somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসঙ্গঃ কান চুলকানি!

০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ১:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কান চুলকানো মানুষের একটি সহজাত প্রবৃত্তি। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যার কান চুলকানি হয় না। এই কানচুলকানির জন্য মানব সম্প্রদায় বেছে নেয় বিভিন্ন রকম দ্রব্য, যেমন: কটনবাড, গামছা, হাতের আঙ্গুল, দিয়াশলাইকাঠি, তুলা ইত্যাদি আরও অনেক কিছু। অনেকে আবার কান চুলকানিকে পেশা হিসেবে নেয়, অন্য মানুষের কান চুলকে দিয়ে অর্থ উপার্যন করে। যাদেরকে বিভিন্ন হাটবাজার, ফেরীঘাট, লঞ্চঘাট, বাসষ্ট্যান্ডে দেখায়। তবে যেসব প্রাণির মানুষের মত হাত বা আঙ্গুল নেই তারা কিভাবে কান চুলকায় তা আমার কাছে একটি অজানা রহস্য।

আমি যখন ক্লাস ফাইভ এর ছাত্র, তখন কটনবাড ছিল না, একদিন রাতে পড়ার টেবিলে বসে দিয়াশলাই এর কাঠিতে তুলা পেচিয়ে কান চুলকানোর সময় হঠাৎ তুলা কাঠি থেকে খুলে কানের মধ্যে রয়ে গেল। মহাবিপদ আমিতো ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দিলাম। বাসার সবাই জড়ো হল। একেকজনের একেক রকম বুদ্ধি। আব্বা সবাইকে থামিয়ে দিলেন। আমাকে বললেন চুপচাপ শুয়ে থাকতে, কানের মধ্যে আর অন্যকিছু দিয়ে তুলা বের করার চেষ্টা না করতে। পরেরদিন সকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে তুলা বের করে আনবেন। আমিতো ভয়ে অস্থির, আর ঘুম আসে না, কানের মধ্যে শো শো শব্দ, কখন ঘুমিয়ে পড়লাম টের পাইনি। পরদিন সকালে আমাকে নিয়ে আব্বা হাসপাতালে গেলেন। হাসপাতালের এক পরিচিত কম্পাউন্ডার শুনে বললেন, ভয় পাবার কিছু নেই, খুব সহজেই বের হয়ে যাবে। আমাকে একটা চেয়ারে বসালেন, আমিতো ভয়ে কাঠ। দেখি মস্তবড় একটি স্টীলের সিরিঞ্জ বের করলেন, একটি বাটিতে পানি নিয়ে তাতে কি যেন মিশালেন, আমিতো ভয়ে শেষ। সিরিঞ্জে পানি ভরে আমার দিকে এগিয়ে এলেন, তখন আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হবার অবস্থা। সিরিঞ্জার মাথাটা কানের মধ্য গলিয়ে উপর থেকে চাপদিয়ে পুরোকান পানিতে ভরে ফেললেন। তারপর আবার টেনে সবটুকু পানি বের করে আনলেন, সে পানি আবার বাটিতে ঢাললেন। তখন দেখি তুলার টুকরোটি টিকটিকির ডিমের মত পানিতে ভাসছে। আমি বেঁচে গেলাম, জনমের তরে বেঁচে গেলাম।

এরপর থেকে আমি এখন পর্যন্ত নির্ভয়ে কান চুলকাই। আমার খুব সখ একটি ১০০ ডলারের নোট মুড়িয়ে কান চুলকানোর, এফবিআইর নজরে পরার ভয়ে তা আজ পর্যন্ত সফল হয়নি। তবে মানুষকে বুদ্ধি দেই ডলার, পাউন্ড, ইউরো দিয়ে আরামদায়ক কান চুলকানোর জন্য। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন, তবে সাবধান "বাঘের লেজ দিয়ে কেউ কান চুলকাবেন না।" - কোন ডাক্তারের বুদ্ধিতেও না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৩:২২
২১টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×