somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সেঞ্চুরিয়ান মানিকের ;) কাছে পরিমলের একটি মাত্র ধর্ষণ কি খুব বেশী হল? গডমাদার যেখানে হাসিনা :)

০৯ ই জুলাই, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মরহুম মতিউর রহমানের আমার ফাসী চাই বইটি পড়লে হাসিনার লক্ষ কোটি গুণবতী সু-চরিত্র পাওয়া যায়। যে মহিলা ১৯৮২ এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বলে ছিল I am not unhappy! তখন থেকেই বুঝে ছিলাম হাসিনা কি চিজ! :) তারপর ১৯৮৬ সালে ওয়াদা করেও যখন খাড়ার উপর পল্টি দিয়ে জাতীয় বেঈমান হল তখন বুঝলাম এই মহিলা ক্ষমতা ছাড়া কিছু বুঝে না। ১৯৭২-৭৫ যে অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন ও র্দূভিক্ষ আওয়ামী-বাকশালীরা দিয়েছিল তাকে সেই ১৯৮২-৯৫ পর্যন্ত স্বীকার করতে নারাজ ছিলেন হাসিনা। কিন্তু সেই যাই হৌক ১৯৯৬ সালের জুন মাসের নির্বাচনের পূর্বে হিজাব-পট্টি ও তসবি যপে বলে ছিলেন অতীতের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে আমাকে একটি বার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ দেন। তারপর নির্বাচিত হলে সেই জাতীয় বেঈমানের রুপ পুনরায় বের হল। ১৯৯৬ সালে শেয়ার বাজার ভারতের সাথে প্রতারণা মূলক ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি(দেশবাসী ও সংসদকে না জানিয়েই) এবং ১৯৯৭ সালে অসম শর্তে চাকমা উপজাতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তিবাহিনীর সাথে তথাকথিত শান্তি চুক্তি করে বাংলাদেশের সমূহ ক্ষতি করেছেন। তারপর ইকবাল, মকবুল, হাজী সেলিম, শামীম ওসমান, তাহের, হাজারী, হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ অনেক নেতাকে কে বাংলাদেশের বিভিন্ন জমিদারী নিয়োগ দিলেন। একের পর এক এই হাসিনার নিযুক্ত জমিদার সহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পুরো বাংলাদেশকে নরক বানিয়ে ছাড়ল। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেওয়াতো দূর থানাতে মামলা পর্যন্ত নিত না। ১৯৭১ সালে পাকি হানাদের পর ১৯৭২-৭৫ এ শেখ মণি ও গাজী গোলাম মোস্তফা পুত্রদের কর্তৃক বহু তরুণী-যুবতী নির্যাতিত হয়েছিল যেখানে মুজিব কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যার্থ হয়েছিলেন। এর পর ১৯৯৬ সালে হাসিনার পূর্ব পর্যন্ত আমরা শুনিনি বিএনপি অথবা জাপার কারো কর্তৃক কেউ সিরিয়ালি ডজন ডজন নারী ধর্ষিত হয়েছিল। কিন্তু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মাণিক তার নেত্রী ক্ষমতায় আসার পর পর একের পর এক ধর্ষণ করে গেলেও তা ১৯৯৯ সালের আগে প্রকাশ পায় নি। তারপর যখন ঐ বছর এই প্রকাশ পেল ততদিনে হাসিনার সোনার সুপুত্র মানিক ১০০ টি ধর্ষণ পূর্ণ করে ফেলেছে। ভেবেছিলাম পুলিশ হয়ত তাকে গ্রেফতার করবে। কিন্তু বিস্ময়ে দেখলাম মানিক ও তার ছাত্রলীগের চ্যালারা ধর্ষণ সেঞ্চুরীতে আনন্দ মিছিল বের করেছে;

এ্যাকশন, এ্যাকশন
ডাইরেক্ট ধর্ষণ!
জয় বাংলা,
জয় ধর্ষণের সেঞ্চুরী!

একেই বলে একেতো চুরি তার উপর শিনাজুড়ি! এ গুলো পৃথিবীতে একমাত্র হাসিনা ও আওয়ামী-বাকশালীদের পক্ষেই সম্ভব। মানিক এমন কোন ব্যাক্তিত্ব ছিল না যে তাকে হাসিনার তোয়াজ করতে হবে। হাসিনার এক নির্দেশেই তাকে গ্রেফতার ও বিচারে শাস্তি দেওয়া যেত। কিন্তু যেহেতু ছাত্রলীগ হচ্ছে হাসিনার সোনার ছেলে তাই তাদেরকে হত্যা, ধর্ষণ, চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি করার অঘোষিত লাইসেন্স দেওয়া আছে। সে কারণেই ঐ সময়ে পত্র-পত্রিকাতে ব্যাপক লেখা লেখির পরও মাণিকে পুলিশ গ্রেফতারতো দূরে থাকুক সে জাবির ক্যাম্পাসে বীরদর্পে বুক ফুলিয়ে বেড়িয়েছে। তার ভাব খানা এমন ছিল সাহস থাকলে আমার গায়ের একটা লোম ছিড়তে আসোতো :) এ নিয়ে প্রআলো, যূগান্তরের পাশাপাশি আওয়ামী ঘরাণার জনকন্ঠ, ভোরের এবং আজকের কাগজে সম আদর্শের সাংবাদিকরা হাজার অনুরোধ করলেও হাসিনা মানিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থাই নেয় নি। উপরন্ত হাসিনার প্রথম আমলের শেষ দিকে মানিককে নিরাপদে বাংলাদেশ ত্যাগ করতে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তি। সে থোরাই কি বাংলাদেশের কাউকে আমলে নেয়?

২০০৮ সালে ডিজিটাল দিন বদলের কথা বলে ক্ষমতায় আসলেও(যদিও কারচুপির মাধ্যমে) সেই ১৯৯৬-২০০১ এর চেয়েও ভয়ংকর ভাবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ভয়াবহ চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ইত্যাদি অপকর্ম করতে লাগল। হাসিনা এরপর ন্যাকামু করে ২০০৯ সালে ছাত্রলীগের তথাকথিত দায় দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিলেন। ভাবখানা এমন যে ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেন না। সংসদীয় নিয়মে একটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর কথায় পুলিশ-প্রশাসন উঠবে আর বসবে, সেখানে হাসিনা তার দলীয় একটি পদ ছাড়লেও রাষ্ট্রীয় নির্বাহী ক্ষমতাতো আর ছাড়েন নি। ইচ্ছা করলেই পুলিশ দিয়ে ছাত্রলীগকে সম্পূর্ণ না হৌক উল্লেখযোগ্য ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। কিন্তু প্রতিদিনই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তান্ডব দেখতে হয়। পুলিশের সামনে ধারালো ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও সংঘর্ষ করে। এরই ধারাবাহিকতায় ইডেনের ছাত্রীদের জোর পূর্বক আওয়ামী বিভিন্ন নেতাদের সাথে বিছানায় যেতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন বিচার হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ইডেনের ছাত্রীরা তাও প্রাপ্তবয়স্ক এবার ভিকারুন্নেসা স্কুলের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীকে ধর্ষণ করল হাসিনার আরেক সুপুত্র পরিমল। শিক্ষক রুপী এই পশু ছাত্রীর অসাহয়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার ইজ্জতের সর্বনাশ করল। যখন এই ধর্ষণের জানাজানি হল তখন তার এতই জোর যে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও তাকে বাচানো সহ উল্টো ধর্ষণের শিকার সেই ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি দিল। তারপর যখন আরো ছাত্রী সহ অভিভাবকরা জানল সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় পরিমল। স্রেফ হাসিনা এই মানুষ রুপী পশুদের গডমাদার হওয়াতে এতদিন কেউই কিছু করতে পারে নি। তারপর দেশ ব্যাপী আলোড়ন হলে প্রচন্ড চাপে পরিমলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এখন বিভিন্ন পত্রিকা ও ব্লগে প্রচারণা চালানো হচ্ছে আজকালকার ১৫ বছরের মেয়েরা খুব ফাষ্ট :P তারাই নাকি সম বয়সী ছেলে হতে বয়স্ক পুরুষ এবং শিক্ষকদের প্রতি লোভ প্রকাশ করে। তাই পরিমলের বিষয়টা ধর্ষণ নয় স্বেচ্ছা প্রণয়। আর বিচারে যখন মানুষ ক্রুদ্ধ তখনই জামাত-শিবির ট্যাগ লাগানো হচ্ছে। যে জামাতীরা ফায়দা তুলবে! এটা আওয়ামী-বাকশালীদের দেউলিয়াপণা। তোরা আকাম-কুকাম করবি আর কেউ এটার প্রতিরোধ দূরে থাকুক সামান্য সমালোচনা করলে সে হবে জামাতী। মানে এরা আগুনে হাত দিবে কিন্তু হাত পুড়বে না। স্পষ্টতই আওয়ামী-বাকশালীরা যখন খুশী অপকর্ম করবে আর নিজেদের অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার জন্য জামাতী ট্যাগ লাগাবে। আওয়ামী-বাকশালীদের অপকর্মের ফ্রি-লাইসেন্সের সুযোগ একটাই যে ঢালাও ভাবে সব বিরোধীতাকারীদের জামাতী বানিয়ে দেওয়া। টিপাই বাধ, কনকো-ফিলিপস, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে ভারতকে করিডোর ও সুমুদ্র বন্দর প্রদান এবং শেয়ার বাজার লুট পাট এগুলো বিরোধীতা করা মাত্রই সে জামাতী। এর জন্যই হাসিনা প্রভু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন আশংকা করেছেন যে যেহেতু বাংলাদেশের ২৫% লোক জামাতী তারা হাসিনাকে ক্ষমতা হতে নামিয়ে দিবে। কারণ এদের পাকি ISI কানেকশন আছে। অথচ হাসিনা যে বাংলাদেশকে আওয়ামী-বাকশালীদের মগের মুল্লুক তথা কুকামের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে রেখেছে তা মুখে আনতে নারাজ। হাসিনা ও তার সমর্থকদের এবং মনমোহনের জামাতীফোবিয়া সব এক সুত্রে গাথা এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। কিন্তু আমরা ম্যাঙ্গো পাব্লিক চেয়ে চেয়ে গড মাদার হাসিনার কুকর্ম ও ভারত বন্দনা দেখেই যাচ্ছি।
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×