somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র -একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত .....

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রামপাল নিয়া অনেক ফালাফালি করতেছেন/ পক্ষে-বিপক্ষে কথার তুবড়ি ছুটাইছেন ..তা দাদারা এইডার ভবিষ্যৎ কি ?? ক’জনাই বা জানেন এটার প্রকৃত তথ্যগুলো ? সরকার বলছে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে তাই কিছু মোসাহেব টাইপ লোকজন সরকারকে সত্য প্রমাণের জন্য আদাজল খেয়ে লেগেছেন । নেতারা নেশার ঘোরে উল্টাপাল্টা বলেন । তার সাথে সাথে নেতার মোসাহেবগণ নেতার গাঁজাখুরী গপ্প মানুষদের শোনান । X(

রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র লীগ সরকার করতেছে, আমরা বা বিরোধী জোট বাধা দিচ্ছি । যদি বিএনপি করত তবে লীগ বাঁধা দিত । যে কেউ করুক না কেন বিরোধীরা বাঁধা দেবে সেটা ভাল হোক আর মন্দ হোক ।

বাগেরহাটের রামপালে সুন্দরবন লাগোয়া ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত হতে যাচ্ছে এই কেন্দ্র। রামপালের এই কয়লাভিত্তিক এ কেন্দ্রটি খুলনা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার ও মংলা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এমনকি সুন্দরবন থেকেও মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
জ্বালানি সমস্যাই আমাদের প্রধান সমস্যা। সরকার জ্বালানির সংকট নিরসনে বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে। আগে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। বর্তমানে জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হলো। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে একটি প্রশ্নই বারবার উঠে আসছে, আর তা হলো- সুন্দরবনের এত কাছে কেন নির্মিত হবে এই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র? আর কি কি পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক পরিবেশ? সরকারি পরিবেশ সমীক্ষা (ইআইএ)অনুযায়ী, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সমুদ্র পথে আমদানি করতে হবে। আমাদানীকৃত কয়লা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে মংলা বন্দরে এনে তারপর সেখান থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

সরকারের পরিবেশ সমীক্ষাতেই স্বীকার করা হয়েছে, এভাবে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ চলাচল করার ফলে-
১) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙা /টুকরো কয়লা, তেল, ময়লা আবর্জনা, জাহাজের দূষিত পানি সহ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নি:সৃত হয়ে নদী-খাল-মাটি সহ গোটা সুন্দরবন দূষিত করে ফেলবে।
২) সুন্দরবনের ভেতরে আকরাম পয়েন্টে বড় জাহাজ থেকে ছোট জাহাজে কয়লা উঠানো নামানোর সময় কয়লার গুড়া, ভাঙা কয়লা পানিতে/মাটিতে পড়ে- বাতাসে মিশে মাটিতে মিশে ব্যাপক পানি-বায়ু দূষণ ঘটাবে।
৩) চলাচলকারী জাহাজের ঢেউয়ে দুইপাশের তীরের ভূমি ক্ষয় হবে।
৪) কয়লা পরিবহনকারী জাহাজ ও কয়লা লোড-আনলোড করার যন্ত্রপাতি থেকে দিনরাত ব্যাপক শব্দ দূষণ হবে।
৫) রাতে জাহাজ চলের সময় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণী সহ সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুন্দরবনের পশু-পাখির জীবনচক্রের উপর মারাত্বক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে ইত্যাদি।
:-B
সুন্দরবন পৃথিবীর একমাত্র দীর্ঘতম ম্যানগ্রোভ বন। যেখানে ২৪০০০ প্রজাতির প্রাণীকুলের বসবাস রয়েছে। পরিবেশ ও প্রতিবেশগত দিক থেকে সুন্দরবনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। সুন্দরবনের বাঁচা মরার উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ টি জেলার বাঁচা মরা। ইউনেস্কো ১৯৯৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জীববৈচিত্রের জন্য সুন্দরবনকে ‘ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট’ ঘোষণা করে। বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ৩০ আগস্ট ১৯৯৯ অপরিকল্পিত কার্যকলাপের কারণে সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে।

ভারত তো সুন্দরবনের ওদের অংশের বাঘ রক্ষায় "অমিতাভ বচ্চনদের" কাজে লাগাইছে, ট্যুরিজম দিয়া পয়সা কামাচ্ছে। ওরা তাই বাংলাদেশ অংশেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে চায় যাতে যা আছে এই সাইডে সব মরে বিলা হয়ে যায় এবং বাকিগুলা অইপার চইলা যায়।
আমাদের বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতে দাদাদের উপকারে মসগুল হইয়া আগামী ১০ বছর নাগাদ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেইকা যে লাভ দাদারা করবেন তার রাজস্ব মাফ করে দেয়ার প্রস্তাবনা চলছে !! বাহ বেশ তো!
ভালো তো, ভালো না ?? =p~

এইবার আসি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। যেসব Materials ব্যবহার হবে তার কার্যত পুরাটাই বা বড় অংশ দাদাদের দেশ থেকে নেয়া লাগবে বা কিনতে হবে মর্মে সরকার চুক্তি মাইনা নিছে। দাদাদের কাছ থেকে কোন কিছু আনতে গেলে এইভাবেই আনতে হয়। পদ্মা সেতু ইস্যুতে দাদারা আমাদের এইরকমই একটা প্রস্তাব দিছিল ভুইল্লা গেছেন সবাই! আর কয়লার দাম বাড়লে পার ইউনিট বিদ্যুতের দাম যে ১৫ টাকা পরবে তার কি হবে? ১৪/১৫ টাকা দিয়া দেশের কোন জনগণ পাছায় এসির বাতাস খাবে??

কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো !!
দেশে এতে কয়টা পোলার কর্মসংস্থান বা কয়জনের ব্যবসা হবে?? মাঝখানে আম এবং সালার সহিত দেশের টাকা ভারতের দাদাদের কাছে যাবে। উপকার শুধু বর্তমান লীগ সরকারের- পরবর্তীতে বিম্পি সরকারের, মানে সরকার যখন যাদের তখন তাদের! ভায়ারা সকল বুজলেন কিছু??
আমরা আমজনতা হাতে হারিকেন আর পাছায় বাঁশ নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়া গেছি ।

;) :-B !:#P =p~
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×