ সংক্রান্ত খবর। বেশি কিছু নয়। সংবাদপত্রের নীতিগত যে দিকগুলো মেনে চলা উচিত, সেখানে কোনো বিচ্যুতি ঘটল কিনা, সেটি বারবার পড়ে পরখ করে দেখলাম। কেউ যদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন, তাহলে সাংবাদিকতার নীতি থেকে দৈনিক আমার দেশ এক তিল পরিমাণ বিচ্যুতি ঘটিয়েছে প্রমাণ করা অসম্ভব। অথচ অন্যান্য দৈনিক হামেশাই সাংবাদিকতার নীতি ক্রমাগত লঙ্ঘন করছে। এমনকি দৈনিক আমার দেশ সাংবাদিকতার নীতি ঊর্ধ্বে রেখে পরিষ্কার জানিয়েছে, এ ব্যাপারে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদলিপি তারা গতকাল রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে পেয়েছেন। আগামীকাল ১৯ তারিখে প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য তারা ছাপবেন। বহু পাঠক সেটি পড়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে আমার মতো অপেক্ষা করবেন, সন্দেহ নেই।
এবং আজ প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য ছাপা হয়েছে……………………
নিচের লিংক টি পরুন এবং ভাবুন…
Click This Link
Click This Link
( আপনার মন্তব্য?? জি অবশ্যই বলবেন.................., তবে দয়া করে চিন্তা ভাবনা করে বল্বেন। পাঠা নানক, ভেরী মতিয়ার মত বলবেন না............।
আর ছাগুলীগের খাসি গুলার এই পোষ্টে আসার দরকার নাই ............কারন ওরা মন্তব্য না করে শুধু কিছু নিচু প্রানীর মত বিষ্ঠা ছরাবে.................................।)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





