somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গভীর সংকটে দেশ॥ রাজনীতিবিদদের হাতে সমাধান নেই॥ জনগণকেই দেশরক্ষার দায়িত্ব তুলে নিতে হবে

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাজনৈতিক দলগুলোর একগুয়েমির কারণে চরম সংকটে পতিত হয়েছে দেশ। বিবদমান দুটি পক্ষই এখন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে। ক্ষমতা ধরে রাখা এবং ক্ষমতা দখলের অনড় অবস্থানে রয়েছে তারা। কেউ কাউকে সামান্যতম ছাড় দিতে রাজি নয়। বরং যে কোন উপায়ে তারা একে অপরকে নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর। দ্বন্দ্ব সৃষ্টি এবং সেই দ্বন্দ্বকে বাড়াতে বাড়াতে তারা এখণ এমন একটা অবস্থানে পৌঁছে গেছে তারা কেউ এখন অন্যকে ছাড় দেওয়ার অবস্থানে নেই। তাদের মনোভাব ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী’। বৈদেশিক শক্তিগুলোও অতীতে চেষ্টা করে বিফল হয়ে যাওয়ায় তারাও এদেশ নিয়ে আর ততটা আগ্রহ প্রকাশ করছেনা। তাছাড়া এটা এদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে তাদের হস্তক্ষেপের সুযোগও কম। তাই নিকট ভবিষ্যতে রাজনীতিকদের মধ্যে কোন ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনাও একেবারেই ক্ষীণ। তাদের একের প্রতি অন্যের অবিশ্বাস, সন্দেহ সৃষ্টি হয়ে গেছে। এই অবস্থায় দেশ যত দিন পার করবে ততই সংকটের মাত্রা বাড়তে থাকবে। চলমান অবস্থা এভাবে আর কিছু দিন চলতে দিলে তাদের মধ্যে যদি গৃহযুদ্ধও শুরু হয়ে যায় তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। এর জন্য মারাত্মক ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হবে এদেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকেই।

আর একবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে দেশ ধ্বংসের মুখে পতিত হবে।
এর মানে হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা লাভের যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নিরস্ত্র হাতে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাখে লাখে প্রাণ দিয়েছিল, জীবনের বাজি রেখে দীর্ঘ নয় মাস অসম লড়াই করে স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে এনেছিল তার পরাজয়। পরাজয় হবে অপার সম্ভাবনাময় সুজলা-সুফলা এই দেশটির। এমতাবস্থায় এদেশের সকল দেশপ্রেমী ও সাধারণ মানুষ, চিন্তাশীল ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ডাক্তার, আইনজীবীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষার আরেকটি বড় সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে এদেশকে নিরাপদ করে তোলা। আগেই বলা হয়েছে বর্তমান রাজনীতিবিদগণ আমাদেরকে একটি দ্বন্দ্ব-সংঘাতহীন শান্তিময় একটি দেশ উপহার দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরো বেশিদিন তাদের উপর ভরসা করলে আমাদের ধ্বংস অনিবার্য। তাই এখন দেশপ্রেমিক জনতাকে আর বসে থাকলে চলবে না।
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×