সাইন করা সার্টিফিকেট নিয়ে পেনসা ও তার বাবা রোওনা দিল সচিবালয়ের দিকে।
সচিবালয়ের ২নং গেট দিয়ে ঢুকে ১১নং বুথ এ application form জমা দিতে হবে।
তো পেনসা ও তার বাবা, বুথের সামনে যেয়ে দেখে বিশাল লাইন।
"এত Applicant এই Scholarship এর জন্য? তুই তো মনে হয় না চান্স পাবি পেনসু"
"চান্স কে পেতে চায়? আমি তো তোমাদের লাফা-লাফি বন্ধ করানোর জন্য Apply করেছি"- মনে মনে ভাবলো পেনসা।
যাই হোক বুথ এ যেয়ে application form জমা দেয়ার সময়, receptionist বললেন, " আপনাকে আপনার Application Form এবং প্রয়োজনীয় সব Documents খামে ভরে দিতে হবে....এই সারলোনা কাজ? অতি ভাবনার মহে পরে, পেনসা খাম আনার কথাই খেয়াল করেনি। বাধলোনা বিপদ? এখন এইখানে খাম পাবে কোথায়? ঐদিকে পেনসার বাবা, পেনসার নির্বুদ্ধতা দেখে রীতি ক্ষোভে পুড়ে যাও্য়ার মত অবস্থা। পেনসা ধরেই নিয়েছে যে তার বাবা এখন আর সহ্য করবেন না। এখন সে ই বাসায় ফেরোত যাবে। কিন্তু তা না করে, মেয়ে কে কিচ্ছুক্ষণ অটিস্টক বলে গালা-গালি করে, ইকবাল সাহেব বের হয়ে পরলেন খামের সন্ধানে।
এই এলাকায় খাম পাওয়া টা ছিলো যেনো আরো একটি Challenge। আসে- পাশে এক দুইটা চায়ের টং ছাড়া দূর-দূরান্ত পর্যন্ত আর কিছুই নজরে আসছিলোনা। এখন উপায়!!!!!???
এমন সময় পেনসার বাবা, পেনসা কে সচিবালয়ের গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকতে বলে, হাটা দিলেন খাম খুঁজে আনতে।
পেনসা এইখানে রীতি মত ভয়ে শেষ। "যদি বাবা কোথাও খাম না পায় তাহলে আমাকে পুরাই গুলি করে মেরে ফেলবে, মনে করে খাম না আনার অপরাধে"। কিন্তু পেনসার সৌভাগ্য বসত ইকবাল সাহেব কথা থেকে যেনো ২টা খাম জোগার করে আনলেন।
সমস্যা এখানেই শেষ হয়ে গেলে তো হতই (আমাকে আর কষ্ট করে টাইপ করতে হত না ) কিন্তু পেনসা যে তার ভাবনার ইতি এখানে টানলোনা, তাই আমিও ইতি টানতে পারছিনা।
খাম তো কিনে ফেললো, এখন প্রেরক- প্রাপক? প্রাপকের সম্পর্কে পেনসা কিছুই জানেনা। তাই বুথ এ যেয়ে receptionist কে জিগ্গেস করা হলো। তখন উনি একটি খাতা বের করে দেন যেখানে প্রাপকের নাম, ঠিকানা সবকিছু লিখা ছিলো। কিন্তু কথা হচ্ছে, আবেদন পত্রের নোটিস টি তে তো প্রাপকের ব্যাপারে কিছুই লিখা ছিলোনা,তো বাকিরা সবাই কীভাবে খামে প্রাপকের নাম, ঠিকানা লিখে আনলো যেখানে তা পেনসা খুজেই পেলোনা কেন?
খামে নাম ঠিকানা লিখতে যেয়েও ঝারি শুনলো বেচারি। " স্কুল- কলেজে কি কখনো চিঠি লেখায় নাই যে প্রেরক- প্রাপকের নাম ঠিকানা টাও লিখতে পারছোনা?" পেনসার বাবা সমানে চেচাছে আর পেনসা কে খামে লেখার জন্য Instructions দিয়েই যাচ্ছে।
অবশেষে পেনসা তার আবেদন পত্র টি জমা দিতে সক্ষম হলো, যদিও জানা ছিলো যে সে এই Scholarship টা পাবেনা। ( এবং আসলেই পায়নি)
বাসায় আসতেই মায়ের কাছে কিছু ঝারি খেলো, কারণ পেনসা কে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েই ইকবাল সাহেব পেনসার মা কে ফোন করে সব জানিয়ে দেয়, তাই পেনসা কে নতুন করে তার মা কে বাসায় যেয়ে কিছুই বলতে হয়নি।
সেইদিন বিকালেই পেনসা আবেদন পত্রের নোটিসের কাগজ টা আবার পড়লো। প্রাপকের ঠিকানা আসলেই দেয়া ছিলো কিনা দেখার জন্য।
পুরা নোটিস টা ঘেটে দেখে যে, নোটিসের শেষের পৃষ্ঠার আগের পৃষ্ঠায়, ঠিকই প্রাপকের নাম দেয়া ছিলো। সেটা দেখে পেনসা বললো, " ওওওওওও তো এইটা এইখানে লিখা ছিলো? আমি তো ভেবেছিলাম নোটিসটার এই পার্ট টুকু আমার পড়ার প্রয়োজন নেই, তাই তো এই অংশ টুকু আমি পড়ি এ নাই "
(পেনসার জীবনের এরপর খুব দ্রুত পরিবর্তন আসতে থাকে, তাই ভাবনা চিন্তা করার খুব একটা সুযোগ পায়নি। তাই বলে কি পেনসা থেমে যাবে?? মোটেও না। পেনসা আবারও ফিরে আসবে তার ভাবনার দ্বারা সৃষ্ট আরো কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে..... তাই পেনসার ঘটনা একটি বিরতির পর আবারও চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯