আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বলে আবারো দাবি করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তখন সাংবাদিকরা প্রাণভিক্ষার আবেদনের কাগজ দেখানোর কথা বললে তিনি বলেন, “এগুলো সিক্রেট জিনিস, এগুলো দেখানো যাবে না”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী তার বাবার জন্য সব জায়গায় গেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। এ থেকেই বোঝা যায়, তারা সাকা চৌধুরীর প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যুক্তি দেখে আমি পুরাই টাষ্কিত!!
আরে যেই ছেলে দেখতেছে তার চোখের সামনে তার নির্দোষ(তাদের মতে) পিতাকে ফাঁসির নামে হত্যা করা হচ্ছে। সেই ছেলে কি ঘরে বসে বসে আল্লাহ আল্লাহ করবে?? সে তো অবশ্যই তার বাবাকে এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচাতে তার সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করবে। এটার মানেই কি তার বাবা প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন বোঝায়??
আর প্রাণভিক্ষা চাওয়ার একমাত্র অধিকার তো আসামীর। তিনি প্রাণভিক্ষা চাইলে মেজিষ্ট্রেটদের মাধ্যমেই রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন পাঠাবেন। এর সাথে পরিবার ও সন্তানদের দৌড় ঝাঁপের কি সম্পর্ক??
প্রাণভিক্ষার ব্যপারটা কি এতই ধূম্রজাল ব্যাপার যে, এটা পাবলিককে বিশ্বাস করানোটা সরকারের কাছে অসম্ভব?? অথচ সিক্রেট ব্যপার বলে সেই প্রমানের কাজটাকে তার এড়িয়ে যেতে চায়!!!
এতেই তো স্পষ্ট যে, এখানে ঘাপলা আছে। তবে একসময় হয়তো নকল কাগজ একটা তৈরি করে সরকার প্রমান করেও ফেলবে।
কিন্তু পাবলিক এত বোকা নয়। তারা অলরেডি একশত ভাগ নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, দুজনের কেউই প্রাণভিক্ষা চাননি।
এদিকে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আবেদনে কি লেখা রয়েছে রাষ্ট্রপতির অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারব না। রাষ্ট্রপতির অনুমতি পেলে প্রকাশ করা যাবে।’
একজন বলছেন সিক্রেট, দেখানো যাবে না। আরেকজন বলছেন, রাষ্ট্রপতির অনুমতি লাগবে। মানে একসময় ঠিকই তৈরি করা কাগজ একটা মিডিয়ার সামনে চলে আসবে। আইনমন্ত্রী সেই আভাসই দিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৭