somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এরশাদ বাদশা
জীবনের সব রঙিন মূহুর্তগুলো এখন শুধুই দুই এনজেল এর মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। তারা হাসলে আমি হাসি..তাদের বিন্দুমাত্র কষ্টে ভীষন ব্যথিত হই.. ব্যস্ততা যদিও দেয়না অবসর..তবু এক আধ টুকরো অবসরের মুহুর্তগুলো রাঙিয়ে দেয় ওরা দুজন..দে আর মাই ওয়ার্ল্ড..দে আর মাই ডটার..দ

সাথে থাকুন...শুধু আজকের দিনটাতে নয়....

১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুব বেশিদিন হয়নি, ক্রিকেটের অভিজাত অঙ্গনে বাংলাদেশ নামের একটি বহুল জনবসতি সম্পন্ন রাষ্ট্রের পদার্পন ঘটেছে। আইসিসি ট্রফিতে যখন শান্তর এক বলে এক রানের জয় আমাদেরকে পাইয়ে দিলো একদিনের ক্রিকেটে রুই-কাতলাদের সাথে খেলার সুবর্ণ সুযোগ, তখন বাংলাদেশের অতি ক্রিকেটপ্রেমী মানুষটিও কি ভেবেছিলেন, ক্রিকেটের কুলীন, বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি ব্ল্যাক ক্যাপস ওরফে কিউই ওরফে নিউজিল্যান্ড নামের প্রভাবশালী ক্রিকেট খেলুড়ে দেশটিকে চার চারটি ম্যাচেই হারিয়ে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ?
উত্তরটা হলো, না। আমরা সবসময় হার দেখে অভ্যস্ত। কদাচিৎ বড়ো দলগুলোকে কেবল নিয়মিত বিরতিতে হারার স্বপ্ন দেখি। আর খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সবসময় প্রত্যাশা থাকে, হারুক, কিন্তু লড়াই করে হারুক।
কিন্তু মিরপুরে আমাদের ক্রিকেটাররা সেই গতানুগতিক চিরাচরিত লেভেলটা অবিশ্বাস্যভাবে সেঁটে দিয়েছে কিউই দলটির গায়ে। ব্যাক টু ব্যাক চারটা ম্যাচ জিতে তাদেরকে সাদা ধোলাই দিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে, বিশ্ব ক্রিকেটে তারা আর ছোটো বা নগন্য দলের কাতারে নয়। জবাব দিয়েছে শত বঞ্চনার। যেমন, বড়ো দলগুলো আমাদেরকে তাদের দেশে সিরিজে আমন্ত্রণ না জানানোর মতো ধৃষ্টতারও একটা জবাব হয়ে থাকবে এ সিরিজ। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রশ্ন থাকবে, মহাশয়, এবার নিশ্চয়ই তোমাদের দেশে গিয়ে আমরা খেলতে পারি, কি বলো?

নড়েচড়ে বসবে বিশ্ব ক্রিকেট। যে দলটির গড় বয়স ২৫, যাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিজ্ঞতার ঝুলি তেমন পরিপক্ক নয়, তারাই কি করে এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড কিংবা ভারতের মতো আমাদের দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট সবসময় অবহেলিত। পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্যাসিলিটিজ এর অভাবে অন্য দেশগুলোর মতো আমাদের দেশে ক্রিকেটার উঠে আসছেনা। শত অসুবিধার মধ্যেও এ সিরিজের ফল আমাদেরকে নতুন স্বপ্ন দেখাবে। পাশাপাশি, বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হওয়ার মতো ক্যাপাবিলিটি যে বাংলাদেশের আছে, সেটাও প্রমাণিত করা গেছে। বাকী আয়োজদের উপর, আয়োজন যাতে ফুলপ্রুফ হয়, সেটা দেখার দায়িত্ব তাদের।

সবশেষে, বলতে চাই আমাদের প্রিয় ব্লগারদের। অনেক ব্লগারই চরম বিষেদগার করেন ক্রিকেটার বিরুদ্ধে। আজকেই আমি চয়ন কান্তি নামে একজনকে নিয়ে পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম। কি ভেবে আবার দেইনি। কদিন আগে কোনো এক ব্লগার (নাম মনে করতে পারছিনা) এর পোস্টে ক্রিকেটারদের চরম অসম্মান করা হয়। সেখানে বাংলাদেশ এর কৃতি সন্তান নামে এক ব্লগার আমাকে ক্রিকেটারদের চামচা নামে অভিহিত করেন। আমি বলতে চাই, নিজেও ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় দুঃখ পাই, গালি দেই। কিন্তু ভেবে দেখুন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষকে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি মতভেদ ভুলে এক কাতারে নিয়ে এসেছে কিন্তু ওই ক্রিকেটই। সুতরাং, ম্যাচ হারার পর তাদের উপর খেপে উঠে গালি দেওয়া পর্যন্ত ঠিক আছে। কারণ, তাদের আমরা ভালোবাসি বলেই। কিন্তু খারাপ সময়ে তাদের সমর্থন জানানোটা আমাদের কর্তব্য। কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পিছনে যারা লেগে আছে, তাদেরকে মোকাবেলা করতে হলে, দেশের মানুষের সমর্থন তাদের দরকার। মাঠে ভালো করার দায়িত্ব তাদের।

আমাদের দলটি একটি ইউনিট হয়ে গড়ে উঠছে। সবাই যখন নিজেদের সেরাটা দিয়ে দেবে, এভাবে জয় নিয়মিত হয়ে উঠবে। তাই, টাইগারদের সাথে থাকুন, শুধু আজকের দিনটাতে নয়। সবসময়, যে কোনো অবস্থাতেই।

সাবাশ টাইগার্স, অভিনন্দন তোমাদের।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১২
৩১টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×