somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাবুক মেয়েটি-৫ (অবশেষে অবসান ঘোটলো)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইন করা সার্টিফিকেট নিয়ে পেনসা ও তার বাবা রোওনা দিল সচিবালয়ের দিকে।

সচিবালয়ের ২নং গেট দিয়ে ঢুকে ১১নং বুথ এ application form জমা দিতে হবে।

তো পেনসা ও তার বাবা, বুথের সামনে যেয়ে দেখে বিশাল লাইন।
"এত Applicant এই Scholarship এর জন্য? তুই তো মনে হয় না চান্স পাবি পেনসু"

"চান্স কে পেতে চায়? আমি তো তোমাদের লাফা-লাফি বন্ধ করানোর জন্য Apply করেছি"- মনে মনে ভাবলো পেনসা।
যাই হোক বুথ এ যেয়ে application form জমা দেয়ার সময়, receptionist বললেন, " আপনাকে আপনার Application Form এবং প্রয়োজনীয় সব Documents খামে ভরে দিতে হবে....এই সারলোনা কাজ? অতি ভাবনার মহে পরে, পেনসা খাম আনার কথাই খেয়াল করেনি। বাধলোনা বিপদ? এখন এইখানে খাম পাবে কোথায়? ঐদিকে পেনসার বাবা, পেনসার নির্বুদ্ধতা দেখে রীতি ক্ষোভে পুড়ে যাও্য়ার মত অবস্থা। পেনসা ধরেই নিয়েছে যে তার বাবা এখন আর সহ্য করবেন না। এখন সে ই বাসায় ফেরোত যাবে। কিন্তু তা না করে, মেয়ে কে কিচ্ছুক্ষণ অটিস্টক বলে গালা-গালি করে, ইকবাল সাহেব বের হয়ে পরলেন খামের সন্ধানে।

এই এলাকায় খাম পাওয়া টা ছিলো যেনো আরো একটি Challenge। আসে- পাশে এক দুইটা চায়ের টং ছাড়া দূর-দূরান্ত পর্যন্ত আর কিছুই নজরে আসছিলোনা। এখন উপায়!!!!!???

এমন সময় পেনসার বাবা, পেনসা কে সচিবালয়ের গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকতে বলে, হাটা দিলেন খাম খুঁজে আনতে।

পেনসা এইখানে রীতি মত ভয়ে শেষ। "যদি বাবা কোথাও খাম না পায় তাহলে আমাকে পুরাই গুলি করে মেরে ফেলবে, মনে করে খাম না আনার অপরাধে"। কিন্তু পেনসার সৌভাগ্য বসত ইকবাল সাহেব কথা থেকে যেনো ২টা খাম জোগার করে আনলেন।
সমস্যা এখানেই শেষ হয়ে গেলে তো হতই (আমাকে আর কষ্ট করে টাইপ করতে হত না ;) ) কিন্তু পেনসা যে তার ভাবনার ইতি এখানে টানলোনা, তাই আমিও ইতি টানতে পারছিনা।
খাম তো কিনে ফেললো, এখন প্রেরক- প্রাপক? প্রাপকের সম্পর্কে পেনসা কিছুই জানেনা। তাই বুথ এ যেয়ে receptionist কে জিগ্গেস করা হলো। তখন উনি একটি খাতা বের করে দেন যেখানে প্রাপকের নাম, ঠিকানা সবকিছু লিখা ছিলো। কিন্তু কথা হচ্ছে, আবেদন পত্রের নোটিস টি তে তো প্রাপকের ব্যাপারে কিছুই লিখা ছিলোনা,তো বাকিরা সবাই কীভাবে খামে প্রাপকের নাম, ঠিকানা লিখে আনলো যেখানে তা পেনসা খুজেই পেলোনা কেন?

খামে নাম ঠিকানা লিখতে যেয়েও ঝারি শুনলো বেচারি। " স্কুল- কলেজে কি কখনো চিঠি লেখায় নাই যে প্রেরক- প্রাপকের নাম ঠিকানা টাও লিখতে পারছোনা?" পেনসার বাবা সমানে চেচাছে আর পেনসা কে খামে লেখার জন্য Instructions দিয়েই যাচ্ছে।

অবশেষে পেনসা তার আবেদন পত্র টি জমা দিতে সক্ষম হলো, যদিও জানা ছিলো যে সে এই Scholarship টা পাবেনা। ( এবং আসলেই পায়নি)
বাসায় আসতেই মায়ের কাছে কিছু ঝারি খেলো, কারণ পেনসা কে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েই ইকবাল সাহেব পেনসার মা কে ফোন করে সব জানিয়ে দেয়, তাই পেনসা কে নতুন করে তার মা কে বাসায় যেয়ে কিছুই বলতে হয়নি।
সেইদিন বিকালেই পেনসা আবেদন পত্রের নোটিসের কাগজ টা আবার পড়লো। প্রাপকের ঠিকানা আসলেই দেয়া ছিলো কিনা দেখার জন্য।
পুরা নোটিস টা ঘেটে দেখে যে, নোটিসের শেষের পৃষ্ঠার আগের পৃষ্ঠায়, ঠিকই প্রাপকের নাম দেয়া ছিলো। সেটা দেখে পেনসা বললো, " ওওওওওও তো এইটা এইখানে লিখা ছিলো? আমি তো ভেবেছিলাম নোটিসটার এই পার্ট টুকু আমার পড়ার প্রয়োজন নেই, তাই তো এই অংশ টুকু আমি পড়ি এ নাই ;) ;) ;) "

(পেনসার জীবনের এরপর খুব দ্রুত পরিবর্তন আসতে থাকে, তাই ভাবনা চিন্তা করার খুব একটা সুযোগ পায়নি। তাই বলে কি পেনসা থেমে যাবে?? মোটেও না। পেনসা আবারও ফিরে আসবে তার ভাবনার দ্বারা সৃষ্ট আরো কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে..... তাই পেনসার ঘটনা একটি বিরতির পর আবারও চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×